পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ পবিত্র ১১ রবিউসসানি, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। ফাতেহা অর্থ মহান ওলী আউলিয়া তথা মনীষীগণের জন্য দোয়া। এদিন ওলীকুল শিরোমনি, তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকিহ, দার্শনিক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সুবক্তা ও কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাত গাউসুল আজম হযরত শেখ মুহিউদ্দীন বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) ওফাত বার্ষিকী। এ দিবসটি সারা বিশ্বে বিশেষ করে এ উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহর রাসুল (সা.) পর্দা করার পর সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়িন ইমামদের সোনালী যুগে কোরআন-হাদিসের আলোকে দুনিয়া ছিল ঝলমল। পরবর্তীতে ভোগবাদী স্বার্থাম্বেষী ও বিজাতীয় ষড়যন্ত্রের ফলে উম্মতের ঐক্য নষ্ট হয়ে বিভিন্ন ফেরকার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মুসলমানদের বিজয়ের ধারা মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু মহান ওলীগণ জিহাদের ময়দান থেকে সামান্য সময়ের জন্যও পিছু হটেননি। তাঁরা শরিয়ত, তরিকত, হাক্কিকত ও মারিফাতের ঝান্ডা নিয়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছুটে চলতে শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন লাখ লাখ দ্বীনি মারকাজ, মসজিদ-মাদরাসা ও খানকা। এরূপ প্রতিটি খানকাই ছিল তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। অপরদিকে ছিল শাসনকার্যের দফতর তথা ক্যান্টনমেন্ট স্বরূপ। এ সব খানকা থেকেই এলমি রূহানি যোগ্যতা নিয়ে বের হয়েছিলেন হাজার হাজার মর্দে মুজাহিদ। যারা ঘর ছেড়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে দ্বীনের প্রচার প্রসারে বের হয়ে কাজ সম্পন্ন করে ওফাত লাভ করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছিলেন হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)।
বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) সাপ্তাহিক মাহফিলে তৎকালীন জমানায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ হাজির থাকতেন। তার কণ্ঠের আওয়াজ এবং আহŸান শুনে অনেকেই আর ঘরে না ফিরে ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বের সর্বত্র। কোটি কোটি মানুষ তাদের নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের ওলীগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশির ভাগই কাদেরিয়া, চিশতিয়া তরিকার শায়খ বা পীর। এ মহান ব্যক্তির ৫৪ জন সন্তানের পরবর্তী বংশধরগণ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে গেছেন। এমতাবস্থায় ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ১১ শরীফ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কত বেশি তা একজন বুঝদার ও বিবেকবান লোকের জন্য বোঝা কঠিন নয়। এরপরও যারা ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের গুরুত্ব দেবে না, বুঝবে না তারা গাফেল।
রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাওসুল আজমে ফাতেহা ইয়াজদাহম উপলক্ষে আজ বাদ মাগরিব থেকে বিশেষ ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াজ করবেন ড. প্রিন্সিপাল মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, মাওলানা ওসমান গনি সালেহী প্রমুখ। মুনাজাত করবেন গুলশান কেন্দ্রিয় মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক।
ঢাকা আঞ্জুমানের ফাতেহা
ইয়াজদাহম মাহফিল আজ
আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ঢাকা ট্রাস্টের উদ্যোগে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)’র ওরশ মোবারক ‘ফাতেহা ইয়াজদাহম’ উদযাপিত হবে আজ। এ উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গনে বাদ ফজর হতে পবিত্র কোরআন খতম, খতমে তাহ্লিল, খতমে মুজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসুল (সা.), খতমে গাউসিয়া শরীফ অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১.০০ টা থেকে গেয়ারভী শরীফ এবং গাউছ-এ-পাকের জীবনালেখ্যের ওপর কোরআন ও হাদীসের আলোকে নুরাণী তাকরীর পেশ করবেন দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ।
মাহফিলে সকল পীর ভাই-বোন ও রাসূল (সাঃ) প্রেমিক ও আশেকানগণকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।