পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানে এই দুই ভাই ইতিমধ্যে সোলার শিশু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে এবং তাদের অদ্ভুত বিষয়টি চিকিৎসকদের হতবিহ্বল করছে। ৯ ও ১৩ বছর বয়সী বালক দুটি দিনের বেলা আচরণে সাধারণ শিশুর মতোই স্বাভাবিক। কিন্তু সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আচরণে ভিন্নতা দেখা দেয়। তারা উভয়েই নিশ্চল হয়ে পড়ে। উদ্ভিদের মতো, জড়ো পদার্থের মতো হয়ে যায়। নড়াচড়া করতে পারে না, কথা বলতে পারে না। পাকিস্তান মেডিকেল সায়েন্সের মেডিসিনের প্রফেসর জাভেদ আকরাম বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, শিশু দুটির এমন উপসর্গের কারণ সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই। নিজ হাসপাতালে শিশু দুটিকে দেখার পর তিনি বলেন, এই কেসটিকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। কেন শিশু দুটি দিনের বেলায় স্বাভাবিক থাকে এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কেন তারা চোখ মেলতে পারে না, কথা বলতে পারে না বা খেতে পারে না এটা জানার জন্য আমাদের চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চালাচ্ছেন।
আকরাম বলছেন, দরিদ্র পরিবার থেকে আগত শিশু দুটির জন্য সরকার বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, শিশু দুটিকে রাজধানী ইসলামাবাদে অত্যন্ত ব্যয়বহুল মেডিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এবং আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদের রক্তের নমুনা বিদেশী বিশেষজ্ঞদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। গবেষকরা শিশু দুটির গ্রামের বাড়ি থেকে মাটি ও বাতাসের নমুনাও সংগ্রহ করছেন।
এই ভ্রাতৃদ্বয়ের পিতা মোহাম্মদ হাশিম দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটার কাছের একটি গ্রাম থেকে এসেছেন। তিনি এবং তার স্ত্রী সম্পর্কে পরস্পরের কাজিন এবং তাদের ছয় সন্তানের মধ্যে দুইজন খুব কম বয়সেই মারা গেছে। অপর দুই সন্তানের মধ্যে কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ নেই। তার সহজ ধারণা : ‘আমি মনে করি আমার সন্তানরা সূর্য থেকে শক্তি পায়।’
তবে চিকিৎসকরা সূর্যের আলোর ভূমিকা ইতিমধ্যে নাকচ করে দিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন যে বালক দুটি দিনের বেলা চলাফেরা করতে পারে। যেহেতু দিনের বেলা তাদের অন্ধকার ঘরে রাখলে বা ঝড়বৃষ্টির সময়ও চলাফেরা করতে পারে। সে কারণে সূর্যের আলোর ভূমিকা তাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
গতকাল শুক্রবার দিনের বেলা হাসপাতালে ১৩ বছর বয়সী সোয়াইব আহমেদ এবং তার ভাই আব্দুল রশিদকে একেবারেই স্বাভাবিক দেখা যায়। প্রাণবন্ত ও উৎফুল্ল দেখা গেছে। এমনকি তাদের হাসপাতালের কক্ষ থেকে বের হয়ে চা খেতে কাছের ক্যান্টিনেও হেঁটে যেতে দেখা গেছে। সোয়াইব আহমেদ বার্তা সংস্থাকে বলেছে যে, সে বড় হয়ে শিক্ষক হবে। অপরদিকে তার ছোট ভাই বলছে যে সে ইসলামিক আলেম হতে চায়। সূত্র : নিউজ রিপাবলিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।