পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২৬ মে’র মধ্যে রামকৃষ্ণ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজিত ‘হিন্দুত্বাদের সিলেবাস’ বাদ দেয়ার ঘোষণা না দিলে ২৭ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের মাধ্যমে ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পরবর্তী বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গতকাল বাদ জুমআ রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ‘ধর্মহীন শিক্ষানীতি, সেক্যুলার শিক্ষা আইন এবং হিন্দুতববাদÑ নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস’ বাতিলের দাবিতে আয়োজিত বিশাল গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই একথা বলেন।
নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে নগর সেক্রেটারি আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও এইচ এম সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ আমিনুল ইসলাম, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন, শিক্ষক নেতা এবিএম জাকারিয়া, ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, শ্রমিকনেতা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, সৈয়দ ওমর ফারুক প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী রাসূল সা. ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবনচরিত বাদ দিয়ে রামকৃষ্ণ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজিত করা হয়েছে, যা ৯৫% মুসলমানের ঈমান ও আমালে চরম আঘাত। তিনি বলেন, গরুকে মা সম্বোধন করে কোমলমতি শিশুদের হিন্দুত্ববাদ শিখানো হচ্ছে। দেব-দেবির নামে বলি দেয়া গরু বা পাঠা হালাল বলে শিখানো হচ্ছে। এভাবে সরকার ছাত্রছাত্রীদের মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। পীর সাহেব দাবি আদায়ে আগামী ১০-২৬ মার্চ জনমত গঠনের লক্ষ্যে উল্লেখিত বিষয়ে খোলা চিঠি বিতরণ, ১২ মে দেশব্যাপী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান, ১৬ মে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি, ২০ মে শিক্ষক সমাবেশ, ২১ মে উলামা মাশায়েখ সম্মেলন-এর কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। তিনি ২৭ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশসহ সকল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ক্ষমতাসীনদের ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শ বাস্তবায়নে ইসলামই একমাত্র বাধা। তাই তারা সিলেবাসের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদেরকে ঈমান ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদে ধাবিত করতেই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌনাচার শিক্ষার নামে অবাধ যৌনাচারে উদ্বুদ্ধ করছে। সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নাস্তিক হওয়ায় তিনি কৌশলে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য সিলেবাসে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুতববাদ প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটা শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মুসলমানিত্ব ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ এবং হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মুসলমানিত্ব ধ্বংস করতে দিতে পারি না। কারণ তারা কৌশলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেঈমান বানাতে চেষ্টা করছে।
সভাপতির বক্তব্যে এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নাস্তিক বানাতে আধুনিক ও প্রগতিশীলতার নামে পরিকল্পিতভাবে পাঠ্যবইয়ে, নাস্তিক্যবাদী ও হন্দিুতববাদী লেখা সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ঈমানদার জনতাকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি ধর্মহীন সেক্যুলার শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন বাতিলের আহবান জানান।
সমাবেশ শেষে বিশাল গণমিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন ও দৈনিক বাংলা ঘুরে উত্তর গেটে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
আ. লতিফ নেজামী
স্টাফ রিপোর্টার : নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করা না হলে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি গতকাল বাদ জোহর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ঢাকা মহানগরের এক প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এ দেশের ৯৫% শতাংশ মুসলিম অধ্যুসিত দেশে হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদ প্রবন্ধ, গল্প ও কবিতা পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেসিত করার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চরণ করে বলেন, এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রাণের দাবি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসলামী ছাত্রসমাজ মহানগর আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক শেখ লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আশরাফুল হক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের খান।
প্রতিনিধি সম্মেলনে মোঃ আতিকুর রহমানকে সভাপতি, আমির জেহাদীকে সাধারণ সম্পাদক, মোঃ রইছ উদ্দিন যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ও ফখরুল ইসলামকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করে ইসলামী ছাত্রসমাজ ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।