Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসিতে ড. কামাল হোসেন মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করব না, প্রয়োজনে লাশ নিয়ে ভোট দিতে যাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৩১ পিএম

ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মরে গেলেও আমরা নির্বাচন বর্জন করব না। প্রয়োজনে লাশ নিয়ে ভোট দিতে যাব। তবু ভোট কেন্দ্র ছাড়া হবে না।
আজ সোমবার দুপুরে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে দেশের বিভিন্নস্থানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাতে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যফ্রন্ট। তিন ঘন্টারও বেশি সময় চলা বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন দেশজুড়ে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সব ধরণের হামলা-মামলা বন্ধ করতে হবে। ইসির সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে কিন্তু তার কোনো প্রয়োগ দেখছি না। দুদিনের মধ্যে অ্যাকশন দেখতে চাই। আজ থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
এর আগে দুপুর দেড়টার পরপর নির্বাচন কমিশনে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। ইশতেহার ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ কমিশনে পৌঁছান। ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বৈঠকে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ. স. ম. রব, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মোহসিন মন্টু প্রমুখ।
প্রচারণা শুরুর পর থেকে দেশজুড়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর একের পর এক হামলা ও পুলিশি গ্রেফতার হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই প্রতিনিধিদলের নির্বাচন কমিশনে আসা। বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের আশায় যখন বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছে ঠিক তখন পুলিশ, সাদা পোশাকধারী লোকজন ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডাররা বিভিন্নস্থানে প্রার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছে, গুরুতর জখম করছে। পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে, বিনা কারণে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। চিঠির সঙ্গে দেশজুড়ে হয়রানি, হামলা ও গ্রেফতার একটি তালিকাও সিইসির কাছে হস্তান্তর করা হয়।



 

Show all comments
  • বিপ্লব ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:১০ পিএম says : 0
    এটা কি হচ্ছে সবাইরে অধিকার আছে যে যার দলে শোলগান দিতে পারে পুলিশ এটা কি করতেছে আমি কিছুই বুঝিনা আওয়ামীলিগের সাথে পুলিশ কেন পুলিশ থাকবে জনগনের পাশে দেশের পরিস্থিতি ঠান্ডা করবে সে কি না এভাবে কখনো দেশ শান্তি থাকবে না প্রশাসন কে কঠর হতে হবে তবেই তো ভোটের পরিস্থিতি নিয়এন করতে পাবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ