Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পূর্ণ পুতুল হিসেবে কাজ করছে ইসি

সরকার নির্বাচন করতে দিতে চায় না : ইসিতে বিএনপির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

বর্তমান সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে। এ কারণে বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে থাকতে দিতে চাইছে না। আর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ পাপেট (পুতুল) হিসেবে কাজ করছে। দেশে বড় ধরনের সহিংসতা এড়াতে এখনই সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি
গতকাল রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত বিভিন্ন জেলার বিএনপির প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগ জানানোর পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারদের সাক্ষাৎ না পেয়ে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে। তাঁরা ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের গুলি, গ্রেফতার ও আওয়ামী লীগের আক্রমণ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি চিঠি দেন। বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার তাদের নির্বাচনের মাঠে থাকতে দিতে চাইছে না। তারা আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে। আর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ পাপেট (পুতুল) হিসেবে কাজ করছে। এখন থেকেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে দলটি।
সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দীন খোকনের প্রচারে হামলা হয়েছে। উল্টো বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেন পুলিশই এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ। ঢাকায় বিএনপির কেউ প্রচারে নামতে পারছেন না। সিইসি বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ আছে। তারা জানতে চান, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের সংজ্ঞা কী? একপক্ষ সব সুবিধা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে আর অন্যপক্ষ পোস্টারও লাগাতে পারছে না। তিনি বলেন, তাদের কোনো প্রার্থীই প্রচারণা চালাতে পারছেন না। ঢাকায় কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারছেন না। পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না। গ্রেফতার করছে। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তখন বিরাট সহিংসতা ঘটবে। তাই এখনই সেনা নামান।ইসিতে একটি লিখিত অভিযোগে বলেন, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হবিগঞ্জে বিএনপির আটজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম-১ আসনে বিএনপির কারাবন্দি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে গণসংযোগ চালানোর সময় নগর বিএনপির সহ-সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও দেড় হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। চিঠিতে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য এসব বন্ধে ইসিকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপির ওপর আক্রমণ হলেও বিএনপি প্রতিরোধ গড়ে তুলছে না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে আছে। এ নির্বাচন অস্তিত্বের লড়াই। বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো সহিংসতা হোক, সেটা তারা চান না।



 

Show all comments
  • Shahadat ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৫৯ এএম says : 0
    This is the difference between care taker govt and political govt. The fair election is never possible without care taker govt. So Why Bnp did not particiate in 2014 election. but This year they have No way to participate. BAL is KAPORUSH, they are using police and admin against Bnp. You are telling more development, Why You are afrading and using police, nobody have ever seen in the world. world is seeing , comenting is It Bangladesh ! We are seeing the election of napal ,srilanka, india, even pakistan, but How funny the election in Bangladesh. BAL IS AFRADING TO LOSS THE POWER.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ