ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কমানোর বিষয়ে ভাবছে
নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা বলেছেন, ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে হবে। ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমানো বা বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও বিকেল ৪টার পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে
নির্বাচন কমিশনের ইটিআই ভবনে নির্বাচনের দিন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই এম এস), ক্যান্ডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন হেলালুদ্দীন আহমদ।
ওই অনুষ্ঠানে ইটিআই-এর পরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছিল। তারা আমাদের বলেছেন, ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে হবে। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিলে আপনাদের কী কোনো অসুবিধা হবে?
প্রশিক্ষণার্থীদের অসুবিধা হবে বলে সমস্বরে জানালে ইসি সচিব বলেন, ‘আপনারা তো রেজাল্ট পাঠাবেন ৫টার পর থেকে। যদি ৫টার পর থেকেই ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে তো সমস্যা নেই। তাহলে আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখবো। অর্থাৎ বিকেল ৪টার পর ফুল স্পিডে ইন্টারনেট থাকলে আপনারা ওকে।’
সচিব বলেন,
নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৩০০ আসনে নির্বাচন করা বিশাল ব্যাপার। আমাদের দেশে রাজনীতিক সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে আমাদের জন্য কাজ করা সুবিধা। বাংলাদেশে টিভিতে টক শো হলেই দেখবেন
নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথাবার্তা চলছে।
নির্বাচন কমিশনে আপনাদের চেয়ে এক্সপার্ট আর কেউ নাই। আপনারা উপজেলা অফিসে আপনাদের কাজ। মানুষের ভোটার আইডি কার্ড কারেকশন, বয়স কমানো বাড়ানো
ইত্যাদি কাজ। নির্বাচন উপলক্ষে এসব আপাতত বন্ধ রয়েছে। তাহলে আপনাদের এখন কাজ কী? জাতীয় নির্বাচনে কাজ আছে।