Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১২৯২ ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে

১০ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ-নিরপেক্ষ করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বৈঠক ও প্রশিক্ষক কর্মশালা শেষে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নির্বাচনে ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে ১০ দিন সেনা সদস্য মাঠে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্থাটি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, ২৫৩৬ জন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাতীয় নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ৬৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ১২২টি তদন্ত কমিটির সদস্য ২৪৪জন যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজও মাঠে আছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের সময় চারদিন ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমার জেলায় এখনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। তার পরও ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রশাসনের লোকজন সুষ্ঠু ও অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে মাঠে কাজ করছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫৩৬ জন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাতীয় নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে ৬৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ১২২টি তদন্ত কমিটির সদস্য ২৪৪জন যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজও মাঠে আছেন। নির্বাচনের সময় চারদিন নির্বাচনে ১২৯২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬৫২ জন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪০ জন। এছাড়া সারাদেশে ৪০হাজার ১৮৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১লাখ ৯৫ হাজার ৩১৬ জনসহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩লাখ ৯০হাজার ৬৩২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করনে। এবার সারাদেশে ভোটকেন্দ্র ১লাখ ৯৫হাজার ৩১৬টি এবং ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮হাজার ৬৭৩ জন। পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২হাজার ৩৬২ জন মহিলা ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১১ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, দুটি জীবন চলে যাওয়া মোটেই ছোট কোন ঘটনা না, এই ঘটনার পেছনে কেবল রাজনীতি ছাড়া তৃতীয় কোনও শক্তির ইন্ধন আছে কিনা না তা খতিয়ে দেখতে হবে। সিইসি বলেন, ২০১৪ সালে একটা ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থার আলোকে আমাদের এ বছরের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ভোটের ছয় দিন আগে মোতায়েন হবে সেনাবাহিী ভোটের পরও দুই দিন নির্বাচনী এলাকাগুলোতে থাকবে তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ