Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে* এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই

ছয় প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:০৭ পিএম | আপডেট : ৭:৫৭ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু নেই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটিই এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে। আপনারা নিজেদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা? উত্তর পেয়ে যাবেন। আমি মনে করি,সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।

নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে কর্তব্যরত চার সাংবাদিকের অর্ধডজন প্রশ্নের লিখিত জবাবে মাহবুব তালুকদার নির্বাচনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। ছয়টি প্রশ্নের জবাবে তুলে দেয়া হলো। ১. আপনার মতে নির্বাচনে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি? আমি মোটেও মনে করি না নির্বাচনে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন একটা অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে। ২. সিইসি বলেছেন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। আপনি কী তার বিরোধিতা করছেন? আমি কখনো তার বক্তব্যের বিরোধিতা করি না। তিনি তার কথা বলেন। আমি প্রয়োজনে আমার ভিন্নমত প্রকাশ করি। আপনারা তো সাংবাদিক। আপনারা দেশের সব খবর রাখেন। সবকিছু দেখেন। আপনারা নিজেদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, নির্বাচনে এখন লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি না, তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন।
৩. সারাদেশ থেকে বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেয়ার নানা অভিযোগ আসছে। এ অবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন কী সম্ভব? আমি আশাবাদী মানুষ। এখনও যে সময়টুকু আছে তাতে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির বিচারকদের আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করা উচিত। আমি মনে করি,সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জকভাবে পাল্টে যাবে।
৪. সিইসি বলেছেন, সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হবে। আপনিও কি তাই মনে করেন? সবদল অংশগ্রহণ করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কিনা এবং বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে কি না? নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাভ নেই।
৫. নির্বাচনে জনপ্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে? জবাবে তিনি জানান, নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না। রিটার্নিং অফিসার, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের বাহিনীর সদস্যরা কতটা তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, তা তারা বলতে পারবেন।
৬. বর্তমান অবস্থায় আপনার কী কোন মেসেজ আছে? এর জবাবে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রার্থী, ভোটার এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ আইনের বাইরে যাবেন না। আইনকে নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলুন। নির্বাচনকে সাফল্যমন্ডিত করতে সহায়তা করুন।



 

Show all comments
  • হতদরিদ্র দীনমজুর ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৫৫ পিএম says : 2
    আপনার সত্যকথা বলার জন্য সাধারন জনগন ধন্যবাদ জানাচ্ছি਀আসলেই বিবেক বান মানুষ স্বীকার করবে লেবেল প্লেয়ীং ফিল্ড সত্যিই নাই਀তবে সদিচ্ছা থাকলে যতটুকু সময় আছে তাতে সম্ভব਀
    Total Reply(0) Reply
  • রিপন ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৪৮ পিএম says : 3
    দুই নম্বর প্রশ্ন নিজেই প্রমাণ দিচ্ছে সেইটি আগাগোড়া দুই নম্বরী প্রশ্ন। এমন ফালতু প্রশ্ন করে যেসব সাংবাদিক, তারা সাংবাদিকতা পেশার ওপর কলঙ্ক লেপন করে চলেছে। সাংবাদিক হতে হলে পড়াশোনা করতে হবে প্রতিদিন, সেসাথে মেরুদণ্ডখানিকেও রাখতে হবে ঋজু দৃঢ়, প্রয়োজনে ফোর্থ স্টেটের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে যথেষ্ট স্বাধীন, দ্রোহী। ওরকম না হতে পারলে এই পেশা ছেড়ে অন্য কিছু করলে ভালো হয়। চার নম্বর প্রশ্নে এসে প্রখর বুদ্ধিমত্তা আর প্রজ্ঞার ছাপ দেখে যারপরনাই চমৎকৃত হলাম। সেটি জনাব মাহবুব তালুকদারের বুদ্ধিমত্তা আর প্রজ্ঞা। এমন সুযোগ্য ব্যক্তিত্বটিকে আরও ভালো সুযোগ সুবিধে আর ক্ষমতা দিয়ে পদায়ন করলে জাতিই লাভবান হবে। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৯ এএম says : 1
    নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার নিজের বৈশিষ্টে এখন একটা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে সাংবাদিকদের লিখিত প্রশ্নের জবাব লিখিত ভাবে দিয়ে...... আমার ব্যক্তিগতভাবে সন্দেহ হচ্ছে তিনি এখানে হয়ত সরকারের স্বার্থই রক্ষা করছেন?? আমার দৃষ্টিতে সব কয়জন কমিশনারই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক তাই তারা দেশের আইন যেমন অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াও। যেটা হওয়া দরকার ছিল ’৭২ সালে, না হওয়াতে বাঙালীরা হয়েগেছে বাংলাদেশী আবার বাঙালী জাতীয়তা বোধ থকে যে যুদ্ধের সৃষ্টি এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই বাঙালী জাতীয়তা বাদ হয়েগেছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ তাই না?? এখন বর্তমান সরকার ’৭২ নীতি থেকে সড়ে গিয়ে দেশদ্রোহীদের বিচার করেছে এখন অপশক্তিকে প্রতিহত করার অভিযানে নেমেছে কাজেই এনারা নির্বাচন কমিশনের লোকজনরাও মুক্তিযুদ্ধের এই নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি?? যাইহোক যেটা বলছিলাম মাহবুব তালুকদারকে সাংবাদিকদের ধর্ম অনুযায়ী বেকায়দার প্রশ্ন করা হয়েছিল ২ নং প্রশ্ন কারন এইত সেদিন বুদ্ধিজীবীদের কবরে কামাল মিয়াকে বেকায়দার প্রশ্ন জামাত নিয়ে করায় তিনি তার ভারসাম্য হারিয়ে বেফাস কথা বলেছেন মানে তার ভিতরে যে ভাষা সবসময় চলাফেরা করে সেই পাকিস্তানী ভাষায় ‘খামোশ’ সাংবাদিককে ধমক দিয়ে ওনার মুখোশের একটা অংশ খুলে দিয়েছেন। অবশ্য এটা তার অভিনয়ের অংশ ছিল কিন্তু খামোশটা এসে গেছে ওনার অসাবধানতার কারনে বাকী অংশ গুলো সঠিক ছিল তার অভিনয়ের। কারন তিনি চাচ্ছিলেন একটা উত্তেজনার সৃষ্টি হউক আর তাদেরকে হামলার সম্মুখীন হতে হয়। আবার সেই হামলার ব্যাবস্থাও তারাই করে রেখেছিলেন আগেই, নয়ত এটা যদি প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের লোকদের হামলা হতো তাহলে তাদের অক্ষত অবস্থায় ফিরে যাবার কথা নয় এটাই সত্য। কাজেই মাহবুব সাহেবকে তার আসোল রূপ উদ্ঘাটনের জন্যেই এই প্রশ্নের সৃষ্টি কিন্তু অতি বুদ্ধিমান কমিশনার মাহবুব সাংবাদিকদের নাজেহাল থেকে নিজেকে রক্ষার জন্যে লিখিত প্রশ্ন ও জবাবে চলে গেছেন। এভাবে লিখিত জবাব কম শিক্ষিত লোকেরাও দিতে পারেন যেমন খালেদা বিবি লিখিত জবাব দিতেন আর উপস্থিত প্রশ্নের জবাব দেখা যেত ডঃ চৌধুরী দিতেন। শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য যে, আমার কাছে মাহবুব সাহেবকে মনে হচ্ছে তিনি একটা সুন্দর অভিনয় করে যাচ্ছেন সেটা অবশ্যই আমাদের (মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের) স্বার্থে...... আল্লাহ্‌ ভাল জানেন এটাই মহা সত্য। সেনাবাহিনী নামানোর বিষয়ে আমি বলতে পারি এতে কোন লাভ নেই কারন অপশক্তিকে ঠেকানোর যে আইন ও তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা ও গ্রেফতারী পরওয়ানা রয়েছে সেসব তাদেরকে দেখা মাত্রই কার্যকর করবে আইনের লোক এটাই সত্য। এখন পুলিশ, র্যা ব, বিডিআর বা সেনাবাহিনী এনারা সবাই আইনের লোক তাই এনারা চলতি আইন পালন করে যাবেন এটাই সত্য তাই না?? আর তাই যদি হয় তাহলে এখন যা হচ্ছে তখনও তাই হবে এটা আটকানোর কোন পন্থাই এখন আর নেই। কাজেই এখনই সেনাবাহিনীকে নামালে সবকিছুর সমাধান হবে এটা ঠিক নয়। আর লেবেল প্লেয়িং আগে যেটা আমরা দেখতাম সেটা হচ্ছে অন্ধকার ঘরের মানুষেরা নির্বাচনের নামে বাহিরে এসে ভোট নিয়ন্ত্রন করতো আর দেশের রাজা পুলিশ তাদেরকে দেখেও না দেখার ভান করতো লেবেল প্লেয়িং এর নামে। এখন এই অন্ধকার ঘরের লোকদেরকে (অপশক্তি মানে দেশদ্রোহিদেরকে) আইন করে ঠেকানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে কাজেই এরা অন্ধকার থেকে বের হলেই ধরা পরবে। এখন যদি এটাকে লেবেল প্লেয়িং হচ্ছেনা বলা হয় তাহলে সেটা কি আইনে টিকবে??? মাহবুব সাহেব এই ছোট্ট বিষয়টা বুঝেন না এটা মানতে আমার মন চাচ্ছে না...... আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সত্য বলার, সত্যকে বুঝার এবং সত্য পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • মো নাহিদ হাসান সরকার ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৫ পিএম says : 0
    নির্বাচন কমিশন সাহেব মাহবুব যে কথা গুলো বলেছেন আমি তার সাথে এক মত। আমরা সাধারন মানুষ চাই সেনাবাহিনী কে ফুল পাওয়ার দিয়ে নামানো হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ