পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ত্রিপুরায় নদীপথে যুক্ত হতে চলেছে ভারত ও বাংলাদেশ। এই উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হবে জেটি, যার জায়গা চূড়ান্ত করতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ত্রিপুরা রাজ্যে যাচ্ছেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরার গোমতী নদীর সাথে শিগগিরই যুক্ত হবে বাংলাদেশের মেঘনা নদী। বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দর হয়ে মেঘনা ও গোমতী নদী পেরিয়ে মালপত্র সোজা চলে যাবে ত্রিপুরায়। তাই, ত্রিপুরায় জেটিঘাটা তৈরি করার জায়গা চূড়ান্ত করতে ২৬ ডিসেম্বর ত্রিপুরায় যাচ্ছেন ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইডবিøউএআই)-এর এক প্রতিনিধিদল।
গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকরির সাথে দেখা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীপথে আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্যে কেন্দ্রীয় সাহায্য চান বিপ্লব।
একটি সরকারী বিবৃতিতে গতকাল বলা হয়েছে যে, চলতি মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে জেটি বানানোর জায়গা চূড়ান্ত করতে আইডবিøউএআই-এর একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদল ত্রিপুরায় পরিদর্শনে যাবেন। গতকাল সকালে ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া এলাকায় জেটি তৈরির ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
‘বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে। তাই আপাতত ভারতীয় জমিতেই আমরা কাজ চালাব। জানুয়ারি মাস থেকে নদীবক্ষে ড্রেজিং-এর কাজ শুরু হবে। ছ’মাসের মধ্যেই ড্রেজিং শেষ হবে,’ বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনদিকে বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা ত্রিপুরা রাজ্যে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। বর্তমানে আসামের রাজধানী গুয়াহাটি হয়ে প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে মালপত্র সে রাজ্যে পৌঁছে।
গডকরির সাথে বৈঠকে আগরতলা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ৮ এর ওপর রোড সেফটি ব্যারিয়ার লাগানো, ফেনী ব্রিজের গঠনগত পরিবর্তন ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন বিপ্লব। ত্রিপুরাকে সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।