পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নরসিংদীর শিহাবুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় মা আফরোজা সুলতানা নূপুরের যাবজ্জীবন ও তাঁর প্রেমিক গাজী আবদুস সালাম ওরফে উজ্জ্বল ওরফে রাজীবের ফাঁিস বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারিক আদালতের দন্ড কার্যকরের আবেদন ও আসামিদের আপিল শুনানি করে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০০৬ সালে নরসিংদীর পলাশ থানার পন্ডিত পাড়ার সিঙ্গাপুর প্রবাসী সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া মামুনের ছেলে শিহাবকে হত্যার ঘটনায় জেলার ওই সাজা দিয়েছিল। আদালতে উজ্জ্বলের পক্ষে ছিলেন ড. সাইফুদ্দিন মাহমুদ, নুপুরের পক্ষে শুনানি করেন এম এম শাজাহান কবির। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মান্নান মোহন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর শিহাব পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনায় নরসিংদী থানায় একটি জিডি করেন শিশুটির চাচা মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বাদল। এরপর ৯ ডিসেম্বর বাসার পেছনের কলাবান থেকে শিহাবের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মজিবুর রহমান নরসিংদী থানায় মামলা করেন। পরের বছর ৯ আগস্ট নুপুর, উজ্জ্বল ও তার বন্ধু হারুনুর রশিদ গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে নুপুর বলেন, মোবাইল ফোন সারাতে গিয়ে উজ্জ্বলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে টেলিফোনে প্রেমের সূত্রপাত। উজ্জ্বল বিয়ের প্রস্তাব দিলে নুপুর তাতে রাজি হন। ঠিক হয়, উজ্জ্বল আগে শিহাবকে নিয়ে যাবে, পরে নেবে নুপুরকে। ১৬ জনের জবানবন্দি শুনে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাসেম ২০০৯ সালের রায় দেন। রায়ে উজ্জ্বলকে মৃত্যুদন্ড ও নুপুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। হত্যায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় হারুনকে খালাস দেন বিচারক। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আসামিরা কারাগারে থাকলেও ওই রায়ের আগে তাদের জামিন পালিত করে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিরা আপিল করেন। পাশাপাশি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাই কোর্টে যায়। চলতি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুনানি শেষে আদালত গত রোববার থেকে রায় ঘোষণা শুরু করে। গতকাল মঙ্গলবার তা শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।