পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৪ তম আসর। তাই, জোরেশোরে এগিয়ে চলেছে বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি। মেলার মূল ফটক তৈরি হচ্ছে মেট্রোরেলের আদলে। নির্বাচনের কারণে মেলা পেছালেও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ হবে বলে জানিয়েছে মেলার আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি।
নির্ধারিত সময়ের আগেই মেলার প্রস্তুতি শেষ করতে শ্রমিকদের ব্যস্ততার যেন শেষ নেই। দিন-রাত এক করে এগিয়ে চলছে মেলা মাঠের কর্মযজ্ঞ। স্টল-প্যাভেলিয়ন তৈরিতে যেন দম ফেলার ফুসরত নেই কর্মীদের। বাড়তি কাজে ভালো আয় হওয়ায় খুশি শ্রমিকরা।
এবারের আয়োজন নিয়ে আশাবাদী মেলার আয়োজক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। সংস্থাটি বলছে, এবার বিদেশিদের নজর কাড়তে বাড়তি প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। গত বার ১৬৫ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পেলেও এবার তা আরো বাড়বে বলে আশা ইপিবির। দর্শনার্থীদের সুবিধায় এবার মেলায় থাকছে চিকিৎসা কেন্দ্র, ডে কেয়ার সেন্টার, ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারসহ বেশ কিছু আয়োজন। অব্যবস্থাপনা রোধে থাকবে সার্বক্ষণিক নজরদারি।
৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া মাসব্যাপী মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় ছোটবড় মিলিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫২১টি স্টল। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি রফতানি আদেশ পাওয়ার আশা আয়োজকদের। অন্যদিকে মেলার মূল উদ্দেশ্য রফতানি আদেশ বাড়ানো না হলেও প্রতিবছরই বিশ্ব বাজারে বাড়ছে দেশি পণ্যের চাহিদা।
ইপিবি সচিব জানান, ২৪তম বাণিজ্য মেলায় রফতানি আদেশ বাড়বে। তবে, রফতানি আদেশ আসা চলমান প্রক্রিয়া। মেলা শুরুর সময় স্পট অর্ডার পাওয়া যায়, এছাড়া মেলা শেষ হয়ে যাবার পরও আদেশ আসে। কিন্ত সেই তথ্যগুলো হিসেবে আসে না। কারণ ব্যবসায়ীরা সেই তথ্য ইপিবিকে দেয় না।
এদিকে শুরু হয়েছে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ তৈরীর কাজ। রাজধানীর পূর্বাচলে নির্মিতব্য নতুন মেলা প্রাঙ্গণের নির্মাণে জোর দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০০৯ সালে মেলা প্রাঙ্গণ তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হলেও সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। তখন ব্যয় প্রাক্কলন হয় ২৭৫ কোটি টাকা। কিন্ত সেই ব্যয় প্রায় পাঁচগুণ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। নতুন স্থানে মেলা শুরু হবে ২০২১ সালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।