পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ঃ ডিভোর্সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের দরাজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে স্ত্রী সিলাভা বিশ্বাসের (২৩) ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী সুকান্ত সরকার। মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে মা নির্মলা বিশ্বাসকে (৫০) কুপিয়ে আহত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আহত সিলভা বিশ্বাসকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর টুঠামান্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরই গুরুতর আহত সিলভা বিশ্বাস ও তার মা নির্মলা বিশ্বাসকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলভা বিশ্বাসের মা নির্মলা বিশ্বাস বলেন, ২০০৮ সালে কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা গ্রামের সুকান্ত সরকারের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। এরপর স্বামীর সাথে সে ঢাকার বংশালে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। ২০০৯ সালের দিকে আমার মেয়ে জানতে পারে জামাতা সুকান্ত সরকার ঢাকার অপরাধ জগতের সাথে জড়িত। তার অপরাধমূলক কাজ সীমাহীন আকার ধারন করার পর ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আমার মেয়ে তাকে ডিভোর্স দেয়। তারপর থেকে টুঠামান্দ্রা গ্রামের বাড়িতে আমাদের সাথে বসবাস করে অসিছিলো। বিভিন্ন সময় সুকান্ত আমার মেয়েকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। সোমবার রাতে সুকান্তসহ ৪/৫ জন আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়ে মারপিট ও এলোপাথারি কোপায়। এক পর্যায়ে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তারা আমাকে কুপিয়ে ও মারপিট করে আহত করে।
গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের কনসালট্যান্ট এ এস এম জুলফিকার বলেন, সিলভা বিশ্বাসের হাত ও পায়ের রগ কেটে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই আবু নাঈম জানান, সিলভা স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। তার স্বামীসহ ৪/৫ জন সন্ত্রাসী রাতে সিলভার বাবার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে ও তার মাকে মারপিট, কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।