পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসছে ৩০ ডিসেম্বর। কাউন্ট ডাউনে আর হাতে আছে মাত্র ১১ দিন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কাটছে না এখনো শঙ্কা ও সংশয়। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। দলীয় বৃত্তের বাইরে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ তারা এখনও বিভ্রান্তিতে আছেন। তার মধ্যে এবার অনেক তরুণ ভোটারও রয়েছেন।
ইতোমধ্যে ধানের শীষের নেতাকর্মীদের শুরু হয়েছে গ্রেফতার। অনেকেই রয়েছেন গ্রেফতারের আতঙ্কে। হামলা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। সংশয় দেখা দিয়েছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রাথমিক শর্ত হলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এমন সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু প্রচারণায় গ্রেফতার আতঙ্ক ও হামলাসহ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় সে সম্ভাবনা ফিকে হতে শুরু করেছে।
নগরীর বাকলিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন তরুণ এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন যারা ভোট নিয়ে কথা বলছেন একটি চায়ের দোকানে বসে। তাদের আলোচনায় প্রাধান্য পায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে। তাদের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক দেশের আসল পরিচয়। ভোট যেন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়। ভোটের পরেও যেন শান্তি বজায় থাকে। গত নির্বাচন আমাদের কতটা শান্তি দিয়েছে তা নিয়েও আলোচনা তাদের। তারা মনে করেন, এবারের নির্বাচনে জনগণের বাস্তব চাওয়াকে রূপ দিতে সকলের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। জনগণের এ চাওয়া পূর্ণতা পেলে দেশে শান্তি আসবে। দেশ এগিয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, এবারের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। সে কারণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার শর্তের বিপরীত। সরকারি দল একতরফা প্রচার চালাচ্ছে। তা কখনও কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই দেশ পরিচালনা করবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবারের নির্বাচনই শেষ কথা নয়। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর ঘুরে আসবে আরও একটি নির্বাচন। তখন সরকারের ক্ষমতার পালাবদল হবে। অতএব এবারের নির্বাচনে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকবে।
চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সবুর বলেন, আমরা শান্তি চাই। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সবার দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য। মনে হচ্ছে, তা থেকে আমরা দূরে সরে গেছি। প্রার্থীরা দেশসেবার জন্য আমাদের কাছে ভোট পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছে। নির্বাচন আসলেই প্রতিশ্রæতি থাকে অনেক কিছু। কিন্তু নির্বাচনের পরে হারিয়ে যায় সেসব প্রতিশ্রæতির বাস্তবায়ন। তাই এবার নির্বাচনে অনেক ভেবে চিন্তে ভোট দেব যদি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা মো. ফারুক বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। বেড়েই চলেছে উত্তেজনা। কোন পক্ষ জিতবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। অধিকাংশ মানুষের বিচারে নির্বাচনের পক্ষ হলো মূলত দুইটি। অর্থাৎ নৌকা পক্ষ এবং অন্যটি ধানের শীষ পক্ষ। তাই ফারুকের মনে একটি প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি ঘোরাফেরা করছে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে কোন পক্ষ জিতবে এবং কারা জিতলে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে যারা সত্যিকার রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করবেন তাকেই ভোট দেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।