Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী চেতনায় গণসংযোগ

চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বত্র জুমার দিনে মুসল্লিদের মাঝে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে ইসলামের মূল্যবোধ ধারণ ও প্রসারের অঙ্গীকার

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন পেতে এখন দ্বিগুণ গতিতে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগে তৎপর। ছুটছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ভোটের দিনক্ষণ দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। নৌকা, ধানের শীষ, ছাতা, লাঙল, আপেল, হাতপাখাসহ যার যার মার্কা নিয়ে অল্পসময়েই বেশিসংখ্যক পুরুষ ও মহিলা ভোটার তথা এলাকাবাসীর কাছে পৌঁছানো এবং ভোট প্রার্থনা করতে পারাই তাদের টার্গেট। গতকাল ছিল পবিত্র জুমাবার। চোখে পড়েছে একটু ভিন্ন চিত্র। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯টি নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র জুমার দিনটিতে ভোটের প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ নতুন মাত্রা পায়।
জুমার নামাজে আগত মুসল্লীদের মাঝে প্রার্থীরা এবং তাদের ভাই, পুত্র, জামাতাসহ আত্মীয়-স্বজন, নেতা-কর্মী, সমর্থকগণ ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগ করেছেন। এরফলে মুখরিত হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল মসজিদ প্রাঙ্গণ। টুপি, পায়জামা-পাঞ্জাবী পরিহিত প্রার্থীরা বেশ আগেভাগে মসজিদে মসজিদে ছুটে গেছেন। তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জুমার আগে ও পরে কয়েকটি সমজিদে গিয়ে খতিব, ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মুসল্লীদের সাথে কুশল বিনিময়, দেখা-সাক্ষাৎ, কোলাকুলি করেছেন। তারা নির্বাচনে আলেম-ওলামা মাশায়েখদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও দোয়া কামনা করেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ সকল রাজনৈতিক দল বা মতাদর্শ নির্বিশেষে প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা মুসল্লিদের কাছে গিয়ে অঙ্গীকার করেছেন। বলেছেন, নির্বাচিত হলে তারা ইসলামী আদর্শ, মূল্যবোধ, চিন্তা-চেতনা অনুসরণ, ধারণ, লালন ও বিকাশের জন্য সাধ্যমতো সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন। এলাকাবাসীর সামনে তারা ওয়াদা-আশ্বাস দিয়েছেন সমজিদ-মাদরাসা, মক্তবসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হবে। যার যার এলাকায় সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় ইসলামী আদর্শের প্রচার-প্রসার করবেন। পাড়া-মহল্লায় মাদকের আগ্রাসন, সন্ত্রাস ও মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে ইসলামের পথে আহ্বানের তাগিদ দিয়েছেন।
দেশ ও দশের খেদমত করার জন্য প্রার্থী কিংবা তাদের নেতা-কর্মী, সমর্থকরা আলেম-ওলামাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। আর এর মধ্যদিয়ে জুমার দিনটিতে চট্টগ্রামের শহর-বন্দর, গ্রাম-জনপদের সবখানে প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ইসলামী চেতনার সুস্পষ্ট ও অনুপম বহিঃপ্রকাশ। এলাকাবাসীর মাঝেও এ নিয়ে ইতিবাচক ও স্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মসজিদে মসজিদে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। উৎসুক এলাকাবাসীও ভিড় করেন প্রার্থীদের ঘিরে। তারা নিজেদের এলাকার সমস্যা-সঙ্কটের কথাও তুলে ধরেন। দুই জোটের প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে জুমার দিনে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় আবহ বিরাজ করে। এরফলে কোথাও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনারও খবর পাওয়া যায়নি।
জুমার নামাজের শেষে প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের ইসলামী পরিবেশে, চেতনায় নির্বাচনী গণসংযোগ প্রসঙ্গে আলাপকালে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, কাজির দেউড়ী কাজি বাড়ি মসজিদ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, এনায়েত বাজার শাহী মসজিদ, পাঁচলাইশ মক্কি মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী জানান, চট্টগ্রাম হচ্ছে ইসলামের প্রবেশদ্বার। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি। ইসলামী আদর্শ, চিন্তা-চেতনা, ভাবধারাকে এদেশের কোনো দলের পক্ষেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বরং ইসলামকে ধারণ করেই নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের যেতে হচ্ছে এবং হবে জনগণের কাছে। ইসলামের প্রসারে তাদের অঙ্গীকার থাকতে হবে। অন্যথায় জনগণ তাকে গ্রহণ করবে না।
সাধারণ চাটগাঁবাসী বলছেন, প্রধান দুই রাজনৈতিক দল সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা যদি এদেশের ৯২ শতাংশ জনগণের আদর্শিক পরিচয় তথা ইসলামকে গুরুত্ব প্রদান না করেন তাহলে ভোটারদের কাছেও কোনো গুরুত্ব থাকেনা। যে দল বা জোটই নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করুক এবং ক্ষমতায় যাক, ইসলামী ভাবাদর্শকে সমুন্নত রাখতেই হবে। মুসল্লীরা আলাপকালে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ধর্মপ্রাণ। তবে তথাকথিত ‘সাম্প্রদায়িক’ কিংবা ‘ধর্মান্ধ’ নয়। বরং যারা যত বেশি সাম্প্রদায়িক তারাই নিজেদের চরিত্রকে আড়াল করার হীন উদ্দেশে ইসলাম এবং মুসলমানদের কটাক্ষ করে ‘সাম্প্রদায়িক’ কথাটা বলে গালমন্দ ও অপবাদ দিয়ে থাকে। বরং ইসলামই পরধর্মের প্রতি সহনশীল। যা যুগে যুগে প্রমাণিত সত্য।
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ বলছেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে আলীয়া তথা সুন্নীয়াতের ধারা এবং কওমী ধারার মজবুত অবস্থান রয়েছে। উভয় ধারার সমন্বয়ে এখানকার মানুষ ধর্মানুরাগী নিঃসন্দেহে। নাস্তিক্যবাদী চিন্তা চেতনার এখানে কোনো ঠাঁই নেই।
এদিকে গতকাল জুমাবার নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণাকালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন মুখ ও পুরনো হেভিওয়েট প্রার্থীরা তাদের সমর্থিত দল বা জোটের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজেদের নির্বাচনী এলাকাওয়ারি ব্যাপকভাবে ছুটে বেড়ান। তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং একই আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি এম আবদুল লতিফ। চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশগর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এবং নৌকার প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান এমপি ডা. আফছারুল আমীন। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মহাজোটের লাঙল প্রতীকে প্রার্থী মন্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং ধানের শীষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। তাছাড়া দুই প্রধান জোটের অপরাপর প্রার্থীরাও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের সাথে সালাম বিনিময় এবং দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসন ছাড়াও তিনটি পার্বত্য জেলার তিন আসনে প্রতিদ্ব›দ্বী মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও জনসংহতি, ইউপিডিএফ-এর প্রার্থী ও তাদের সমর্থিত নেতা-কর্মী, আত্মীয়-পরিজনবর্গ স্থানীয় মসজিদগুলোর আশপাশে মুসল্লীদের উদ্দেশে ছুটে গেছেন। পাহাড়ের উপজাতীয় এবং অউপজাতি বা বাঙালী নির্বিশেষে সকল প্রার্থী ও নেতা-কর্মীর কাছে এখন ধর্মীয় ভাবাদর্শ ভোটের প্রচারণা-গণসংযোগে প্রাধান্য পাচ্ছে। কেননা তিন পার্বত্য জেলায় উপজাতিদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষুদ্র-বড় গোত্র ১৯টি জাতিগোষ্ঠি। তবে পাহাড়ে মুসলমানদের একক বৃহৎ ভোট ব্যাংক রয়েছে।



 

Show all comments
  • Arif Khan ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৫ এএম says : 0
    ভালো দিক
    Total Reply(0) Reply
  • Mihir Mirja ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৮ এএম says : 0
    দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান সুতরাং গনতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই প্রাধান্য পায় এক্ষেত্রে কেউ যদি ইসলামের মুল্যবোধ ধারন করে ভোট চায় সেটা অবাক কিছু নয়। সারাদিন ধর্ম কে আক্রমণ করে সেমন মানুষ রোকেয়া প্রাচি আর আসাদুজ্জামান নুরের মত মানুষেরাও গোমটা টুপি ব্যবহার করছে
    Total Reply(0) Reply
  • হাফেজ মোহাম্মদ আব্দুর রব ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫২ এএম says : 0
    কওমী জননী শেখ হাসিনার নাম, কিন্তু ডা কামালের এমন কোন নাম নেই
    Total Reply(0) Reply
  • Atiq Rahaman ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৩ এএম says : 0
    বাংলাদেশের মাটি ইসলামের ঘাটি। এখানকার মানুষের সাথে বেইমানি করে কেউ বেশি দিন টিকতে পারেনাই। এই আওয়ামী জালেমদের জায়গাও বাংলাদেশের মাটি মানুষের মাঝে হবে না, ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Islami Chhatra Majlis ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৪ এএম says : 0
    ইসলাম অন্য ধর্মের মত নিছকই একটি আচার অনুষ্টান নির্ভর ধর্ম নয়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট, অর্থনীতি ও রাজনীতির সকল সমধান ইসলামে রয়েছে। আর এ দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। তাই এ দেশে ইসলামের রাজনীতি দিনদিন শক্তিশালী হবে এটাই স্বভাবিক। ইনশাআল্লাহ এদেশের আকাশে একদিন কলেমার পতাকা উড়বেই। সে দিনের অপেক্ষায় আমরা
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hridoy Sorkar Bijoy ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৬ এএম says : 0
    জামায়াত প্রার্থীদের কেনো ভোট দিবেন? কারণ জামায়াত ১০০% দূর্নীতি মুক্ত ও পরিক্ষীত ইসলামী দল। জামায়াত পারবেনা তো কে পারবে বলেন? # জামায়াতের ২ জন মন্ত্রী ৩ টি মন্ত্রনালয় চালিয়েছে ১০০% দূর্নিতীমুক্ত ভাবে। আলহামদুলিল্লাহ্‌। #জামায়াত ইসলামি, ইসলামি ব্যাংক পরিচালনা করেছে ১০০% দূর্নিতী মুক্তভাবে। #জামায়াত ইসলামি, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল ইবনে সিনা হাসপাতাল পরিচালনা করছে ১০০% দূর্নীতি মুক্তভাবে। #জামায়াত বীমা কোম্পানিগুলো পরিচালনা করছে ১০০% দূর্নীতি মুক্তভাবে #জামায়াত ইসলামি, দিগন্ত টিভি,ইসলামিক টিভি, প্রিন্টিং মিডিয়া পরিচালনা করেছে ১০০% অশ্লীল মুক্ত ভাবে। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৬৩ জন উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান এবং ৩৯ জন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সে সাথে একই বছরে অনুষ্ঠীত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে #জামায়াত ৮৪০ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও অগনিত মেম্বার নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৫ সালে সারা দেশে পৌরসভা নির্বাচনে ৩ জন পৌরমেয়র সহ ৫৭ জন পৌর কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠীত কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে জামায়াতের ৪ জন সিটি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেখ সাহেবের জন্মভূমি ও প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় কোটালীপাড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে এক জামায়াত নেতা মোঃ ওয়ালিউর রহমান কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে। # আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনও পর্যন্ত জামায়াত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কোন বিন্দু পরিমানও দূর্নিতীর অভিযোগ উঠেনি,আর উঠবেওনা ইনশাআল্লাহ। কারন জামায়াত নেতারা মানুষের তৈরি আদর্শ মানে না, তারা অসাধারন মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনাবী হজরত মোহাম্মদ সাঃ এর আদর্শে আদর্শীত । আলহামদুলিল্লাহ্‌
    Total Reply(0) Reply
  • MD Zia Chadpuri ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৭ এএম says : 0
    আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ।।শহীদের রক্তেভেজা এ ভুমি কখনো বামরামদের আড্ডাখানা হবেনা।।এ ভুমি তিতুমীরের, এ ভুমি শরীয়তউল্লাহর,এ ভুমি খান জাহানের, এ ভুমি শাহ জালালের, এ ভুমি কারো বাবার নয়।।আগামীর বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা তাদের ছোটখাট দ্বন্ধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হবে আশা করি এবং শাহ জালালের এ বাংলায় ইনসাফের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।।।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Fuad Hassan Titu ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল ইসলামিক চেতনা ও স্পিরিটকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উদাহরণ দেওয়া যায়, কিছুদিন আগে যাদেরকে তেঁতুল হুজুর বলে গালাগালি করা হয় এখন তাদেরই সাহায্য পেতে গলাগলি করতে জাতি দেখেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Bashir Ibn Jafar ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনীতির পটভূমি পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। ধর্মকে ব্যবহার করে বেশিদূর কেউ এগুতে পারে না বরং ধর্মীয় রীতি ও নীতি-আদর্শে চলে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করেই এগিয়ে যাওয়া যায়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আসছে হাতপাখা নিয়ে সকলের তরে....
    Total Reply(0) Reply
  • Arfan Younus ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    "মুখে হয়তো অনেকে ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, কিন্তু নিজেদের এমনভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে যে কেউ যেন তাদের বলতে না পারে যে তারা ইসলাম রীতিনীতি মেনে চলেছেন না।"
    Total Reply(0) Reply
  • Golam Rabbani ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 0
    যে যাই বলুক, ঘুরে ফিরে মানুষকে ধর্মের কাছেই আসতে হয়,এটাই স্বাভাবিক,এটাই বাস্তবতা। আর পৃথিবীতে সত্য ধর্ম বলতে কেবলই ইসলাম।বিশ্ববাসির প্রকৃত শান্তি ও মুক্তির জন্য একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামের সুশীল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণের বিকল্প নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Belal ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 0
    ইসলামিক দলের নেতা কর্মী কেউ মাদক টেন্ডারবাজি সন্ত্রাস খুন খারাপি ধর্ষন লুট ব্যাংক ডাকাতি এসবের মধ্যে নেই। তাই বাংলাদেশ এর মানুষ এর কাছে তাদের গ্রহন যোগ্যতা বাড়ছেই। আর বড় দুই দল চাচ্ছে তাদের কে কাছে টেনে নিজেরা হালাল হতে।
    Total Reply(0) Reply
  • H M Abdul Aziz ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ এএম says : 0
    এদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ। শতকরা ৯২ জনই মুসলমান। মুসলমান সবাই ইসলামপন্থী। তবে অধিকাংশই আত্মভোলা। ভালোভাবে বুঝাতে পারলে ইসলামপন্থীরাই দেশ চালাবে। আর এজন্য লড়াই করে জিততে হবে দালাল মিডিয়া, পক্ষপাতদুষ্ট আদালত এবং প্রসাশনে ঘাপটি মেরে থাকা বিদেশীদের সাথে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Sadequl Islam ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 0
    কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান অর্জন করলে একজন মানুষ সত্যিকার আদর্শ মানুষে পরিনত হয়|যারা চুরি,ডাকাতি,মদ,জুয়া,লটারী,সুদ,ঘুষ,খুন,যেনা,ব্যভিচার,ইত্যাদি করেনা| পিতা-মাতা ও শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করে না|সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করেনা, তারা কি করে ধর্মান্ধ হয়? সাধারন শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত থাকলে এদের দ্বারাই দেশ ও জাতির উন্নতি নিশ্চিত হত| আর-যারা ইসলাম বিষয়ে জানেন না, তারা নানান ধরনের অন্ধ মন্তব্য করতে পারেন| অসামাজিক (উপরোল্লখিত)কাজ গুলো করতে পারেন|তারা নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত,তাই তাদের দ্বারাই অসামাজিক করাই সম্ভব| ইসলামী শিক্ষিতদের দ্বারা সম্ভব নয়|
    Total Reply(0) Reply
  • Exorcist Exorcist ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশে ইসলাম পন্থীদের শক্তি বাড়তেই থাকবে এতে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমি আপনি আওয়ালীগ বা বি এন পি যেমন সত্য তারচেয়ে বড় সত্য আমরা মুসলিম। তবে হ্যাঁ যদিও এই বড় দুটি দলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সমর্থক রয়েছে তারপর ও প্রায় ৯০ শতাংশ মুসলিম দেশে মুসলিম বিরোধী যে কোন কাজ যে দল ই করুক তাঁদের চরম মূল্য দিতে হয়েছে। তাই একটু দেরিতে হলে ও আওয়ালীগ বুঝেছে...
    Total Reply(0) Reply
  • রেজাউল হাসান ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৪ এএম says : 0
    ইসলামের সুমহান আদর্শ ও চিন্তাচেতনা জনগণের হৃদয়ে এবং জীবনধারার সাথে জড়িয়ে আছে। ভোট রাজনীতিতে ইসলামের প্রভাব বেশি।
    Total Reply(0) Reply
  • ডা. সালেকীন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:২৮ এএম says : 0
    যারা উগ্র সাম্প্রদায়িক ও বকধার্মিক তারাই ইসলাম এবং মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ খোঁজে। অথচ ইসলাম পরধর্মের প্রতি সবচেয়ে বেশি সহনশীল। ইসলাম শব্দের অর্থ হলো শান্তি।
    Total Reply(0) Reply
  • মনসুর আহমদ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৫৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশ ক্রমেই উদারপন্থী আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের চেতনায় লালিত ইসলামকে কোন অপশক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • ramzan hossaind ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৩৯ এএম says : 0
    মহান খোদা পাক যেন ইলেকশনের পরও বিজয়ীরা যাতে এই ইসলামী চেতনা অক্ষুন্ন রাখেন-এই দোয়াই করছি। ওয়ামা তৌফিকী ইল্লাবিল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ