পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719001460](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকী। বগুড়া-৩ আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া আসনে শরিকদল জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নেই।
এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করে ধানের শীষের প্রতীক পাওয়ার পরও আইনী জটিলতায় পড়েছেন বিএনপি প্রার্থী মুহিত তালুকদার। আদালত তার মনোনয়ন স্থগিত করে রাখায় এ আসনে নির্বাচনের মাঠে ধানের শীষ-নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দেখা মিলছেনা। এ কারণে নির্বাচনের হাওয়া নেই এলকায়।
এ আসনে এবার আওয়ামী লীগ আসন ছেড়ে দিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পাটির মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মাঠে নামলেও প্রচারে তেমন জোড় নেই। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৩জন। এরা হলেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগোঠনিক সম্পাদক দুইবারের সাবেক এমপি আব্দুল মোমেন তালুকদার খোকা, তার সহধর্মিনী মাসুমা মোমেন, খোকার ছোট ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত তালুকদার। উপজেলার চেয়াম্যোন পদ থেকে পদত্যাগ না করায় মুহিত তালুকদারের মনোনয়ন বাতিল হয়। সাবেক এমপি আব্দুল মোমেন তালুকদার খোকা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এ আসসে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাসুদা মোমেনকে চূড়ান্ত করা হয়।
মার্কা চূড়ান্তের শেষ দিনে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত তালুকদার হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচনে আংশগ্রহণের বৈধতা ফিরে পেলে বিএনপি মাসুদা মোমেনকে বাদ দিয়ে তাকে ধানের শীষের প্রতীক দেয়া হয়। একপর্যয়ে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপিল করে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত তালুকদারের রায় স্থগিত করে। আগামীকাল ১৭ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত রায়ের দিন। এতে করে ভোটের মাঠে বিএনপি নামেনি। আর মার্কা না থাকায় আওয়ামী লীগ নীরব। তারা লাঙ্গলের পক্ষেও নামেনি।
বড় দুই দলের প্রার্থীর দেখা না মিলায় নির্বাচনের হাওয়া এখনো লাগেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হোটেল রেস্তোরা, চায়ের দোকানে এখন একই আলচনা-আদালতে ধানের শীষের প্রার্থী মুহিত তালুকদার রায় ফিরে না পেলে কে হবে ধানের শীষের প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে যে হতাশায় পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, সেই একই হতাশায় পরতে হবে বিএনপির নেতাকর্মীদের। এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা এলাকাজুড়ে।
বগুড়া-৩ আসনে মরহুম আব্দুল মজিদ তালুদার তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে আলহাজ¦ আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পর পর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ফলে পিতা পুত্রের হাত দিয়ে এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ মসজিদ মন্দিরসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড সাধিত হওয়ায় এলাকায় তারা জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন। এ কারনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এই পরিবারের শক্ত অবস্থান তৈরী হওয়ায় আব্দুল মোমেন তালুকদার খোকা রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগোঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়। বিএনপির শক্ত এই ঘাটি ভাঙ্গতে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। মামলার পর থেকে তিনি এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় এবার তার সহধর্মীনি মাসুমা মোমেনকে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে তাকে বাদ দিয়ে তার দেবরকে মুহিতকে দেওয়া হয়। এলাকার তৃনমুল থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকে জয়যুক্ত করতে উাজ্জিবীত হয়ে উঠেছে। নেতাকর্মীরা বুকভরা আশা নিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর সোমবার দিনের আদালতের রায়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।