Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড. কামালের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি

ইসিতে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৮ এএম

সংবিধান প্রণেতা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল শনিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানিয়ে লিখিত চিঠি দিয়েছে।
ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আলাল সাংবাদিকদের বলেন, সব জায়গায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই তিনবাহিনীর মোকাবেলা করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া। এই তিনবাহিনীকে মোকাবেলা করতে তো আমরা পারবো না। তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এগুলো করছেন। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন আসনে যে হামলা ও সহিংসতা হয়েছে, সে বিষয়গুলো আমরা ইসিকে জানিয়েছি। আক্রমণ বন্ধ করতে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করছি।
বিএনপির নেতা বলেন, যে পুলিশের দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আক্রমণ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি, সে পুলিশদের বিরুদ্ধে আমরা যত অভিযোগ করেছি, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে এতকজন পুলিশকেও বদলী বা ক্লোজ করা হয়নি। একথাগুলো আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি। আমরা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু তারা তো এই সুযোগে দ্বিগুণ উৎসাহে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে। আলাল আরো বলেন, সাবেক নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের স্ত্রী ও বিএনপি প্রার্থী রোমানা মাহমুদের নির্বাচনী প্রচারণায় গুলি করা হয়েছে। তিনি আহত এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তার কর্মীরাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা মামলা করতে গিয়েছি, পুলিশ মামলা নেয়নি। এখন পর্যন্ত অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু দাউদকে প্রত্যাহার করতে বলেছি। আলাল বলেন, বড় কিছুই চায়নি নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাদের ক্লোজ করার জন্য বলেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কয়েকদিন আগে বললেন- নির্বাচনের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। আমরা তো জীবন নিয়েই বাঁচতে পারছি না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে ইসি সচিব বলেছেন, উনারা নাকি অবহিতই না। এটা খুব আশ্চর্য় লাগে আমাদের কাছে। খুব কষ্ট লাগে। এটা আমাদের কাছে খুব বিস্ময়কর লাগে। এটা কিভাবে সম্ভব। নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন, উনারা জানতে না এবং টিভিতেও দেখতে পারেননি। পরবর্তীতে উনারা ঘটনাটি শুনেছেন অফিস আওয়ারের পরে। উনারা কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ যদি প্রচ-ভাবে সরকারের প্রতি অনুগত থাকে, সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নিজেরা সাবোটাইজ করে, প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে দেয়। এখন সেটা সেটা নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত স্পর্শ করেছে কিনা, সেটা তো একটা প্রশ্ন থেকে যায়। না হলে একই সুরে কথা তো আমরা আশা করি না। এতো মারপিটের পরও আমরা মাঠে আছি। আমরা ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবো। এ ধরণের কথায় আমরা হতবাক, বিস্মিত হয়েছি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আপনাারা জেনেছেন আমরা মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাতীয় ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাক্ষাত করার জন্য চিঠি দিয়েছি। কেননা, নির্বাচন কমিশন আমাদের বক্তব্য শুনেন। কিন্তু প্রতিকার তো পাইনা। তাই সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে আমরা উনার কাছেও বলবো। তাও কাজ না হলে জনগণের কাছে বিচারের দাবি ছেড়ে দেবো।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসেনর উপদেষ্ঠা আতাউর রহমান ঢালি উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ