Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড. কামালের গাড়িতে হামলা

দূরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকার মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনে আসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাসদের আ স ম আবদুর রব, রেজা কিবরিয়া, বিএনপির আবদুস সালাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণদলের সভাপতি এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, গণফোরামের এ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার অফ্রিদ প্রমূখ। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে শতাধিক যুবকের হামলার সময় অনতিদূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। হামলাকারীদের ধরতে বা নিবৃত্ত করতে এগিয়ে আসেনি।
গণফোরামের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লতিফুল বারী হামিম জানান, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ গণফোরামের নেতারা ছিলেন। তাঁরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বের হওয়ার সময় জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসলামুল হকের সমর্থকেরা তাঁদের গাড়িবহরে এই হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কামাল হোসেনের গাড়ি আগে বের হয়। তাঁর পেছনের গাড়িতেই ছিলেন আ স ম আবদুর রব। হামলার ঘটনায় আ স ম আবদুর রবের গাড়ির চালক আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতক্ষদর্শী ঐক্যফ্রন্ট নেতা গোলাম মাওলা চৌধুরী জানান, আতর্কিতে হামলায় লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। আসম রব ও গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দারের গাড়িসহ আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে ড. কামাল হোসের গাড়ি রাখা ছিল। তিনি যখন গাড়িতে বসতে যাচ্ছেন, তখন অতর্কিতে শতাধিক যুবক জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ওই গাড়িতে গ্লাস ভাঙচুর করে। ওই যুবকরা এ সময় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করছিল। আশপাশে যাঁরা ড.কামালের সঙ্গে হেঁটে আসছিলেন, তাঁদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আহত হন।
হামলার ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন একটি দৈনিকের ফটোসাংবাদিক। এসময় তার ক্যামেরা সিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সরকারের তল্পিবাহক দুটি টিভি চ্যানেলের দুই ক্যামেরাপারসন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলা ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তবে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা সরে গেলে ড. কামাল তার গাড়িবহর নিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করেন। তবে এরপরও ড. কামালের সঙ্গে থাকা লোকজনকে পেটানো হয়। হামলার শিকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ছবি তুলতে গিয়েছিলাম। তখন অতর্কিত আমাকে মারধর করে। পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে পুলিশ উল্টো আমাকে প্রশ্ন করে কেন ছবি তুলতে গেলেন? হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরব। মিরপুর দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানান, বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন। এত মানুষের ভীরে একটু ধাক্কাধাক্কি হতে পারে। হয়তো কোনও পলিটিক্যাল কারণে। তবে যাই হোক দিন শেষে পুলিশ এটিরও তদন্ত করে দেখবে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, ড. কামাল হোসেন যখন মিডিয়ার সামনে কথা বলছিলেন, হঠাৎ সরকারের সুবিধাভোগী এক সাংবাদিক তাঁর কাছে জানতে চান, ‘জামায়াতের তো রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, এখন জামায়াত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?’ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এমন প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ড. কামাল। বুদ্ধিজীবী দিবসে এ ধরণের প্রশ্ন না করে বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কত টাকা পেয়েছ আমাকে এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? শহীদ মিনারে এসেছ, শহীদদের কথা চিন্তা করা উচিত। কোন চ্যানেল থেকে এসেছ? চিনে রাখব। চুপ করো, খামোশ।
কামাল হোসেন বলেন, আেজকে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। লাখো শহীদ জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতাকে আমরা ধরে রাখি। অর্থপূর্ণ করি সকলের জন্য। এই স্বাধীনতা ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে যারা আখের গোছাতে চাচ্ছে, তাদের জন্য নয়, সব মানুষের প্রাপ্য। তিনি আরো বলেন, শোষণমুক্ত সুন্দর সমাজের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, লোভলালসা নিয়ে লুটপাট করছে, তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
ড. কামাল হোসেনের উপর হামলার নিন্দা
ড. কামাল হোসেন এবং আসম রবসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলা’র নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মনোনয়পত্র দাখিলের পর থেকে সারা দেশে বিরোধী মতের উপর সরকারী দলের ক্যাডাররা লাগাতার সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের প্রচারণার মাইক কেড়ে নিচ্ছে। নির্বাচনী অফিস ভেঙে দিচ্ছে। ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। এর সাথে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে নির্বিচার গ্রেফতার করে জেলে পুরছে। এসব করে ক্ষমতাসীন দল সারা দেশে এমন এক ভীতিকর পরিবেশে তৈরি করতে চায়, যাতে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে না পারে এবং ভোটাররা কেন্দ্রে যাওয়ার সাহস না পায়।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, এতদিন বিএনপি ও জোটের অন্যান্য শরীক দলের নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। আজকে দেখা গেল, ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারাও নিরাপদ নয় সরকারী দলের সন্ত্রাসী হামলা থেকে।
আল্লামা কাসেমী বলেন, ফ্যাসিবাদি শাসনের অবসানের লক্ষ্যে মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করে সাংবিধানিক উপায়ে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সরকার একে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বলে মনে করছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পরিচালিত সকল ষড়যন্ত্র ও দমন-পীড়নের বিপরিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক ব্যালট বিপ্লব ঘটাতে হলে, আলেম-ওলামাসহ দেশের সকল মানুষকে এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে।



 

Show all comments
  • Muhammad Masum ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 0
    যারা সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারি আ.স.ম আব্দুর রবে
    Total Reply(0) Reply
  • মাহামুদুল হাসান ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 0
    এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে ড: কামালের কিছু যাবে আসবেনা""" ১৬ কোটি বাঙালীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে"" মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আর বেগম খালেদাজিয়া স্বাভাবিক ভাবেই একদিন পৃথিবী থেকে চলে যাবেন""" কিন্তু দেশের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখে যাচ্ছেন" তার কুফল ভোগ করবে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আগামী ১০০ বছর"" দেশের শান্তির জন্য একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়াটা খুবি জরুরী""" আওয়ামীলীগ বা বিএনপি কারো উপড়েই এমন হামলা কাম্য নয়"""" আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত নিরপেক্ষ থেকে কঠিন ভাবে শক্ত হাতে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা""" কারণ বাংলাদেশের মানুষের কিছু করার শক্তি নেই তারা এখন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে জিম্মি"""
    Total Reply(0) Reply
  • Monirul Islam Shanto ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৭ এএম says : 0
    অতি সুন্দর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড | বড় ,বড় নেতাদের রাস্তায় গরু ছাগলের মতো পিটানো হচ্ছে | আর কর্মীদের কুকুর , বিড়ালের মতো পিটানো হচ্ছে | অতি চমৎকার নির্বাচন | অতি চমৎকার গণতন্ত্র , মনোরম আইন , আদালত আছে এই দেশে | এই দেশের চমৎকার নির্বাচন দেখে আমেরিকা , কানাডা , ব্রিটেন , ফ্রান্স , জার্মানি হিংসায় মাথার চুল ছিড়ছে | নির্বাচন কাকে বলে ?? কত প্রকার ও কী কী ?? দেশ ও জাতি তা শিখে নিক |
    Total Reply(0) Reply
  • আলবিদা রিমন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
    ড.কামাল আর আ স ম রবের উপর যারা হামলা করলো তারা কখনো এই দেশের নাগরিক হতে পারে না। তারা হলো, নিষিদ্ধ পল্লীতে বেলুন বিপর্যয়ে জন্ম নেওয়া জারজ। এই জারজের অবশ্যই প্রতিহত করা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • আরিয়ান মাহমুদ মাহমুদ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ এএম says : 0
    শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরে ড. কামালের গাড়িবহরে হামলা। এই হলো অামরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ!
    Total Reply(0) Reply
  • Hridoy Hassan Shikder ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৯ এএম says : 0
    এ ন্যাক্কর জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা & প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • শোয়াইব হোসেন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১০ এএম says : 0
    স্বাধীন বাংলাদেশ সিনেমায় চলিতেছে...'হামলা উৎসব'। চলবে ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Hasan ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১১ এএম says : 0
    ছাত্রলীগ ও আওয়ামিলীগের বোঝা উচিত তারা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে ক্ষমতা চিরস্থায়ী না, সামনে অনেক বিপদ আছে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shakhawat Hussain Sujon ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১১ এএম says : 0
    সরকার নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করে বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচারনায় একের পর এক হামলা করে দেশটাকে গৃহ যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nil Akash ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১২ এএম says : 0
    সূর্য সন্তানদের উপর একাত্তর সালেও হামলা হয়েছে। ২০১৮ তে এসেও হামলা হচ্ছে। কারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর কারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি তা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Humayun Kabir ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১২ এএম says : 0
    স্বাধীনতার ৪৭বছরেও জীবন্ত বুদ্ধীজীবিদের সম্মান নিশ্চিত করতে পারিনি অামরা, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় অার কি হতে পারে? শহীদ বুদ্ধীজীবির কবরে ফুল দিয়ে জীবিত বুদ্ধীজীবিদের হামলা, হাস্যকর
    Total Reply(0) Reply
  • Robin Rime ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৪ এএম says : 0
    কাল থেকে সেনাবাহিনী কে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ম্যাজেস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে মাঠে নামানো হোক,,,এইটি সব জনগণের প্রাণের দাবি ।আওয়ামীলীগ ভোট চায় নিজেকে বাঁচাতে। বিএনপি ভোট চায় দেশকে বাঁচাতে । এখন সিদ্ধান্ত আপনার।মাঠে ডিজীটাল আওয়ামীলীগ, হাসপাতালে জাতীয়পার্টি, আদালতে বিএনপি, গ্রেপ্তার আতংকে জামায়াত। এই হলো- নির্বাচনী লেভেল -ফিল্ড!
    Total Reply(0) Reply
  • U Faruque ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:০২ এএম says : 0
    বৰ্তমান B.deshৰ জনগণ স্বাধীনতা হাৰিয়েছে । কাল desh স্বাধীনতা হাৰিয়ে ফেলতেও পাৰে। জাগো জণগণ জাগো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ