Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫০ আসনে ঐক্যফ্রন্টকে প্রার্থীশূন্য করে বিজয় নিশ্চিত করতে চায় সরকার

বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুমুদর রহমান মান্না বগুড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, নিজেদের ভরাডুবি নিশ্চিত জেনে এখন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা করে চলেছে। এ পর্যন্ত বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ১০ জন সম্ভাবনাময় প্রার্থীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে ৩৫টি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার। সংশয় হচ্ছে আদালতকে ব্যবহার করে হয়তো ৫০ সিটে তারা ঐক্যফ্রন্টকে প্রার্থীশূন্য করে ভোটের আগেই বিজয় নিশ্চিত করবে। এমন ঘটনা ঘটলে আমাদের নতুন করে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থেকে নিজেদের প্রত্যেকটি ভোটের ফলাফল বুঝে নিয়েই ভোট কেন্দ্র ছাড়বো। আমরা ভোটের মাঠে আছি এবং থাকবো।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তার নিজের নির্বাচনী এলাকা শিবগঞ্জে মহাজোটের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, রাতের আঁধারে ট্রাকে চড়ে সন্ত্রাসীরা হাসুয়াসহ ঘুরে ঘুরে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। যেখানেই আমি নির্বাচনী পথসভার আয়োজন করছি ঠিক একই সময়ে তারা পাল্টা সভা ডাকছে। আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী প্রিন্সিপাল মীর শাহে আলমসহ ৩৪ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা করে তাদের এলাকাছাড়া করা হয়েছে। এরপর প্রকাশ্যে আমার ওপর হামলা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সবকিছুই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। থানায় আমাদের লিখিত অভিযোগগুলো তদন্তের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলা হলেও এমনটি হচ্ছে না।
প্রেস কনফারেন্সে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম আর ইসলাম স্বাধীন, শিবগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান মতীনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
প্রেস কনফারেন্স লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আদর্শিকভাবে এই আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নেই। নৌকা এখন দুঃশাসনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে ধানের শীষ এখন গণতন্ত্র ও গণমানুষের প্রতীক। তিনি বলেন, এর আগে আমি যখন এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে এসেছিলাম তখন ভোটাররা বলতো বাবা তুমিতো মানুষ ভাল, কিন্তু তোমার মার্কা ভালো না। এখন তারাই বলছে তুমি মানুষও ভাল তোমার ধানের শীষ মার্কাও ভাল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ