Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর ভাই-বোনকে জেতাতে চাইলে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠবে

খুলনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

খুলনা ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার মিলে দফায় দফায় বৈঠক করে বিভাগের ৩৫টি আসনে ভোট ডাকাতির ছক এঁকেছেন বলে খুলনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রেস ব্রিফিং থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, এ নিয়ে সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারেনা বলে ঐক্যফ্রন্ট যে অভিযোগ করেছিল সারা দেশে ধানের শীষ কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও দমন-পীড়ন থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। খুলনা- ২ ও ৩ আসনে গত কয়েকদিনে নির্বিচারে গণগ্রেফতার ও নির্যাতনের অসংখ্য বিবরন তুলে ধরে বলা হয়, আজকের পর আর যদি একজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় তবে নির্বাচনী প্রচারনা কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা- ২ আসন থেকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত এমপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তিনি আরো বলেন, এ আসন থেকে যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভাই। আর খুলনা-৩ আসনের প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী বোনের মতো ¯েœহ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাই-বোনকে নির্বাচনে জেতানোকে বাধ্যবাধকতা মনে করে প্রশাসন প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি প্রশাসনকে হুশিয়ার করে বলেন, ভাই-বোনকে জেতানোর জন্য এমন কোন কাজ করবেন না যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং পরিস্থিতি বেসামাল করে তুলবে। সাত মাস আগে হয়ে যাওয়া ভোট ডাকাতির মেয়র নির্বাচনের মতো আর কোনো ভোট খুলনাবাসী মেনে নেবেনা।
এ সময় তিনি চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ধানের শীষ কর্মীদের ওপর সকল ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে। কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। যে সমস্ত গায়েবী মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে, অবিলম্বে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের তৎপরতা বাড়াতে হবে। অবিলম্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ দিয়ে বর্তমান নাজুক দানবীয় পরিস্থিতি পাল্টাতে হবে। তিনি নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের নানা মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তারা যা বলেন তা তাদের বক্তব্য নয়। সেটা সরকারের বক্তব্য। ঐক্যফ্রন্ট বিধিবদ্ধ সাংবিধানিক আইন ছাড়া কোন আওয়ামী আইন মানতে বাধ্য নয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ