Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সেনাবাহিনী নামছে সোমবার

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


আগামী সোমবার পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার আগেই জলপাই ও সাদা রংয়ের পোষাক পরে মাঠে নামছে সেনা ও নৌবাহিনী। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করবে সেনা ও নৌবাহিনী। উপকূলবর্তী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ ও ১৩০ ধারা অনুযায়ী। এবার মোতায়েন করা হচ্ছে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭, ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১ ও ১৩২ ধারায়। গত ১৩ ডিসেন্বর এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনা সদস্যরা ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে ১০ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামছেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ভোটের ছয় দিন আগে মোতায়েন হবে সেনাবাহিনী। ভোটের পরও দুই দিন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে থাকবেন তারা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এবার সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বাড়ায় সেনা সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা বিশ্লেষক। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় তাদের চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের তালিকা পাঠিয়েছে ইসিতে। তালিকা অনুযায়ী ৩০০ আসনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৯৯টি এবং ভোট কক্ষ ২ লাখ ৬ হাজার ৫৪০টি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩২ ধারার মধ্যে ১৩১ ধারায় সেনাবাহিনীর কোনো কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারকে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে ও জননিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত হওয়ার মতো সমাবেশ ভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া রয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর ইসির আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভার কার্যপত্রে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময় ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে এরই মধ্যে অনুরোধ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালন সম্পর্কে কার্যপত্রে বলা হয়েছে, (ক) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। (খ) রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োগ করা হবে। (গ) রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান অথবা ফৌজদারি কার্যবিধির, অন্যান্য আইনের বিধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুসারে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। (ঘ) রিটার্নিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসারের চাহিদা ব্যতিরেকে ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষে কোনো প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। (ঙ) ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দি সিভিল পাওয়ার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। (চ) উপকূলবর্তী এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। (ছ) ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সেনা সদস্যের সংখ্যা রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয় করে কমবেশি করা যাবে। (জ) সেনা সদরের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা সদস্য সংরক্ষিত হিসেবে মোতায়েন থাকবে। (ঝ) গুরুত্বপূর্ণ সড়ক/মহাসড়কসমূহের নিরাপদ যান চলাচল এবং স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী তাদের আওতাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে যেসব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া ইভিএম কেন্দ্রে যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবে তাদের নিরাপত্তা বিধানসহ প্রয়োজন অনুসারে আনুষঙ্গিক বিষয়াদির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। (ণ) নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর টিম ওই ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণসংক্রান্ত নিরাপত্তা বিধানে নিবিড় ও অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। (ত) রিটার্নিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।
ফৌজদারি কর্যবিধির ১৩১ ধারায় বলা হয়েছে, যখন এইরূপ কোনো সমাবেশ দ্বারা জননিরাপত্তা সুস্পষ্টভাবে বিপদগ্রস্ত হয় এবং কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় না, তখন সেনাবাহিনীর কোনো কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে এইরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারেন এবং এইরূপ ছত্রভঙ্গ করার অথবা আইনানুসারে শাস্তি দেয়ার জন্য ওই সমাবেশে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেন। তবে এই ধারা অনুসারে কাজ করার সময় তাঁর পক্ষে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়, তাহলে তিনি (কমিশনপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার) তা করবেন এবং অতঃপর কাজ চালিয়ে যাওয়া না বা না যাওয়া সম্পর্কে তাঁর (ম্যাজিস্ট্রেটের) পরামর্শ অনুসরণ করবেন।
সম্প্রতি বৈঠকে নির্বাচনের নিরাপত্তা কৌশল প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব বাহিনীর কৌশল ঠিক করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বেশি তথ্য-উপাত্ত থাকে। তথ্য-উপাত্তগুলো প্রয়োগ করে অন্য সব বাহিনীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ছক তৈরি করতে হবে। সব গোয়েন্দা সংস্থার সতর্ক নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং এতে বিজিবিকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন হবে। কারণ এতে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

কে বলে অবলা
নেত্রকোনা-৪ আসনে তিন নারীর লড়াই
এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা
নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে তিন নারী প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে ৩০ ভাগ নারীকে মনোনয়ন দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন সময় নানা ধরনের প্রতিশ্রæতি দিলেও বাস্তবিক অর্থে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যাপ্ত পরিমাণ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে প্রতিটি দলই অনেকটাই দ্ব›েদ্ব ভোগেন বলে সচেতন মহলের ধারণা।
নেত্রকোনা জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য নূরুল আমিন-এর মৃত্যুর পর ২০০৩ সালের উপ-নির্বাচনে প্রথমবার তার স্ত্রী খাদিজা আমিনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মমিনের মৃত্যুর পর তার সহধর্মিণী রেবেকা মমিনকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।
তিনি এ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হন। এবারও তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ আসন থেকে ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে লুৎফুজ্জামান বাবর। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়ে তিনি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাÐ পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি দুটি মামলায় মৃত্যুদÐে দÐিত হয়েছেন। এ আসনে তার পরিবর্তে এবার তার সহধর্মিণী তাহমিনা জামান শ্রাবনীকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এবার এ আসনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এবং গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক গামেন্টর্স আন্দোলন সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক কমরেড জলি তালুকদারকে।
প্রতীক বরাদ্দের পর পরই তিন প্রার্থী পথ সভা, কর্মী সভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিন নারী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরাও সাধারণ ভোটাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছেন। এই প্রথম এক আসনে তিন নারী প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াই এই আসনের ভোটারদের ছাড়াও জেলাবাসীর মাঝে ব্যাপক কৌত‚হল সৃষ্টি করেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেবেকা মমিন এমপি কাছে নির্বাচনী পরিবেশ এবং ভোটারদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই স্বতস্ফ‚র্ত সাড়া পাচ্ছি। আমি ১০ বছর ধরে এ আসনের এমপি হিসেবে জনগনের পাশে ছিলাম। আমি হাওরাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন এবং হাওরবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যে অবদান রেখেছি। আমি আশা করি, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করবেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাহমিনা জামান শ্রাবণী’র কাছে একই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আমার স্বামী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আমার জনপ্রিয়তা দেখে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ঈর্ষাণি¦ত হয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে। অপরদিকে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৬ শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক ও অজ্ঞাতনামা আরো সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীর নামে ৩টি গায়েবি মামলা দায়ের করে নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে এবং গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সারাদেশে বিএনপির প্রার্থীদের উপর যেভাবে নগ্ন হামলা হচ্ছে, তাতে আমি আতঙ্কিত, কখন আমার উপর হামলা হয়। তারপরও ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে এবং নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ্।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জলি তালুকদার বলেন, নির্বাচন করার কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা রাতের আধারে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার গণসংযোগে হামলা চালিয়ে আমিসহ ৭ নেতাকর্মীকে আহত করেছে। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন এদের ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হতে যাচ্ছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত।



 

Show all comments
  • রুবেল ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৭ পিএম says : 0
    আরও আগে থেকে সেনাবাহিনী নামানো উচিৎ ছিলো
    Total Reply(0) Reply
  • মাহির চৌধুরী ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৫০ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ....
    Total Reply(0) Reply
  • Rubel ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:২০ পিএম says : 0
    দেশে সাথে চালাকি ঠিক হল না।২২তারিখ নামার কথা ছিল ২২ তারিখ নামান। আর প্রতারনা করবেন না জনগনের সাথে।
    Total Reply(0) Reply
  • Anamul ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:০৪ পিএম says : 0
    এ বার আওয়ামীলিগ হ্মমতায় আসলে দেশ অচল হয়ে যাবে
    Total Reply(0) Reply
  • Johir Rana ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম says : 0
    Alhamdu Lillah
    Total Reply(0) Reply
  • Md Waliur Rahman ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৪ এএম says : 0
    Mashallah,Alhamdulillah
    Total Reply(0) Reply
  • Md Tuhin Miah ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৩১ এএম says : 0
    আশা রাখি জাতির ক্লান্তি লগ্নে দেশ ও দশের গর্ব। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তার দায়িত্ব পালন করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • mohammad rahel ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:৫৯ এএম says : 0
    দেশের মানুষের সাথে আর কত বাটপারি করবে ইসি? ২৪ তারিখে ও আমার মনে হয় না সেনা বাহিনী কে মাঠে নামানো হবে বলে,
    Total Reply(0) Reply
  • তাহমিনা আক্তার ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৪ এএম says : 0
    আসসালামু আআলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ। সত্যি খুব খুশি হব যদি দেশে নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে দেশের শান্তি বজায় রাখতে পারে,,,,,। যদিও পুলিশ বাহিনীর উপর কোন ভরসা নেই আমার বাট আর্মী নেবির উপর মোটামুটি ভরসা আছে। অল দা ব্যস্ট।
    Total Reply(0) Reply
  • Humayun shoab ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৩ পিএম says : 0
    Hope election may held peacefully.This is our prayer to ALLAH.
    Total Reply(0) Reply
  • kazi md hossain ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৪ পিএম says : 0
    আশা রাখি জাতির ক্লান্তি লগ্নে দেশ ও দশের গর্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব পালন করবে
    Total Reply(0) Reply
  • m aktar hossain ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৫ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের ৯০% জনগণ বাংলাদেশ সেনা ও সেনাবাহিনী উপর অনেক আত্ন বিশ্বাস
    Total Reply(0) Reply
  • onik ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:৩৬ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের ৯০% জনগণ বাংলাদেশ সেনা ও সেনাবাহিনী উপর অনেক আত্ন বিশ্বাস
    Total Reply(0) Reply
  • Mukter ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:১৫ পিএম says : 0
    দেশ কে সুশৃঙ্খল সুন্দর করার জন্য কমপক্ষে ৫ বছর সেনাবাহিনী ক্ষমতায় থাকা দরকার। আর ঐ ৫ বছর দেশের সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় শাস্তি দেওয়া দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • Jafar Ahammed ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:৫৫ পিএম says : 0
    হাত পা বেঁধে দিয়ে মাঠে ছেড়ে দিলে ওরা কি আর করবে ???
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Forhad ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৪ পিএম says : 0
    খুশি হলাম
    Total Reply(0) Reply
  • Mosharrof hossain ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:১২ পিএম says : 0
    খুশি হলাম অামি এবং ষোল কোটি মানুষ।অাশা করি ওনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Monir ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৬ পিএম says : 0
    সেনাবাহিনীর উপর আমাদের সম্পূর্ণ ভরসা আছে
    Total Reply(0) Reply
  • sobuj khan ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:০৪ পিএম says : 0
    hi
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ