পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হ্যালো প্রার্থী সাহেব। ভোট ঘনিয়ে আসছে। নোট উড়াবেন? ছড়ি ঘোরাবেন? জোর খাটাবেন? মুলা ঝোলাবেন? কিন্তু এসব ভুলে যান। কারণ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। আমাকে বেকুব আর নিজেকে চালাক ভাবতেই পারেন। এতে লাভ নেই। হিরো থেকে জিরো বানাই আমি ভোটার। নোট বিলি-বন্টন করবেন? আমার সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা ফিট করাই আছে। প্রতিপক্ষকে হটিয়ে ভোটের মাঠ জবরদখলের জন্য ক্যাডার-কর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে সশস্ত্র হামলা, বাধা-বিপত্তি, মাস্তানি করছেন? সেখানে সিসি ক্যামেরা ফিট। গায়ের জোরে ভোটকেন্দ্র দখলের জন্য পরিকল্পনা আঁটছেন? সেখানেও আপনার দলের ভেতরে থাকা লোকজন আমার হয়েই সিসি ক্যামেরা নিয়ে তৈরি। তাহলে কোথায় যাবেন? গোপন কী আর ‘গোপন’ থাকে নাকি?
জানি, ভাবছেন কী সেই সিসি ক্যামেরা। প্রথমত বলি, আমার মতোই শত, হাজার, লাখো, কোটি ভোটারের সচেতন সতর্ক দুই চোখ। যা হরদম আপনার মতিগতির ওপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছে। যেখানে যান আপনাকে সে অনুসরণ করছে। যা-ই করছেন তা মনিটর করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রত্যেকের হাতে একটি করে সিসি ক্যামেরা। মানে মোবাইল ফোন। তার পরেরটা নাইবা বলি।
মনে আছে বিদ্রোহী কবি জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সেই কাব্যাংশটুকু? “সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”। সেটি এখন এভাবে যদি বলিÑ সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা ভোটের তরে সিসি ক্যামেরা।
প্রার্থী সাহেব। আপনি প্রতিদিনই আমার দুয়ারে আসছেন। কাকুতি-মিনতি করে হাসিমুখে আমার কাছে একটি ভোট ভিক্ষা চাইছেন। দোয়া চাইছেন। ভোটের জন্য জনসমর্থন তৈরি করতে মিটিং-মিছিল-পোস্টারিং-মাইকিং সবকিছুই করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মীরা মাইকে বলছেÑ ‘মা-বোনেরা সালাম নিন, বাপ-ভাইয়েরা সালাম নিন----। ভালো কথা। অথচ যিনি আপনারই প্রতিদ্ব›দ্বী তাকে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ, সভা-মিছিল করতে বাধা দিচ্ছেন। হামলা, সন্ত্রাস, গাড়ি ভাঙচুর, গুলিবর্ষণ, হতাহত করছেন। সেখানেই আপনার চেহারা আরেক রকম। এটিই আসল চেহারা?
আপনার পেশিশক্তি প্রদর্শনের মূল হেতু, অপর প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা কিংবা তাদের সমর্থকগণ যাতে আমার কাছে পৌঁছাতে না পারে, তার অঙ্গীকার কী বক্তব্য কী তা যাতে আমার কানে না আসতে পারে। আর আমাকেও ভোটকেন্দ্রে যেতে ‘বিরত’ রাখার উদ্দেশে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছেন। কিন্তু ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। আমার মতো ভোটাররা আপনার এতোসব কুকীর্তির প্রমাণ ধরে রাখছি সেই অসংখ্য সিসি ক্যামেরা দিয়েই। যার দাঁতভাঙা জবাব পাবেন ভোটের দিন আসছে ৩০ ডিসেম্বর। দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ব্যালটেই তার উপযুক্ত জবাব। তখন তো ‘রাজা’ হওয়ার সাধ পূরণ হবেনা!
প্রার্থী সাহেব, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন যতটা ভালো ছিলাম আজ তা নেই। কারণ আমি শান্তিপ্রিয় ভোটার হিসেবে আপনার হিংসা-হানাহানি, সন্ত্রাস পছন্দ করতে পারিনা। তাই যিনি আপনার তুলনায় ভালো প্রার্থী, ভালো মানুষ তাকে বেছে নেবো। আপনাকে বর্জন করবো। একযোগে। তবে এখনও সময় আছে। নিজেকে শোধরান। যাতে আমার ভোটটির দাবিদার হোন আপনিই। ভেবে দেখুন। প্রার্থী সাহেব, ভালো থাকুন। ভালো রাখুন। মানে আমার মতো কোটি কোটি ভোটারকে ভালো থাকতে দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।