পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
ভারতের রাজধানি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত মোদির পাস করা সনদের ছবিও ভুয়া। এ বিষয়ে তাদের কাছে নতুন কিছু প্রমাণও আছে।
তবে এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বলেছে, এসব অভিযোগ এতটাই ভিত্তিহীন যে এ বিষয়ে মন্তব্য করাও বোকামি। খবর এনডিটিভি অনলাইনের।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াাল প্রধানমন্ত্রী মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণকে জানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।
আম আদমি পার্টি অভিযোগ করেছে, ২০১৪ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় মোদির জমা দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্রের আসলে কোনো ভিত্তি নেই। নরেন্দ্র দামোদার মোদি নামের কেউ ওই বিশ্ববিদ্যায় থেকে ১৯৭৮ সালে পাস করেননি। আম আদমি পার্টির নেতা আশুতোষ অভিযোগ করেন, মোদির ডিগ্রি ভুয়া। তিনি কখনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় মোদি হলফনামায় বলেছিলেন, তিনি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। তবে সম্প্রতি ১৫ বছর আগে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া মোদির সাক্ষাৎকারে ফাঁস হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ১৭ বছর বয়সে তিনি বাড়ি ছাড়ার পর তিনি স্কুলও ছেড়ে দেন এবং অনেক পরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) থেকে তিনি তাঁর আদর্শিক গুরুর চাপের কারণে ডিগ্রি নেন।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল তথ্য অধিকারের মাধ্যমে মোদির শিক্ষার ব্যাপারে জানতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে তথ্য সরবরাহ করতে বলে। গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, মোদি সেখান থেকে বহিরাগত শিক্ষার্থী হিসেবে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।