পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে গুলি করার জন্য নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি) বিচার দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য সেখানকার ওসি আবদুল মজিদ সরাসরি হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত জানিয়ে ১২ ঘন্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন খোকনের ছেলে ব্যরিস্টার সাকিব মাহবুব।
গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে দেয়া এক চিঠিতে এই দাবি জানানো হয়। চিঠিতে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করা হয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আবদুল মজিদসহ সেখানকার অনেক নেতাকর্মীকে ছররা গুলি ছুড়ে আহত করেন ওসি আবদুল মজিদ। শনিবার বিকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি সদরে এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চটাখিল-সোনাইমুড়ী একাংশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সেখানে মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচনি প্রচারনা শুরুর পর থেকেই পুলিশ বাধা নিয়ে আসছে। নেতা-কর্মীদের অবৈধভাবে আটক ও হয়রানি করা হচ্ছিল। সোনাইমুড়ী এলাকায় গণসংযোগ চালানোর জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর পুলিশের সংশ্লিস্ট সবাইকে জানানো। হয় তারা বলেন কোনো বাধা দেয়া হবে না। ১৫ ডিসেম্বর সেখানে শান্তিপূর্ন গণসংযোগ শেষ করার পর পুলিশ তাদের মিছিলের পেছনে অবস্থান নেন। এরপর সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদসহ একদল পুলিশ সদস্য মিছিলের সামনে এসে অনবরত গুলবর্ষণ শুরু করে। ছররা গুলি তার থুতনিতে বিদ্ধ হয়। তিনি সাথে সাথে পেছনে ফিরলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ পুনরায় ছররা গুলি ছুড়লে মাহবুব উদ্দিন খোকনের পিঠে পাঁচটি ও হাতে দুইটি এবং বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তার ব্যক্তিগত সহকারি ইকবাল হোসেন ও অন্যান্য কর্মী সমর্থক তাকে রক্ষার জন্য এলে পুলিশ তাদেরও লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তারা গুরুতর আহত হন। পরে সবাইকে নোয়াখালী সদর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এ জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।