পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা আব্বাস বলেছেন, মাঠের অবস্থা ভালো না। আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি গেরিলা কায়দায়, চোরাগোপ্তাভাবে। প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও গতকাল শুক্রবার থেকে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে বিএনপির প্রার্থীদের। এদিন দুপুরে শাজাহানপুর, শান্তিনগর ও রাজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার মিছিল করেছেন মির্জা আব্বাস।
সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি খবর পেলাম ওরা (ক্ষমতাসীন দল) প্রায় দেড়শ মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছে। আমরা যেদিকে যাবো ওরা সেদিকে হামলা চালাবে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সেই সুযোগটা তাদের দেইনি। তারা সেই সুযোগ পায়নি। তাদের সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে গেছে।
সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন আমরা কয়জন লোক নিয়ে মিছিল শুরু করেছিলাম আর কয়জন লোক নিয়ে শেষ করলাম। জনগণের স্রোতের মুখে তাদের সব চক্রান্ত ছিন্ন হয়ে যাবে।
ঢাকা-৮ ও ৯ আসনে সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসিতে অভিযোগও করেছি। ইসির পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। ইসি মনে হয় কথা বলতেও জানে না, কানেও শোনে না। তারা বলছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) আছে। রাজধানীতে ধানের শীষের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা কোনও অংশেই কম নয়। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, রাস্তার পাশের মানুষগুলো অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। মানুষগুলো আতঙ্কিত।
ভোটারদের আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান মেননের
ভোটারদের আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা -৮ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, যা যা করতে চেয়েছিলাম সময় স্বল্পতার কারণে অনেক কিছু সম্ভব হয়নি। এবার আপনাদের ভোটে জয়ী হলে বাকি কাজগুলো করবো।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা-৮ আসনের শান্তিনগর বাজারে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি শান্তিনগর বাজার সমিতি ও দোকানদারদের সুউচ্চ ভবন নির্মাণে প্রতিশ্রতি দেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে ভোটের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ ভীত নয়, বিরোধী দলের প্রার্থীরাই ভীত। তারা যে অন্যায় করেছে, সেজন্য তাদের জেলে যেতে হয় কিনা সেই ভয়ে তারা মাঠে নামছে না।
রিকশায় চড়ে ইশারায় ভোট চাইলেন হাজী সেলিম
ঢাকা-৭ আসনের নৌকার প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ভোটারদের কাছে যেতে তার শাররীক অসুস্থ্যতার বাধা আটকাতে পারছে না। তিনি মুখে কথা বলতে না পরলেও হাতের ইশারায় ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার জুমা’র নামাজের পর এমন একটি দৃশ্য দেখা গেছে ঢাকা-৭ আসনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বংশাল বড় মসজিদের সামনে।
বংশাল বড় মসজিদ থেকে জুমার নামাজ আদায় করে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন হাজী সেলিম। তার গন্তব্য বংশাল বড় পুকুর পাড় দিয়ে ইসলাপুর ঘাট পর্যন্ত। কিন্তু প্রচারণার শুরুতেই বাধা পড়ল একটি সরু রাস্তা। বিশাল গাড়িবহর নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না এ রাস্তায় দিয়ে।
এই পরিস্থিতি দেখে হাজী সেলিমের আশপাশে অনেক নেতাকর্মী তার শারীরিক অসুস্থতার কথা চিন্তা করে বলতে থাকেন, ভাই ঠিক আছে আজ বাদ দেন অন্য আরেক দিন যাব আমরা।
নেতাকর্মীদের এমন কথা শুনে চটে যান হাজী সেলিম। ভোকাল কর্ডে সমস্যা থাকায় কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। তাতেও কোনো সমস্যা নেই। হাতের ইশারায় নেতাকর্মীদের বলে দিলেন হেঁটেই প্রচারণা চালাবেন তিনি।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কি বুঝাতে চাইছেন-কাজী ফিরোজ
ঢাকা-৬ আসনের মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, ড. কামালরা রলভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কি বুঝাতে চাইছেন? জনসমর্থন থাকলে এবং খেলতে জানলে রৌদ্রের মধ্যেও খেলা যায়, আবার বৃষ্টির মধ্যেও খেলা যায়। স্বাধীনতার পর এবারই সর্ব্বোচ সংখ্যক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন নেই। শুধুমাত্র জনবিচ্ছিন্ন জামায়াতের আশ্রয়দাতা ঐক্যফ্রন্টই উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী ঢাকা-৬ আসনের ৪৩নং ওয়ার্ডের লালকুঠি, ফরাজগঞ্জ, শ্যামবাজার, প্যারিদাস রোড, নর্থ ব্রæক হল রোড ও বাংলাবাজারে গণসংযোগ, প্রচার মিছিল এবং বেশ কয়েকটি পথসভায় বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন। সকালে রায়েরসাবাজারে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। দুপুরে শিংটোলা পঞ্চায়েত কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন। ৩টার সময় লালকুঠিতে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন। বিকালে তিনি শ্যামবাজার, বাংলাবাজার ও ফরাশগঞ্জে ৬টি পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এদিকে দুপুরে কাজী ফিরোজের সহধর্মিণী সুলতানা রশিদ স্থানীয় মহিলালীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে টিকাটুলীতে গণসংযোগ করেন। এসময় তার ছেলে কাজী সোয়েব রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জাপা, যুবলীগ, যুবসংহতির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী গণসংযোগ ও প্রচার মিছিলে আওয়ামী লীগ ও জাপানেতাদের উপস্থিত ছিলেন হেদায়াতুল ইসলাম স্বপন, আলমগীর সিকদার লোটন, স্থানীয় কাউন্সিলর আরিফ হোসেন ছোটন, আবু সাঈদ, গাজী আবু সাঈদ, হাজী ফারুক, আইয়ুব আলী খান প্রমুখ।
৩০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে বিজয়ের মালা উপহার দিবো- বাবলা
ঢাকা-৪ আসনের মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, সারাদেশে মহাজোটের পক্ষে জোয়ার উঠেছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সাধারণ মানুষের বিবেককে তাড়া দিয়েছে। বিএনপি জামায়াত জোটের শাসনামলে দুর্ণীতি ও সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই দিতে পারে নাই। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঐক্যফ্রন্ট অপপ্রচার চালাচ্ছে। এবাবের নির্বাচনে মানুষ শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে রায় দিবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এ আসন থেকে জয়লাভ করে শেখ হাসিনাকে বিজয়ের মালা উপহার দিবো ইনশাল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ৪৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদবাগে কাউন্সিলর নাসির ভূইয়ার সভাপতিত্বে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলেনা আক্তার, ৪৭ নংওয়াড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন চিশতি, শ্যামপুর থানা ছাএলীগ সভাপতি শাকিলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও জাপা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।