পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এরশাদের জাপাকে দেয়া মহাজোটের ২৬ আসনের একটি ল²ীপুর-২। এ আসনে বর্তমান এমপি মোহাম্মদ নোমান নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী দশম সংসদের হুইপ শওকত চৌধুরী ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আমজাদ হোসেন ভজের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। তিনি তার অনুসারীদের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারণায় নামার নির্দেশ দিয়েছেন। রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৭ আসন থেকে এবং ঢাকা-১৩ আসন থেকে শফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঢাকা-১৭ আসনে বেশকজন প্রার্থী মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখানে নৌকার প্রার্থী সিনেমার নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। বিদেশে চিকিৎসারত এরশাদকে এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুধু তারাই নন, সারাদেশে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের অবস্থা প্রায় অভিন্ন। ১৭৩ প্রার্থীর অধিকাংশই নির্বাচনী মাঠে অন্ধকারে হাতড়াচ্ছেন। কী করবেন কুলকিনারা করতে পারছেন না। কেন্দ্রে যে সমন্বয় কমিটি ও নির্বাচন দেখভালের জন্য যাদের বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা কেউ প্রার্থীদের খোঁজখবর রাখছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শতাধিক আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচনী পোস্টার লাগালেও প্রচারণায় তেমন উৎসাহ পাচ্ছেন না। কোনো কোনো প্রার্থী প্রার্থিতা তুলে নেয়ার আদেশ নির্দেশ পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাপার কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলটির ১৪৭ আসনের প্রার্থীদের নৌকা প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। ‘উন্মুক্ত আসনের’ জাপার এই প্রার্থীদের নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা বাধা দেয়া হচ্ছে। এমনকি রংপুরের পীরগাছায় জাপার নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রে যোগাযোগ করে মনিটরিং সেলের কাউকে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে যে ২৬টি আসন দেওয়া হয়, তারও কয়েকজন নির্বাচনী প্রচারণায় আগ্রহী হচ্ছেন না। মহাজোট থেকে প্রত্যাশিত মনোনয়ন না পাওয়ায় অনেক আগেই দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নির্বাচনে মাঠে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য এবং আওয়ামী লীগের কাছে জাপাকে বন্ধক রাখার অভিযোগ তোলেন।
তারা বলছেন, মহাজোটে মেনন-ইনু যে মূল্যায়ন পাচ্ছেন তার সিকি ভাগ সম্মানও পাচ্ছেন না এইচ এম এরশাদ। হঠাৎ করে মহাজোটে এসে বি চৌধুরী ভালভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু এরশাদ তোষামোদী রাজনীতি চর্চা এবং সিনিয়র নেতারা আওয়ামী লীগের তল্পিবাহকের ভূমিকায় নামায় দলের সাংগঠনিক কর্মকাÐ নিস্তেজ হয়ে গেছে। ঢাকার একটি আসনসহ সারাদেশের শতাধিক উন্মুক্ত আসনে প্রার্থীকে মাঠেই নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
সিংগাপুরে চিকিৎসারত এরশাদ কোনদিন আসবেন তা কেউ জানেন না। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না দলের প্রার্থীরা। রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ, জিএম কাদের লালমনিরহাট, মশিউর রহমান রাঙ্গা রংপুর ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বরিশালে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যেরা নিজেদের প্রচারণা চালালেও হাওলাদার স্ত্রী নাসরিন জাহান রতœার প্রচারণায় রয়েছেন। নীলফামারী-৪ আসনের প্রার্থী শওকত চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, তার অনুসারীরা ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাবে।
লক্ষীপুর-২ আসনের বর্তমান এমপি মহাজোট প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার প্রত্যাহারপত্রে লিখেছেন, নিজ দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে বহাল থাকায় আমি নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এতে আরও বলা হয়, মহাজোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া এবং লোভী ও সুযোগ সন্ধানীদের অবৈধ গোপন তৎপরতা ও আঁতাত করা, কেন্দ্রীয় সহযোগিতা না পাওয়া ইত্যাদি কারণে আমি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। তিনি বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, যারা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং বাস্তবচিত্র অনুধাবন করে আমার সিদ্ধান্তকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
এরশাদের জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হওয়ায় দলটির তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। এরশাদের নেতৃত্বে যে ৫৮ দলীয় জোট গঠন করা হয় তার শরিক ইসলামী দলগুলো অনেক আগেই এরশাদকে ত্যাগ করে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে নেমে গেছেন। একদিকে মহাজোটের উন্মুক্ত আসনে লাঙ্গলের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চাপ, দলের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ এবং নেতাকর্মীরা অন্যত্র চলে যাওয়ায় অন্ধকার দেখছে এরশাদের জাপার দেড় শতাধিক প্রার্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।