পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই-নাঙ্গলকোট) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের সময়ে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্ব এবং গত দশ বছর বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার যে সাফল্য অর্জন করেছে দেশের ইতিহাসে তা যেমন অনন্য তেমনি আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। উন্নত ও সমৃদ্ধির দেশ গঠনে যুগোপযোগী কৌশল দাঁড় করিয়েছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকার বিজয়পুর, রতনপুর ও পিপুলিয়ায় আয়োজিত পথসভায় লোটাস কামাল এসব কথা বলেন। দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। নির্বাচনী পথসভায় শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ফিরিস্তি তুলে ধরে নৌকায় ভোট চেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, গত দশ বছরে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। তা ইতিহাসে বিরল। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের জনগণের এখনই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়, আগামীতে জনগণ দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদ, স্বাধীনতার বিপক্ষকে চায় নাকি যারা উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে? আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। দেশবাসী চায় নৌকায় ভোট দিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যেতে।
আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট প্রার্থী আরও বলেন, বেসরকারি খাতে নতুন মূলধন সৃষ্টির হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে বিনিয়োগের হার জিডিপি’র ৪০শতাংশে উন্নীত করতে হবে। পর্যাপ্ত অবকাঠামো সেবা সরবরাহ করার মাধ্যমে রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাডানো হবে। পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ ও গভীরতা এবং পুঁজি পণ্য সরবরাহ ও বৈচিত্র্য আরো বাড়ানো হবে। শিল্প উন্নয়ন পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে লোটাস কামাল বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পায়নের গুরুত্ব খুবই বেশি। দেশে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ-যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান ও কাজের উৎস সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিপুল শ্রমশক্তি কাজে লাগাতে শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পভিত্তিক শিল্প উন্নয়ন কৌশলের উপর জোর দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে গুরুত্ব পাচ্ছে ভারী ও মৌলিক শিল্প। যে শিল্পকে ভিত্তি করে বহুমাত্রিক সংযোজন শিল্প গড়ে উঠবে। ব্যবসাবান্ধব শিল্পবান্ধব এবং প্রোপ্রাইভেট সেক্টর প্রাইভেট সেক্টরের চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করবে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। তাদের হাত ধরেই আমরা উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করব এবং দারিদ্র বিমোচন করতে সক্ষম হবো। এতে করে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় আরো বেশি দৃঢ় হবে এবং তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।