পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ১৫০ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, এ পর্যন্ত বিএনপির ১৫০ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে সরকার দলের সন্ত্রাসীরা। তিনশ আসনেই বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। যেহেতু তফসিল ঘোষণার পর সকল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের তাই এর দায় তার ওপরই বর্তায়। তিনি এই দায় এড়াতে পারেন না।
৩শ’ আসনেই গণ গ্রেফতার চলছে। সারাদেশে মামলা, হামলা ও গ্রেফতার সিইসির ইঙ্গিতে অথবা প্রশ্রয়ে হয়েছে, এসবের জন্য তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলেন রিজভী।
"তফসিল ঘোষণার পরে পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন দল ও নির্বাচন কমিশন একই ঝাঁকের কৈ। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ও কার্যকলাপ পুলিশের ভয়ঙ্কর দমনের প্রবণতাকে আরও উস্কিয়ে দিচ্ছে। দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ঘুম কেড়ে নেয়া হয়েছে পুলিশের চিরুনী তল্লাশি। দেশব্যাপী অকল্পনীয় সহিংসতা, রক্তপাত ও পুলিশী আক্রমণের বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ দিলেও কাঙ্ক্ষিত ফল মেলেনি। নির্বাচন কমিশন, দেশের কিছু আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, আত্মা বিক্রি করা কিছু সাংবাদিক ক্ষমতার বিষাক্ত প্রতিক্রিয়ায় যেন মনে হয় মূমুর্ষ রোগী, যেন মারণরোগে তারা আক্রান্ত হয়েছে। তারা ড. কামাল হোসেন সাহেবের গাড়ীতে আক্রমণের সাফাই গাইছেন, তাঁর মতো বরেণ্য ব্যক্তিকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলছেন। এই সাফাইকারি ক্রীতদাসদের কারণেই বাংলাদেশ এখন দুর প্রস্তর যুগে ফিরে যাচ্ছে। তবে আমি অবৈধ শাসকগোষ্ঠী, নির্বাচন কমিশন এবং তাদের দুষ্কর্মের সঙ্গীদের জানিয়ে রাখতে চাই-জনগণের শ্রবণেন্দ্রিয় সর্বক্ষণ প্রস্তুত আছে। কে কি বলছেন কিছুই এড়িয়ে যাচ্ছে না।
গণফোরামের সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে অসম্মানজনক মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন - বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।