Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোর জুলুম করে বৃটিশ, পাকিস্তানিরা থাকতে পারেনি এ সরকারও থাকতে পারবে না - মেজর হাফিজ

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:১৮ পিএম | আপডেট : ৯:৫৩ এএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রচার প্রচারনায় বাধা,নেতা কর্মীদের গ্রেফতার,বিএনপি কর্মী ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া সহ ভোলা - ৩ অাসন সহ সারা দেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ভোলার লালমোহনে তার নিজ বাসায় গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক মন্ত্রী মেজর ( অবঃ) হাফিজ উদ্দিন অাহমেদ বীর বিক্রম।
এ সময় তিনি বলেন অামি এ এলাকার ৬ বার নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ছিলাম, মন্ত্রী ছিলাম। তখন এ এলাকা ছিল শান্তির জনপদ। ২০১০ সালে এখানে উপনির্বাচনে অংশ গ্রহন করে দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনওই নিরপেক্ষ হয় না। তারপর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস, নির্যাতন,লুটপাট শুরু হয়ে গেছে।
 সরকারের তৈরি করা একটি অাজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে।কোন সমতল পরিবেশ নেই নির্বাচনের।সারাদেশে ঐক্যফ্রন্ট  প্রার্থীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন,গন গ্রেফতার চলছে। অথচ মেরুদন্ড ভাঙ্গা নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে অাছে।নির্বাচন কশিশন সরকারের নির্দেশ পালন করে চলেছেন।তাদের খুশি করার জন্য ব্যাস্ত রয়েছে। অামি অামার এলাকায় অাসার কথা শুনে ঢাকা থেকেই অামার নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা দেয়া হচ্ছে। অামি লালমোহনে অাসার পর ৪০ হাজার নেতা কর্মীরা অামাকে ১৩ কিলোমিটার দুর থেকে পায়ে হেটে অামাকে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে অাসে। নেতা কর্মীরা বাড়ি যাওয়ার পথে তাদের উপর সন্ত্রাসীরা অাক্রমন করে অনেককে কুপিয়ে, পিটিয়ে প্রায় ৪০/৫০ জনকে অাহত করে। তাদের হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারিনা।বাসায় চিকিৎসার ব্যাবস্থা করছি। রাতের বেলায় গুলি ও বোমের শব্দ শুনা যায়। এলাকায় অাতন্ক বিরাজ করছে। সারা পৃথিবিতে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়।অথচ এই সরকার তাদের করা সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচন তাদের তৈরি করা নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করছে। তাদের পাতানো নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা নিয়ে তিনি বলেন অাপনারাও দেখছেন নির্বাচনী পরিবেশ নেই। তারপরও অামরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছি এ জন্য যে দেশের মানুষ দেখুক, জানুক যে অাওয়ামী লীগ দেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জোড় করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। জোড় করে বৃটিশ,পাকিস্তানিরা ক্ষমতায় থাকতে পারে নি এ সরকারও থাকতে পারবে না।সাধারন মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ঐক্যজোট প্রার্থীরা বিপুল জন সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হবে।তবে সংসদ না ভাঙ্গার কারন হিসেবে তিনি বলেন সরকার বুজতে পেরেছে তারা ক্ষমতায় থেকে যে অন্যায় অত্যাচার,কালোটাকা ঝমিয় লুটপাট করেছে তাদেরকে দেশের মানুষ অার ভোট দিবে না।বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট জিতে যাবে।  তখন নির্বাচন কারচুপির অজুহাত দিয়ে তাদের সংসদ ডেকে জোড় করে ক্ষমতায় থাকার চেস্টা করবে।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে মেজর হাফিজ অারো বলেন বর্তমান সংসদ সদস্যদের পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে নির্বাচন চালিয়ে যাচ্ছে।অামারা নির্বাচন কাজ করতে পারছি না। নির্বাচন অাচারন বিধি নিয়ে তিনি বলেন একটি পৌরসভায় ২৮ টি নির্বাচনী অফিস,প্রতি ইউনিয়নে ১৫/২০ টি অফিস করে নির্বাচন কার্য্রক্রম পরিচালনা করছে। অথছ অামার কর্মীরা ঘড় থেকে বেড় হতে পারছে না।অাতঙ্ক সৃস্টি করে নির্বাচনে যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে  না অাসতে পারে সে জন্য ভোটারদের বলা হচ্ছে নির্বাচন কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য।তবে অামারা অাশা করি বাংলাদেশের একমাত্র ভড়শার স্থল বিশ্বস্থ সেনা বাহীনি মাঠে অাসলে নির্বাচনী পরিবেশ ভাল হতে পারে। যদি সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ পায় ভোটাররা যদি সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার  প্রয়োগ করতে পারে তাহলে এ দেশের মানুষের শান্তির প্রতিক ধানের শীষে ভোট দিয়ে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের বিজয়ী করে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ঐক্যফ্রন্ট / বিএনপি সরকার গঠন করবে।



 

Show all comments
  • আখতারুজ্জামান ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৩০ পিএম says : 0
    দেশবাসী একদিন ভোটের অধিকার এর জন্য এই গুম সরকার কে ফাঁসিতে ঝুলাবে
    Total Reply(0) Reply
  • mahabub ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৮ পিএম says : 0
    ২০০১-২০০৬ হাফিজ সাহেবরা কি করেছিলেন ও তার দল বিএনপি। সব কিছু ভূলে যাবেন না। আর ইলেকশনের কথা বলেন লজজা হয় না আপনাদের? মানুষ সব এতই বোকা? ঢিল মেরে দেখালেন আপনারা ঢিল তো খেতে হবেই আপনাদের!তার উপর অন্য কে হায়ার করে আনলেন নিবাচনের জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:১১ পিএম says : 0
    ওদের কি আর লজ্জা শরম আছে? ওরা কালপিটদারি ওদের শরম নাই। জনগণ একদিন ওদেরকে ধরিয়া উস্টাইবেন দেখিবেন। ইনশাআল্লাহ। *********
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ