পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিস্থিতি যাই হোক দেশের মানুষ হয়ে পড়েছে নির্বাচনমুখী। জাতিসংঘ, উন্নয়ন সহযোগী দেশসহ আন্তর্জাতিক মহল যেমন চায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন; তেমনি দেশের মানুষ ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ পরিস্থিতির সত্যিকার বাস্তবায়ন চায়। ভোট দেয়ার জন্য দেশের মানুষের মধ্যে এতো ক্রেজি ভাব ১৯৭০ সালের পর আর দেখা যায়নি।
’৯০ এ রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ’৯১ সালের নির্বাচন এবং ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচনেও এমন উন্মুখভাব দেখা যায়নি। নতুন ভোটার, মহিলা ও অধিক বয়সীরা ভোট দেয়ার জন্য ক্রেজি হয়ে গেছেন। ৫০% নারী ও ২৬% নতুন ভোটার যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের কাজটিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছেন। নির্বাচনে কে জিতবে তা নিয়ে তাদের তত মাথাব্যাথা নেই, কিন্তু তারা ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় একটি শ্লোগান চালু করেছিলেন, দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। মানুষ একথাটি খুব ভালো ভাবে নিয়েছিলো। এবার তারা ভোটের অধিকার বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর। এপথে হাজার বাধা ডিঙ্গাতেও যেন তারা প্রস্তুত। আপাতত কিছু বাধা বিপত্তি থাকলেও মানুষ ভাবছে জন বিষ্ফোরণের সামনে এসব বাধা টিকবে না। যেটুকু সমান ক্রীড়া ক্ষেত্র হয়েছে তা যথেষ্ট না হলেও সেনাবাহিনী নামলে মানুষ এতোটুকু সমতল মাঠেই ভোট দিতে বের হয়ে আসবে।
ফলাফল যাইহোক একটি সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চায়। সুন্দর নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, অবাধ নির্বাচন যে দলীয় সরকারের অধীনেও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও বিশ্বকে তার ন্যায়পরায়ণতার তার প্রমাণ দিতে সক্ষম হবেন এ আশা মানুষ করতে চায়। কারণ প্রায় এক যুগ ধরে তারা মনের মতো করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। বিশেষ করে গত নির্বাচনে ভোটারের কোনো উপস্থিতি ছিলনা বললেই চলে। খুব কষ্ট করে হলেও তাদের উপস্থিতি ছিল ৫%। যদিও টেনেমেনে দেখানো হয়েছে ৩০-৪০ ভাগ। আবার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন বিনা ভোটে সরকার পেয়ে গিয়েছিল। যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদের রূপ নয়।
তফসিল ঘোষণার পর ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ গঠনের পরিবর্তে ইসির কিছু নতজানু সিদ্ধান্ত ও সিইসি ও ইসি কমিশনারদের বিতর্কিত স্ববিরোধী কথাবার্তায় কে এম নুরুল হুদা কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থায় চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ইসির প্রতি মানুষের এক ধরনের অনাস্থা এরিমধ্যে যথারীতি তৈরি হয়েগেছে। এছাড়া আইন শৃংখলা বাহিনীর বেপরোয়া আচরণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে ক্ষমতার বাইরে থাকা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
এবার ইসির নিজস্ব কর্মকর্তার বদলে ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ বর্তমানের জেলা প্রশাসকদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে দলীয় নিয়োগ ও সেটআপের অভিযোগ রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সারাদেশের সহকারি প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসারদের রাজনৈতিক পরিচিতির খোঁজখবর নেয়ায় তৃর্ণমূল পর্যায়ে বেসরকারী কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ৩ জন সচিবসহ ৯২ জন ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে তাদের অপসারণের দাবি জানানো হয়।
ইসি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে সিইসি কে এম নুরুল হুদা উল্টো ‘পুলিশ যা করছে ইসির হুকুমেই করছে’ বক্তব্য দেয়ার পর পুলিশ কার্যত সীমাহীন বেপরোয়া হয়ে উঠে। সারাদেশে শুরু হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার। কয়েকজন প্রার্থীকেও গ্রেফতার করা হয়। কিছু প্রার্থীকে মনোনয়ন ফাইনাল করার পরেও এক্সপেল করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের রায় নিয়েও চেম্বার জজের খড়গ থেকে অনেকেই রেহাই পাননি।
সারাদেশে পুলিশের গণগ্রেফতার অভিযান শুরুর সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের ওপর হামলার পর হামলা চালাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রথম তিনদিন সারাদেশে নৌকার প্রার্থীদের একতরফা প্রচারণা দেখা গেলেও ধানের শীষ ও অন্যান্য প্রার্থীদের প্রচারণা তেমন চোখে পড়েনি। ঢাকা শহরে ধানের শীষের পোস্টার চোখে পড়ে না বললেই চলে। নৌকার পোস্টারে ঢাকা পড়ে গেছে ঢাকা মহানগরী।
নেতা কর্মী বা স্বয়ং প্রার্থী, যারাই প্রচারণায় নামার চেষ্টা করেছেন তারা হয় পুলিশের তোপের মুখে পড়েছেন নয়তো নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েন। এমনকি ধানের শীষ প্রতীকের কয়েকজন প্রার্থীকে প্রাণঘাতি হামলা, গ্রেফতার এবং সিরাজগঞ্জ, নোয়াখালীতে ধানের শীষ প্রার্থীকে পুলিশের গুলি করার অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে। বিশিষ্ট এক আইনজীবীকে ওসি নিজে গুলি করেছেন। সিরাজগঞ্জে রোমানা মাহমুদকে গুলি করা হয়েছে। পলাশে ড. মঈন খানের প্রচার বহরের ওপর মারাত্মক হামলা হলে ১৩ জন আহত হন। কর্নেল অলির পুত্র মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে।
আইনশৃংখলা রক্ষার নামে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কেউ কেউ সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ অবলম্বন করছেন। দেখা যায় যারা হামলা করছে তাদের বদলে যারা হামলার শিকার তাদের নামেই থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। মির্জা আলমগীরের গাড়ী বহরের হামলার পর তার বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। এরপর ঢাকায় জাতীয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ফেরার পথে ড. কামালের গাড়ীতে হামলা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সারাদেশে নৌকা প্রতীকের বাইরে ক্রমান্বয়ে ধানের শীষসহ অন্যান্য মার্কার প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। এসব প্রচারণায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করছেন। ধানের শীষের প্রার্থীরা কোথাও প্রচারণায় নামলে হাজার হাজার মানুষ তাদের পিছনে ছুটছে। সৃষ্টি হচ্ছে উৎসবের আবহ। তরুণ ও নতুন ভোটারদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।
ইনকিলাবের ব্যুরো অফিস, আঞ্চলিক অফিস, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা গত কয়েকদিনে বেশ কয়েক হাজার ভোটারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। এসব ভোটার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল, গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে উপজেলা-পৌরসভা-জেলা-বিভাগীয় শহরে ভোট দেবেন। আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, সারাদেশের ভোটাররা ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। কে নির্বাচিত হবেন কোন দল ক্ষমতায় আসবে অধিকাংশ ভোটারের এসব নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তারা চান নাগরিক হিসেবে নিজের ভোটটি দিতে। নির্ভয়ে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ঘরে ফিরবেন সে প্রত্যাশা করছেন সবাই।
নির্বাচন নতুন ভোটারদের মধ্যে এমন আবেগ উচ্ছাসের সৃষ্টি করেছে যে তারা জীবনের প্রথম ভোটটি দেয়ার জন্য রীতিমতো ক্রেজি হয়ে উঠেছেন। নতুন ভোটার হওয়া এবং দীর্ঘ ১০ বছর পর ভোট দেয়ার সুযোগ আসায় হয়তো তারা এতো ক্রেজি হয়ে গেছেন। এবার তরুণ ভোটারদের ( যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৮) জীবনের প্রথম ভোটটি দেবেন; এ জন্য তাদের মধ্যে ভোট দেয়ার একটি অপ্রতিরোধ্য ভাব দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া যাকে ভোট দেবেন তিনি যেন নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করতে পারেন সে প্রত্যাশাও তাদের।
তথ্য প্রযুক্তির যুগে এই তরুণরা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি খোঁজ খবর রাখেন। মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে তারা যে কোনো খবর দ্রæতই পেয়ে যান; একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেন। তারা ভালমন্দ বোঝেন। এ জন্য ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও এবার তাদের বেশি। মিডিয়ায় একতরফা খবরা-খবর দেখা গেলে তারা নিজের হাতের মোবাইলের ওপর ভরসা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা নিজেদের মতো করে দেশে সংঘটিত সবকিছু মুহূর্তের মধ্যে জেনে যাচ্ছে।
টকশোতে যাই বলা হোক না কেন, টিভিতে যাই প্রচার করা হোক না কেন, তারা তাদের মোবাইলে মারপিট, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, রক্তাক্ত প্রার্থী ও সমর্থক, হামলার শিকার কর্মী ও ভোটারদের ছবি সরাসরি দেখতে পাচ্ছে। ইসি যতকথাই বলুক মানুষ নিজেদের সংবাদ মাধ্যমকেই বেশী বিশ্বাস করছে। তাছাড়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ভোটারদের মধ্যে ‘ভোট দেব’ এই মানসিকতা প্রবল হয়ে উঠেছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করছেন জীবনের শেষ ভোট দিয়ে নিজেদের ভোটের সঠিক গণনা ও ফলাফলের এর বাস্তব প্রতিফলন দেখতে চান।
ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে তফসিল ঘোষণার পর ভোট দেয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছিল নির্জীব ভাব। ভোট দিতে পারবেন কিনা ভোট হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় ছিল। এখনো সে সংশয় পুরোপুরি কেটে না গেলেও ভোট দেয়ার জন্য মানুষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। স্কুল-মাদরাসার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। ডিসেম্বরেই রেজাল্টও হয়ে যাবে।
পৌষ মাস। শীতকাল। এমনিতে ভোটের জন্য, বেড়ানোর জন্য, মিটিংমিছিল করার জন্য আবহাওয়া অনুকূল। এসময়ই দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজধানীতে চাকরিরতরা দিনক্ষণ ঠিক করে ভোট দেয়ার জন্য গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৬ ডিসেম্বর একদিনের ছুটি। আগের শুক্র-শনিবার অফিস বন্ধ। এতেই দেখা যায় ঈদের ছুটির মতো ঢাকা ছেড়েছে মানুষ। বাস-লঞ্চ, ট্রেনে দেখা গেছে তিল ধরণের ঠাঁই নেই। অনেকেই গ্রামে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
হামলা-মামলা-গ্রেফতারে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে উঠলেও ক্রমান্বয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছেই। আমাদের দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নোয়াখালী, যশোরসহ সারাদেশের ব্যুরো, আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা জানান, নৌকার প্রার্থীরা আগে থেকেই নির্বিঘেœ প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোথাও কোথাও চাকরির নিয়ম ভঙ্গ করে পুলিশ তাদের পক্ষে কাজ করছে। ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা এবং বিভিন্ন জেলায় প্রার্থীকে ঘর থেকে বের হতে বাধা দেয়ার অভিযোগ থাকলেও প্রতিদিনই নির্বাচনী প্রচারণায় জনসমাগম বাড়ছে। কোথাও কোথাও হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও পরবর্তীতে দেখা গেছে মানুষ নিজেরাই প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তাছাড়া সেনাবাহিনী মাঠে নামবে ২৪ ডিসেম্বর। সাধারণ মানুষ মনে করছে ইসি নির্বাচনের জন্য ‘সমতল মাঠ’ তৈরিতে ব্যর্থ হলেও সেনাবাহিনী মাঠে নামলে ভোটের মাঠ এমনিতেই ‘চলনসই সমতল’ হয়ে যাবে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ বলাবলি করছেন, জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য ক্ষমতাসীনদের তল্পিবাহক হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের উপর জুলুম-নির্যাতন করায় জনগণের কাছে পুরো পুলিশ বাহিনীর ইমেজ তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
কিন্তু সেনাবাহিনীর ইমেজ এখনো বেশ উজ্বল। দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সব সময় নিরপেক্ষ থেকে দেশের জন্য কাজ করতে অভ্যস্ত। এবারের নির্বাচনেও তাদের ভুমিকা সেরকম হবে বলে মানুষ বিশ্বাস করে। নির্বাচনী কাজে সেনাবাহিনী মাঠে নামলেই সারাদেশের মানুষের মধ্যে বিরাজমান আতঙ্ক কেটে যাবে। তখন পুলিশ আইন শৃংখলা রক্ষার নামে কোনো প্রার্থীর কর্মীর মতো প্রতিপক্ষ প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন করার সাহস পাবেন না। ক্ষমতাসীন দলের যারা ক্যাডার হয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করছেন; ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তারা এসব করার সাহস পাবেন না। তখন ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব মানুষ বাধভাঙ্গার জোয়ারের মতো নির্বাচনী কাজে পথে নেমে আসবে।
আন্তর্জাতিক মহল যেমন চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য ভোট। তেমনি দেশের মানুষও চায় শুধু ভোট দেয়া নয়; যাকে ভোট দেবেন গণনায় ফলাফল যেন তারই পক্ষে যায়। পাশাপাশি ভোটের কয়েকদিন আগ থেকে ভোট দিতে যাওয়া ঘরে ফিরে আসা এবং ভোট পরবর্তী সময়ে ঝামেলামুক্ত জীবন। সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে মানুষের সে প্রত্যাশা পুরণ হবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে। একই সঙ্গে মানুষ চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বরতদের স্বাতন্ত্র্য। ক্ষমতাসীনদের মুখের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বদলে ইসি স্বীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করুক সেটাই জাতির প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।