পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রধান দুটি রাজনৈতিক জোটের প্রার্থীরা। কিন্তু প্রচারণায় কোনঠাসা অবস্থানে রয়েছে সিলেট বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিভিন্নভাবে প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতারা। এছাড়া পুলিশ প্রশাসন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার সুযোগ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। বিএনপি নেতারা বলছেন, বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে অভিযোগ জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে মাজার জিয়ারতে আসার পূর্বে দরগা গেইট থেকে মাইক ও অস্থায়ী সভামঞ্চ খুলে নেয় পুলিশ। অনুমতি না থাকার কারণে মাইক খুলে নেয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপি প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক ও নির্লজ্জ আচরণ করা হচ্ছে বলে নিয়মিতই অভিযোগ করছেন দলটির প্রার্থী ও নেতারা। সিলেট-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, তাদের সাথে প্রশাসন নির্লজ্জ আচরণ করছে। মামলা ছাড়াই নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। পরে পুরনো মামলায় আসামি দেখিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠাচ্ছে। সিলেটে কোনভাবেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। তারপরও আমরা জনগণের কাছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন, ‘নির্বাচনে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে অনেক ষড়যন্ত্র করা হবে। মনে রাখতে হবে আমরা দীর্ঘ ১০টি বছর ধরে বাকশালী সরকারের হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন উপেক্ষা করে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
বিএনপি নেতারা জানান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী চেয়ারম্যান ও ফখরুল ইসলাম ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, ওসমানীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, জেলা ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, মাহবুবুর রহমান, আশফাক আহমদ চৌধুরী, নজমুল হোসেন রুহেল, তাহিদ মিয়া, বাহারুল আলম বাহার, আলতাফ হোসেন সুমন, আকবর আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরীর স্বার্থে গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।