পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে থাকা কয়েকজন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠি পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জের ডিসি, ফরিদপুরের ডিসি, মাদারীপুরের ডিসি, জেলা বরগুনা ডিসি এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ চিঠি দেয়া হয। নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। হত্যার হুমকিতে বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মাঝে নতুন করে আতঙ্কে সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অনেক বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা আইনশৃঙখলা বাহিনীকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ ধরনের কোনো তথ্য আসেনি বলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, যে সব এলাকায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি চিঠি দিয়েছে। তারা এখনো নির্বাচন কমিশনকে জানায়নি। ডিসিদের যদি বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চায় তারপরও সরকারি দায়িত্ব পালন করা উচিত। যদি কোনো ডিসি দায়িত্ব পালন করতে না পরে তাদের প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, ডিসিরা আইনশৃঙখলা বাহিনীর পুলিশ ও র্যাব কাছে নিরাপত্তা চাইতে পারে।
জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নানকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে টেলিফোনে রিটার্নিং অফিসারদের হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি ফোন করে হত্যারও হুমকি দিচ্ছে। বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ইনকিলাবকে বলেন, আমাদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। টেলিফোনে দেশ-বিদেশ থেকে হত্যার হুমকি এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছে।এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে সালমা তানজিয়া এবং বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম শামীম হাসানকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফরিদপুরের ডিসি উম্মে সালমা তানজিয়া ইনকিলাবকে বলেন, ডাকযোগে একটি চিঠি আমি পেয়েছি, লাল কালি দিয়ে লেখা চিঠিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। রাতে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এর ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। যদি এমন হয় তা হলে দায়িত্ব পালনে কিছুটা সমস্যা হবে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুল ইসলামকে নাম ঠিকানাবিহীন এক পাতার চিঠিতে তাকে ও তার পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার অফিসে চিঠির ডাক এসেছিল। তার সঙ্গে একটি চিঠির খাম আসে। এতে লাল কালিতে লেখা ছিল ‘অতীব গোপনীয়’ বিষয়। আরও লেখা ছিল, নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় না রাখলে আমাকে ও আমার পরিবারকে দেখে নেওয়া হবে। চিঠিটি হাতে লেখা ছিল, তবে কারও নাম লেখা ছিল না।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, জনাব, আপনি আমাদের সালাম গ্রহণ করন। আশা করি, ভালো থাকবেন। তবে বর্তমান সময়ে আপনার সকল কার্যকলাপ, তৎপরতা আপত্তিকর, পক্ষপাত দুষ্টে দৃষ্ট। আপনি কি প্রজাতন্ত্রের?? আওয়ামী লীগের কর্মী?? আপনারা হয়ত: সব খবর রাখেন না?? নির্বাচনের আগে পরে কিছু তো হবে। কেউ বসে নাই তাই আপনার প্রতি অনুরোধ আগামী ৩ দিনের মধ্যে ১০০% নিরপেক্ষ হয়ে যান। হতে হবে। অন্যথায় এ্যাকশন:-আপনার পরিবার, পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, স্থাবর অস্থাবর সকল স্বার্থের ওপর চরমভাবে আঘাত করা হবে। ডিসি বলেন, চিঠির শেষে কারও নাম লেখা ছিল না। শুধু লেখা ছিল চলমান। এর অর্থ হতে পারে তারা আবারও এ বিষয়ে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠাতে চায়। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমি বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছি। এই ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমার বাসা ও অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কবির মাহমুদকে উড়ো চিঠি দিয়ে হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার ডাকযোগে ওই চিঠি তার কাছে পাঠানো হয়। ডিসি কবির মাহমুদ বলেন, ডাকযোগে একটি চিঠি আসে আমার নামে। পরে সেটি খুলে দেখতে পাই, বরগুনার দুটি সংসদীয় আসনের নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি সাধনের জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ তার এবং পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা কামরুন নাহার সিদ্দিকা ও তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়েছে। গত বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ ডিসি অফিসের ঠিকানায় হুমকির এ চিঠিটি আসে। জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খাকি রঙের খামে এক পাতার এই চিঠিতে প্রেরকের নাম-ঠিকানা লেখা নেই। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমার কর্মকান্ড তারা খেয়াল করছে। তিনদিনের মধ্যে আমি যদি ঠিক না হই তাহলে তারা আমাকে দেখে নেবে। শুধু আমাকে না আমার আত্মীয়-স্বজন ছেলে মেয়ে ও সম্পত্তির উপর তারা নজর রাখছে। ঠিক না হয়ে গেলে তারা আক্রমণ চালাবে। চিঠির শেষের অংশে লেখা আছে চলমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।