পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলছে সরগরম ভোটের প্রচার। বিরামহীন প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রচারণায় উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থীরা। ফের ক্ষমতায় গেলে বাকি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মহাজোট প্রার্থীদের। তারা বলছেন, বিগত দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোটাররা আবারও নৌকায় ভোট দেবেন। পক্ষান্তরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা ধানের শীষের প্রার্থীরা ভরসা করছেন জনগণ ওপর। নির্বাচনী প্রচারে তারা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, নেই ভোটের অধিকার। উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তাতে মানুষ অতিষ্ঠ। এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে ভোটারের ধানের শীষের পক্ষেই তাদের রায় দেবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুই পক্ষই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। সরকারি দলের প্রার্থীরা কোন বাধা ছাড়াই ভোটের মাঠে আছেন। নানা আয়োজনে চলছে নৌকার প্রচার। চলচ্চিত্র ও টিভি শিল্পীদের নিয়ে নগরীর কোতোয়ালী আসনে নৌকার পক্ষে প্রচার চালান প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল আহসান নওফেল। তাদের সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন। চট্টগ্রামের ১৬টিসহ এই অঞ্চলের ১৯টি আসনে সরগমর প্রচারে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রার্থীরা। নৌকা লাঙ্গলের পক্ষে তারা মাঠে আছেন।
তবে বিরোধী দলের প্রার্থীদের সামনে বাধার পাহাড়। হামলা, মামলা আর ধরপাকড় মোকাবেলা করেই তারা মাঠে আছেন। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রচারণায় সরকারি দলের পাশাপাশি পুলিশও হামলা করছে। ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে গিয়ে গ্রেফতার হচ্ছেন কর্মীরা। এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মিলছে না। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এলাকায় ভোটের প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন অভিযোগ করে গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ধানের শীষের দুই প্রার্থী।
বাঁশখালীতে প্রচারণা চালাতে গিয়ে বুধবার আক্রান্ত হন জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় সরকারি দলের কর্মীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেখানে ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটে। রাঙ্গুনিয়ায় সরকারি দলের হামলার শিকার হন ধানের শীষের প্রার্থী এলডিপি নেতা মো. নুরুল আলম। বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও ভোটের মাঠে আছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। ভোটের প্রচারে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সরকারের নানা ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরছেন। তারা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার কথা বলার অধিকার নেই। তারা ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীকসহ বিএনপির প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ভোটের প্রচারে হেভিওয়েট এসব নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তারা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ধানের শীষের পক্ষে রায় দেবেন। পুলিশ ও প্রশাসনকে বিএনপির প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনও সরকারের আজ্ঞাবহ। সচেতন ভোটাররা এসব বিষয় মাথায় রেখেই সাহস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে, ন্যায়ের পক্ষেই তারা রায় দেবেন।
ভোটের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাসদের মঈনউদ্দিন খান বাদল, সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন, প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ সরকারি দলের ভিআইপি নেতারা। ভোটারদের কাছে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন তারা। বিগত ১০ বছরে যেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা যায়নি আগামী নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় এলে এসব প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নেরও অঙ্গীকার করছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। বিএনপির বক্তব্যেরও জবাব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বিএনপির এমন অভিযোগ সত্য নয় বলেও দাবি করেন তারা। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, জনগণ উন্নয়নের পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে। বিএনপি সন্ত্রাসের পক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে। আর এ কারণে জনগণ বিএনপিকে বর্জন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।