Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলছে জমজমাট প্রচারণা

থেমে নেই পুলিশি গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ক্রমান্বয়ে জমে উঠছে নির্বাচনী প্রচারণা। গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে চায়ের কাপে উঠেছে ঝড়। জমজমাট ভাবে চলছে সারাদেশে নৌকা আর ধানের শীষ প্রার্থীদের ক্যাম্পেইনই। এতোদিন নৌকার প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রাধান্য দেখা গেলেও এখন ধানের শীষ প্রতীকের প্রাথীদের ব্যপক প্রচারণা দৃশ্যমান হচ্ছে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের ভোটাররা। তবে পুলিশী গ্রেফতার বন্ধ হয়নি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া তৃর্ণমূল পর্যায়ে নৌকা-ধানের শীষ প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি, গ্রামে গ্রামে এবং স্থানীয় হাটবাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু গতকালও ঢাকা, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, নড়াইল, টাঙ্গাইল শতাধিক ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় গ্রেফতার ভীতি কাটিয়ে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইনকিলাবের জেলা, উপজেলা, পৌরসভার প্রতিনিধিরা জানান, মানুষ ভোটের মাঠে নামছে। মানুষের ধারণা সেনাবাহিনী মাঠে নামলে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভীতি পুরোপুরি কেটে যাবে। তখন উৎসবমূখর পরিবেশে ব্যপকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে।
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেওভোটের অধিকার আদায় করব
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রতিনিয়ত সরকারি দল ও পুলিশের হামলার শিকার হচ্ছেন জানিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশকে বিএনপির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। হামলার বিষয়ে পুলিশ ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেয়ার পর হামলাকারীদের গ্রেফতারের বদলে উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, হামলা করে ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ভোটের অধিকার আদায় করব।
জাফরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বাঁশখালীতে গণসংযোগ করে আসছি। কিন্তু প্রচারণা শুরুর প্রথম থেকে নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনকি বাঁশখালীর সরল নজিরা মার্কেট, বাদালিয়া ও খালাছিয়া দোকান এলাকায় লাগানো ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, সর্বশেষ বুধবার সরল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে সরকারি দলের ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি গ্রæপ এলোপাতাড়ি হামলা করে। এসময় আমিসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এরপরও নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলেছি।
যোগ্য ও আল্লাহভীরুরা নির্বাচিত হলে রহমত নাজিল হবে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১ (মেঘনা-দাউদকান্দি) আসনে বটগাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন।
মেঘনা-দাউদকান্দি উপজেলায় পৃথক পৃথক নির্বাচনী পথসভায় তিনি বলেন, আল্লাহর যমিনে কুরআন-সুন্নাহর শাসন তথা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার দাওয়াতী কাজকে ইবাদত মনে করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু ব্যক্তিরা নির্বাচিত হলে দেশে আল্লাহর রহমত নাজিল হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মাহদী হাসান, তাওফিকুল ইসলাম রুবেল, হাফেজ মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মাদ রাহাত ওসমান প্রমুখ।

সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে পরিবেশ
বগুড়া ব্যুরো জানায়,হঠাৎই বগুড়ার নির্বাচনী পরিবেশ সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও বুধবার বগুড়া-১ ও ৬ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত ও মোটরবাইক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে যেতে হয়েছে বিজিবির টহল দলকে।
জানা গেছে , বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার-১ সংসদীয় আসনভুক্ত সোনাতলা উপজেলার চর পাড়ায় বিএনপি প্রার্থী কাজি রফিকুল ইসলামের গাড়ী বহরে বাধা দেওয়াকে ঘিরে সংঘর্ষের সূচনা হয়। তার সমর্থকসহ গাড়ীবহর নিয়ে গাবতলী হয়ে সোনাতলার প্রবেশ মুখে গেলে ওই স্থানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। গাড়ীবহরে বাধা দেওয়াকে ঘিরে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, মারামারি পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুর হয়। ঘটনাস্থলেই দুটি মোটরবাইক ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষস্থলে দুপক্ষের অবস্থান মারমুখী হয়ে উঠলে পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০-১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ট করে। এসময় দুপক্ষের ২০-২৫ জন কর্মী আহত ও রক্তাক্ত হয়। ঘটনার জন্য বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আব্দুল মান্নান সমর্থকরা একে অপরকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে বুধবার রাতে বগুড়া-৬ সদর আসনে মহাজোট প্রার্থী ও এমপি এবং সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ নুরল ইসলাম ওমরের সমাবেশ স্থলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত না হলেও এলাকায় উদ্বেগ আতঙ্ক বিরাজ করছে। একই দিনে পৃথক ঘটনায় বগুড়া সদরে বামজোটের নির্বাচনী পথসভায় হামলা করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা। বুধবার সারাদিন গণসংযোগের পরে তারা সন্ধ্যায় সাতমাথায় এক পথসভায় মিলিত হয়। বামজোট মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ফরিদের সমর্থনে পথ সভায় সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আসলাম খান বক্তব্য প্রদান শুর করলে লোক সমাবেশে বিরক্ত বোধ করে পাশেই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থানকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নাসিম তার সহযোগীদের নিয়ে সভায় হামলা করে। হামলাকারীরা পথসভার মাইক সেট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ও ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এরপর তারা সমাবেশস্থলের পাশে ছাত্র ইউনিয়নের কার্যালয়ে তালা মেরে দেয়।
সালথায় বিএনপি-আ.লীগ প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের জনসংযোগ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ও সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি সালথা উপজেলার সদর বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় ভোটারদের কাছে সাজেদা চৌধুরীর পক্ষ্যে নৌকার লিফলেট বিতরণ করে ভোট চান।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে শেখ হাসিনার ইতিবাচক পদক্ষেপে নারী উন্নয়ন হয়েছে। তাই নারী সমাজের উচিত ভোট প্রদান করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।
এদিকে সালথা এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শামা ওবায়েদ রিংকু যদুনন্দী ইউনিয়নের খায়েরদিয়া, ফুলবাড়ীয়া, উজিরপুরসহ ৭-৮টি স্থানে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি সমর্থিতদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে দাবি করে বলেন, এ সরকার ভীত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে।
বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্মীদের ওপর হামলা : গাড়ি, মোটরসাইকেল, ছিঁড়ছে পোস্টার
সরকার আদম আলী,নরসিংদী থেকে জানান নরসিংদী -৩, শিবপুর আসনে দলীয় সরকারের জোরে শিবপুরের আওয়ামী লীগ একাই পিটাচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে। যখন তখন বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালাচ্ছে ।তাদের ক্যাম্পগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। এসব অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ এমপি আলহাজ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও বিএনপির প্রার্থী শিল্পপতি আলহাজ্ব মনজুর এলাহীর। আওয়ামী লীগের উশৃংখল কর্মীদের সর্বশেষ আক্রমণের শিকার হয়েছে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী ও তার ভোট কর্মীরা। জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে মঞ্জুর এলাহীর গাড়ি বহরে হামলা চালায় আ.লীগ কর্মীরা। তারা লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পিছন দিক থেকে আক্রমন চালিয়ে ১০ টি গাড়ি এবং ১২ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে । এর আগে গত মঙ্গলবার শিবপুর শহরে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর এলাহীর একটি প্রচার মাইক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগের ভোট কর্মীরা।
নোয়াখালীতে বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, গত বুধবার রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মাইজদী হকার্স মার্কেট থেকে নেয়াজপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য জামাল উদ্দিন ও মাইজদী বাজার থেকে অরুনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম। এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সেনবাগ উপজেলার ছাতাইপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আবদুর রহমানকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এবিষয়ে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান ও নোয়াখালী-২ সেনবাগ আসনে বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ করেন যে, আটককৃতদের কারো বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকা সত্বেও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে।
আশুগঞ্জে বিএনপি‘র নির্বাচনী প্রচারণা অফিস ভাংচুর ও তালা
আশুগঞ্জ(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)উপজেলা সংবাদদাতা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকার আশুগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা বিএনপি‘র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান ও বুধবার রাতের অভিযানে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযানের সময় কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প ভাংচুর,ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ একটি নির্বাচন প্রচারণা অফিসে তালা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করে বুধবার বিকাল থেকেই পুলিশ প্রথমে উপজেলা বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে এবং রাতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযান চালায়। এব্যাপরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভ‚ঁইয়া বলেন, পুলিশ কোন প্রকার কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম তালুকদারের মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফোনটি রিসিভ করে কেটে দেন এবং পরে কোন সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করেননি।
বেনাপোলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে জখম
বেনাপোল অফিস জানায়, ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়ায় গত বুধবার রাতে যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসমাইল হোসেন (৬০)কে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে বেদধরক পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামের নির্দেশে বাহিনী প্রধান ফজলুর রহমান ও সম্রাটের নেতৃত্বে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগ অফিসে। সেখানে ইসমাইল হোসেনকে বিএনপিধানের শীষের পক্ষে ভোট করার কথা বলে বেদম মারপিট করে। ঘটনা শুনে স্থানীয় গ্রামবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিএনপি নেতা আটক, ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলমকে নাশকতামূলক মামলা জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে ইউনিয়নের কেনা গ্রামের নিজবাড়ী থেকে ইসলামপুর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একই সময় পুলিশ যুবদল নেতা মনির হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রতনকে না পেয়ে পুলিশ ও সরকারী দলীয় লোকজন তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালায় এবং মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিবগঞ্জে নৌকা সমর্থকের ওপর হামলা, মটরসাইকেল ভাঙচুর
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া এলাকায় এক নৌকা প্রতীক সমর্থকের ওপর হামলা ও মটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সকালে হামলার শিকার আবদুল জাব্বার বাদি হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। হামলার শিকার আবদুল জাব্বার হল- উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের এখলাসপুরের সাইদুর রহমানের ছেলে। জানাগেছে, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের এখলাসপুর এলাকায় বিএনপির একটি নির্বাচনী মিছিল হচ্ছিল। এ সময় মিছিলের পাশ দিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থক আবদুল জাব্বার মটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপির মিছিল অতিক্রম করার সময় তার ওপর হামলা চালায় মিছিলকারীরা। এতে আবদুল জাব্বার গুরুত্বর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভোলায় বিএনপি প্রার্থীরা অবরুদ্ধ
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভোলা-১ বিএনপি প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। গতকাল সকালে ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, ভোলায় বিএনপি প্রার্থীরা অবরুদ্ব নির্বাচনী মাঠে কোথায়ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিদ্যমান নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপনি বার বার বলেন নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিদ্যামান আছে আপনি ভোলায় আসুন এবং দেখুন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অবস্থা। ভোলা-২,৩,৪ বিএনপি প্রার্থীরা অবরুদ্ধ তাদের নিজ বাস ভবনে। তারা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাতে পারছে না। বিএনপি নেতা কর্মীদের উপরে হামলা হচ্ছে, মামলা হচ্ছে।
সারাদেশে গ্রেফতার:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিদিনই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর প্রচারণা শুরুর পর থেকে তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। গতকালও (বৃহস্পতিবার) গ্রেফতারের এই ধারা অব্যাহত ছিল। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশেই দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতা করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশ এবারের নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদেশে কোন কারণ ছাড়াই, এমনকি মামলা নেই এমন নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করছে। তবে এতো মামলা, হামলা, গ্রেফতারের পরে তারা (নেতাকর্মী) অটুট মনোবলে নির্বাচনী যুদ্ধে নিয়োজিত আছে জানিয়ে রিজভী বলেন, সারাদেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মদদে ও ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, নেতাকর্মীদের আহত করছে, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশীর নামে পুলিশী তান্ডব ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে, নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করে নেতাকর্মীদেরকে আটক করা হচ্ছে অথবা নির্বাচনী সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাদা পোশাকধারীরা ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করে রাখছে, তাদের সন্ধান দিচ্ছে না।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তোফায়েল শিকদারকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করছে না তারা। টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি খালিদ হাসান উথান, পাবনার সাঁথিয়া থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল, নন্দনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্যুৎ, যুবদল নেতা বাকি বিল্লাহ, জোড়গাছা বিএনপি নেতা মনসুর, ধুলাউড়ি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজিবর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুষ্টিয়া-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা. মোঃ শহীদুল আলমের ধানের শীষ প্রতীকের নলতা চৌমুহনীস্থ প্রধান নির্বাচনী অফিস ডিবি পুলিশ ঘেরাও করে আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান এস.এম. রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল খালেক, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আহসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকার আলী জুলি, শোভনালী ইউনিয়ন বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আহছাফুর রহমান মুকুল, দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল ইসলাম, নলতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি আবু হাসান সহ আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেহেরপুর-২ আসনে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ২২ জন নেতাকর্মীকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সোহরাব হোসেন মুস্তাক, মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপি সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম, বামুন্দি ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী, ষোলটাকা ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সভাপতি লিয়াকত হোসেন, কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান (মেম্বর), কাজিপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজমাইন হোসেন, নওদাপাড়া গ্রাম বিএনপি সদস্য ডাঃ আঃ মতিন, রায়পুর গ্রাম বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী, বাথানপাড়া বিএনপি সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, রামনগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মজিবর খাঁ, রাইপুর ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, শালদহগ্রাম বিএনপি সভাপতি সুজন মিয়া, শালদহগ্রাম বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক, রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি প্রচার সম্পাদক ইয়ারব আলী, বেতবাড়ীয়াগ্রাম বিএনপি সদস্য রাজন আলী, আকুবপুরগ্রাম বিএনপি সদস্য হাফেজ আলী, ভ্রমরদহগ্রাম বিএনপি সদস্য হবিবার, বামুন্দি গ্রাম বিএনপি সদস্য ভূট্টো, বামুন্দি গ্রাম বিএনপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম, বামুন্দি গ্রাম বিএনপি সদস্য সাহেদ আলী, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদল সহ-সংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও বামুন্দি গ্রাম বিএনপি সদস্য খেজমত চৌকিদার।
নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষের সমন্বয়কারী ফরাদ ও লোহাগড়া পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান ফরাদ, সিলেট-৪ আসনে জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ আব্দুল আহাদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদল নেতা নুরুল হক ও উপজেলা ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-১ আসনে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ, জুড়ি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নিছার রেজা চেয়ারম্যান, দক্ষিণভাগ উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার, জুরি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুম রেজা, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আঃ মুহিত বাবুল, সাবেক সভাপতি কমর উদ্দিন কমরু, নির্বাচন কমিটির সদস্য মইনুল হক বকুল, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইব্রাহীম লিলেছ, যুবনেতা মোঃ আলাল মিয়া ও বিএনপি নেতা তারা মিয়া, শ্রীমঙ্গলে পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক শামিম আহমদ, অফিস স্টাফ মাইনুল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা মুজিবুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রদল নেতা কাউছার চৌধুরীসহ ১২/১৪ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একইভাবে সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের প্রচারণার সময় আমির শাহ, চট্টগ্রাম-১০ আসনে গণসংযোগকালে হালিশহর থানা পুলিশ মোহাম্মদ মুসলিম, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আবদুল হাই, মুরাদ হোসেন, নুরুল আমিন, মেহেদী হাসান ও ডাবলমুরিং থানা পুলিশ খুরশিদ আলমকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, নোয়াখালীর চাটখিল পৌর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম, উপজেলা বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন, লক্ষীপুরে ছন্দগঞ্জ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রদল সভাপতি শাহরিয়ার রাসেল শুভ, নেলেন্দী ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মোঃ নুরু, রুহিতপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মোঃ দেলোয়ার, রুহিতপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদল সভাপতি মোঃ মামুন, কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রদল সদস্য মোঃ আনিস, যুবদল সদস্য মোঃ জাকির, মোঃ মোক্তার, রুহিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোকছেদ, থানা বিএনপির সদস্য মোঃ সেলিম, হেমায়েতপুর থানা যুবদল নেতা মোঃ জাকির, রাজ্জাক, তেতুলঝড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলীমুদ্দিন, ভাকুর্তা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আলী আজগরকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা-৬ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও ওয়ারী থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরিফকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে হরিরামপুর গোপীনাথপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, রাজশাহী-২ আসনে মহানগরের ৩১ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা সুমন ও সাইফুল, বগুড়া-৫ আসনে ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন, শেরপুর উপজেলা বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান, সবুজ, আব্দুস সালাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের নেতা তোজাম্মেল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে রানীহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ওয়াহাব মেম্বার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার ছেলে মোঃ সামীর ও বিএনপি কর্মী মেসের আলীকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
নওগাঁ-২ আসনে নজীপুর পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদের, নওগাঁ-৩ আসনে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আশরাফুল ও ওয়াহাব, নওগাঁ-৫ আসনে সদর থানার বক্তারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল হক, শ্রমিক দল নেতা এহসানুল হক এবং পৌর যুবদল যুগ্ম সম্পাদক শাহনী, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রচারণাকালে ২০দলীয় নেতা মাও: মোঃ তৈয়ব আলী, মোঃ তরিকুল ইসলাম লিখন ও মোঃ আমিরুল ইসলাম মন্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে শাহাজাদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, দিনাজপুর-৬ আসনে ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন জোটের নেতা মোঃ আবুল হোসেন, ডাঙ্গাপাড়া বাজারের নাইটগার্ড, পাউশপাড়া গ্রামের মোঃ সামছুল ইসলাম, ছাত্রনেতা মোঃ ইমরান হোসেন, পাউশগাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর আপন ছোট ভাই মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বিএনপি কর্মী মোঃ আব্দুল গফুর, আলীহাট চকচকার সাবেক মেম্বার আলতাব হোসেন ও তার ছোট ভাই আনিছুর রহমান, ছাত্রনেতা মোঃ আহসানুল কাবীলদকে বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফরিদপুরের মধুখালী থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম এনামুল, মধুখালী পৌর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ বিশ্বাস, বিএনপি নেতা শরীফ গাজী ও যুবদল নেতা মিলন মোল্লা, মেহেরপুরে পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আঃ সামাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মিয়া, খোকন শেখ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহাসীন আলী, রুনা মাস্টার, সেন্টু, আমিরুল, জেলা যুবদল সদস্য আবু জাফর, বকুল আহম্মদসহ ১৯ জন, নরসিংদী-৪ আসনে চালাকচর ইউনিয়ন বিএনপিসাধারণ সম্পাদক হযরত আলী মেম্বার, ক্ষিধিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আসাদ মিয়া, নোয়াখালী-৪ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর ড্রাইভার, জামাল হোসেনসহ ৯ জন, চট্টগ্রাগের পাঁচলাইশ থানা বিএনপি কর্মী জামাল উদ্দিন ও মানিক, হবিগঞ্জ-৩ আসনে সদর পৌর যুবদল নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ মহিউদ্দিন, ফারুক মিয়া, খালেক মিয়া, বিএনপি কর্মী আতিকুল ইসলাম সোহাগ, জাহির মিয়া, মুরশেদ রহমান হেলালসহ ৭ জন, ময়মনসিংহ-৫ আসনে ৭নং ভোগা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান লেবু, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে শ্রীনগর থানা বিএনপি কর্মী কাশেম মেম্বার, হাফিজ, মুক্তাকিন, অনিক, বাবুল, মনসুর মাঝি, ইমরান খান, আলমগীর, আঃ হক, মনির হোসেন, জাহিদ চৌধুরী, মোঃ সিরাজ ও সিরাজদিখান থানার চিত্রপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি দ্বীন ইসলাম সহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মীরকাদিম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপিসাধারণ সম্পাদক লিটন হোসেন, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ খসরুসহ ৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া গজারিয়া থানার ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ সফিক সিকদার এবং ইমামপুর ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা-১১ ভাটারা থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



 

Show all comments
  • Morshid Alam ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৩ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্ যদি সহায়ক হোন জয় নিয়ে ঘরে ফিরবে সাধারন মানুষ, তাদের প্রিয় ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে। যদি নির্বাচন ভাল হয় আশা রাখি বাংলার মানুষ স্বাধীন হতে চায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Bari Bulbul ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৪ এএম says : 0
    Jonota mathe namun dhan ar joy oti nikote. Australia joripe dhan pabe 86% vot! Hasinar poton hobey hobe Insaallah!
    Total Reply(0) Reply
  • Harunor Rashid Bhuiyan ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৫ এএম says : 0
    জনতার ঢল দেখে হাসিনা পাগল হয়ে প্রার্থীদের ওপর হামলা করছে। তবুও শেষ রক্ষা হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Rakib ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৫ এএম says : 0
    BNP perfect team
    Total Reply(0) Reply
  • Wahidul Islam ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৬ এএম says : 0
    ঐক্যফ্রন্ট চালিয়ে যান। জয় ইনশাআল্লাহ আপনাদেরই হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mir Irfan Hossain ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৭ এএম says : 0
    যেহেতু স ইসির নির্দেশ পুলিশ মানছে না। পুলিশের কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ করা হোক জনগনের জান মালের স্বার্থে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammd Rayhan ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৮ এএম says : 0
    আল্লাহর গজব পড়বে জালিমদের উপর ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Sahadat Hossain ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    ইনশাআল্লাহ এই অন্যায় ও অবিচারের বিচার নিশ্চয়ই আল্লাহ করবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • shadat ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 0
    এই হলো জনগণের বন্ধু!পুলিশের দায়িত্ব কি ? নিরাপরাধ মানুষকে রক্ষা করা, না নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁসিয়ে দেয়া !
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগের কাছ থেকে রাজনীতি শেখার অনেক কিছু আছে... ২০১৪ তে দেখছি কিভাবে বেগম জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল সাথে এরশাদকে নিয়ে চরম এক নাটক। এবার দেখছি, গায়েবী মামলা দিয়ে বিরোধীদলকে দমন করার এক নতুন পন্থা। সত্যিই শেখার আছে অনেক কিছু।
    Total Reply(0) Reply
  • SYED HOQUE ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ এএম says : 0
    আজ যারা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে ধরপাকড় করছেন তাদের বিবেক বলতে কি কিছুই নাই? তারা কী মানবিক সকল গুন হারিয়ে ফেলেছেন? তারা কী একবারও চিন্তা করেন না যে এরাও আমাদের মত মানুষ একই দেশে বসবাস করছি। জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকার জন্য এত পরিশ্রম করে ব্যক্তি, সমাজ, দেশের যে ক্ষতি করা হচ্ছে সেই শক্তি, মেধা যদি দেশের মানুষের উন্নয়নে ব্যয় করা হত, তাহলে দুটি কাজ হতো ১. দেশ অনেক এগিয়ে যেত ২. ক্ষমতায় থাকা সহজ হত
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 0
    ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীকে অনেক নীচে নামিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Amdad ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 0
    সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশ একটি আতঙ্কের নাম। দেখলেই মনে হয় এই বুঝি ফাসিয়ে দিলো।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Kamal ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১২ এএম says : 0
    Awami League is the only political part who can save the country from the anti-liberation force.
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammed Billal Hossain ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৪ এএম says : 0
    এটা কোন হিংস্র এক রাজার দেশে বাস করছি আমরা?? যে খানে শুধুমাত্র বিরোধী দল কে দমন করতেই এ দেশের পুলিশ, আইন সংস্থা কে ব্যাবহার করা হয়।। ধিক্কার জানাই জালিম সরকারে আগ্যাবহ প্রশাসন কে।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ