পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : গরু-হত্যা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের বিতর্কিত নির্দেশ বহাল রেখেছে বম্বে হাইকোর্ট। যদিও রাজ্যের বাইরে থেকে আনা গরুর গোশত রাখা বা খাওয়া কোনওভাবেই বেআইনি নয় বলে জানিয়েছে আদালত।
মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে হাইকোর্টে একগুচ্ছ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট সরকারি নির্দেশকে বহাল রাখল। শুনানি শেষ হওয়ার পর গত জানুয়ারিতে রায়দান স্থগিত রেখেছিল বিচারপতি এ এস ওকা এবং বিচারপতি এসসি গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট মহারাষ্ট্রের পশু সংরক্ষণ (সংশোধনী) আইন-এ সম্মতি দিয়েছিলেন। ১৯৭৬-এর মূল আইনে গরু-হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধনীতে এর সঙ্গে ষাঁড় ও বলদ হত্যা এবং সেগুলির গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। নয়া আইন অনুযায়ী গরু-হত্যা করলে পাঁচ বছর জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। অন্যদিকে গরু, ষাঁড় বা বলদের মাংস রাখলে এক বছরের জেল ও ২ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
শুনানি চলাকালে গরু-গোশত রাখার জন্য শাস্তির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
গরু-গোশত রাখলে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরিফ কাপাডিয়া নামে মুম্বাইয়ের এক বাসিন্দা ও বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ জাগতিয়ানি। তাদের আবেদনে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে মুম্বাইয়ে। এর মধ্যে এ ধরনের আইন শহরের সর্বজনীন চরিত্রকে খাটো করবে।
অন্য পিটিশনগুলিতে যুক্তি দেওয়া হয়, গরুর গোশতে নিষেধাজ্ঞা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের সামিল। সূত্র : এবিপি আনন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।