পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহের ১১ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১০ টিতে এখন পর্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীরা। হামলা-হুমকি সত্তে¡ও সাহস করেই ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বেশ কয়েকটি আসনে রীতিমতো ধানের শীষ প্রতীকের জোয়ার ওঠেছে। মূলত এতে করে বেসামাল হয়ে উঠেছেন প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা, এমন অভিযোগ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের।
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে এখনো প্রার্থী চ‚ড়ান্ত করতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট। ঋণখেলাপি হওয়ায় প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগরের প্রার্থীতা স্থগিত করে উচ্চ আদালত। পরবর্তীতে আপিল বিভাগেও সেটি বহাল থাকে। এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন হাইকমান্ড টিএইচ খানের ছেলে আফজাল এইচ খানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়।
পরে উচ্চ আদালত তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে তার নামের পাশে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। এখন এই আসনে দুই প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। দ্রæত সময়ের মধ্যে এখানে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা না গেলে আসনটিতে আওয়ামী লীগের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি।
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান এমপি শরীফ আহমেদ। এই আসনে বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার। এখানে বিএনপি জয়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ক’দিন আগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ারের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পরদিন নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শাহ শহীদ সারোয়ার এবং ওই হামলায় বিএনপি’র ১০ নেতা-কর্মী আহত হন বলেও দাবি করেন তিনি। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ, এখনো উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে জনসংযোগ চালাতে তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীদেরও হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন। আসনটি আওয়ামী লীগের। এখানে এখন পর্যন্ত বিএনপি প্রার্থীর বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী বেগম রওশন এরশাদ। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ দিনরাত জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। দিনরাত প্রচার-প্রচারণা ও জনসংযোগে এগিয়ে রয়েছেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।
এই বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম নেতা ও নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মাহাবুব জানায়, গত ৫ দিনের জনসংযোগে ধানের শীষের প্রার্থী প্রায় লক্ষাধিক ভোটারের কাছে পৌঁছতে পেরেছেন বলে বিশ্বাস করি। আগামী দিনগুলো আমরা সকল পর্যায়ের ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে যেতে পারবো বলেও আশাবাদী। গত শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ঐক্যফ্রন্ট এখানে বিশাল নির্বাচনী পথসভা করে যাওয়ার পর ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা দ্বিগুণ শক্তিতে চাঙ্গ হয়ে ওঠেছেন।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি কাজী খালিদ বাবু। বিএনপি’র প্রার্থী জাকির হোসেন ওরফে ক্লাসিক বাবলু। আসনটি আওয়ামী লীগের। ক’দিন আগে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে বিএনপি’র প্রার্থীর ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এরপরেও হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৫বারের এমপি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। এখানে বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার শামছ উদ্দিন আহমেদ। এই আসনটি সবচেয়ে শান্ত। এখানকার রাজনীতি অনেকটাই ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি ভাই ভাই।’ তবে ভোট আরো ঘনিয়ে আসায় এবার চিত্রপট একটু বদলে যেতে পারে। কারণ আসনটিতে ঐক্যফ্রন্টের জেতার সম্ভাবনা প্রবল।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে মহাজোটের প্রার্থী সাবেক এমপি রুহুল আমিন মাদানী। বিএনপিতে প্রার্থী দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: মাহাবুবুর রহমান লিটন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে নির্বাচনী পথসভা করার পর উজ্জীবীত হয়েছেন ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। এখানে এখন পর্যন্ত কোন হামলা না প্রতিরোধ না হলেও শঙ্কা রয়ে গেছে। মনোনয়ন বঞ্চিত দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জয়নাল আবেদিন ভোটের মাঠে সক্রিয় না হলে আওয়ামী লীগ আসনটিতে গোল দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি ফখরুল ইমাম। এই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম.খালেকুজ্জামান। এই আসনে ভোট ডাকাতির শঙ্কা প্রকাশ করছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের মাথায় লাল কাপড় বেঁধে ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন। এই আসনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালাম। এই আসনে বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী। ক্ষমতাসীনদের কোন্দলের কারণে আসনটি এবার ঐক্যফ্রন্টের দখলে যেতে পারে। এখানে এখন পর্যন্ত হামলা-হুমকির কোন খবর নেই।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এলডিপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ মোর্শেদ। ক’দিন আগে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। তবে এখানেও কোন হামলা-মামলার খবর নেই।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিন ধনু। বিএনপি’র প্রার্থী ফখর উদ্দিন বাচ্চু। পর পর ক’দিন এই আসনে বিএনপি প্রার্থী ও দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। তবে জীবনবাজি রেখেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোটের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বাচ্চু। ভোট কারচুপির শঙ্কা আছে দলটির নেতা-কর্মীদের মাঝে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।