পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যেতে চান না আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন আমার এমন কোনো আকাঙ্খা নেই যে যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে হবে। জনগণের ভোটে যদি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ। যদি না পারি কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু দেশে শান্তি বজায় থাকুক।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমি অনেক কিছু সহ্য করেও সবার সঙ্গে বসে কথা বলেছি। প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি। সবাইকে বলেছি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। আমরা চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক।
এখন সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। শান্তিপূর্ণভাবে যেন নির্বাচনটা হয়, সেই পরিবেশটা যেন থাকে। এখানে জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার পরও আমি বলব, আজকে এতগুলো কাজ হাতে নিয়েছি। আমরা কোনো দিক বাদ রাখিনি। অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছি। সেটা যেন বাস্তবায়ন করতে পারি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। ২০২১ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করব, এই সুযোগ আমি দেশবাসীদের কাছে চাই।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার আরেকবার সুযোগ দিন, আমরা উন্নয়নের কাজগুলো যেন শেষ করতে পারি। যদিও এর কোনো শেষ নেই। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে, তবুও যে কাজগুলো হাতে নিয়েছি, তা যেন শেষ করতে পারি, এটাই আমি চাই।
বাংলাদেশ নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। জাতির পিতা বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থানটা যদি দেখেন তাহলে দেখবেন ইউরোপের একদিক থেকে আরেকদিকে যেতে গেলে সুইজারল্যান্ডকে ব্যবহার করতে হয়। একটা শান্তিপূর্ণ দেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকেই সেভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধ রচনা করতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সে উন্নয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস থাকলে দেশে কোনো উন্নতি হয় না। কাজেই আমরা চাই দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকুক।
চট্টগ্রামের সব প্রকল্প দ্রæত বাস্তবায়ন করা হবে
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, গতকাল (বুধবার) বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচিতি সভায় রাজধানীর সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে এই সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আবারও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলে চট্টগ্রামের সব উন্নয়ন প্রকল্প দ্রæত বাস্তবায়ন করা হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন হয়, আর চলে গেলে থমকে যায়। চট্টগ্রাম সবসময় আবহেলিত ছিল। এখনও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শুরু করেছি। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চালু করা হবে যাতে দ্রæত মানুষ যাতায়াত করতে পারে। রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর করে দিয়েছিলাম। বিমানবন্দরের উন্নয়ন করবো। শুধু চট্টগ্রাম মহানগর নয় পুরো চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন কাজ করেছি। বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। আর এসব উন্নয়নকাজ করতে হলে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ৩০ তারিখে নির্বাচন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তুলছি। আজকে বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত হতে চলেছে। আমি নৌকায় ভোট চাইছি। আপনারা ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। যাতে করে আমরা উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে পারি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম-১ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-২ আসনের নজিবুল বশর মাইজভাÐারী, চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৬ আসনের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনের ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনের মঈনউদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ আসনের ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনের ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আবু রেজা নদভী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমানসহ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।