পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ছেলে আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে। এর আগে বিশ্বের দুটি দামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্রাজুয়েট করেছে। দেশে ডিজিটাল করার মূল কারিগর সেই। আমি তার কাছ থেকে কম্পিউটারের সব কিছু শিখেছি। সে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দেশের মানুষকে সেবা দিচ্ছে। বিনিময়ে কিছু নিচ্ছে না। আমি ছেলেকে চোর নয়, সুশিক্ষিত করেছি।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নিজে এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। তার দুই ছেলে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। বিদেশের আদালতে তা প্রামাণিত হয়েছে। খালেদা জিয়া নিজে ক্ষমতায় থাকার সময় কালো টাকা সাদা করেছেন। রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তার আমলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল। বিএনপি নেত্রীর বড় ছেলেকে দুর্নীতি ও কর্মকান্ডের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে একটি মামলাও হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানী থেকে কত টাকা ঘুষ নিয়েছিল তা প্রকাশ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানেই হত্যা-খুন-সহিংসতা। তারা আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াসহ আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। ২০১৩ সালে সরকার উৎখাতের নামে, ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে সবচেয়ে ন্যাক্কার জনক হত্যা চালিয়েছে। আড়াই হাজারের মতো গাড়ি, বাস, ট্রাক পুড়িয়েছে। মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রাজনীতি দেশের কল্যাণের জন্য ও মানুষের কল্যাণের জন্য। বাজেট ৫ ভাগ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। রিজার্ভ ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। ৭ ভাগে প্রবৃদ্ধি উন্নীত করেছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। এটা আরো কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে যাতে থাকে তা চেষ্টা করছি। ১২০ ভাগ পর্যন্ত বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছি, কোন সরকার এত বেতন বাড়াতে পারেনি। মাথা পিছু আয়ও বাড়ানো হয়েছে। দারিদ্রের হার কমিয়েছি।
২০২১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে দেড় কোটি মানুষকে সরকারি চাকরি দিয়েছি। বেসরকারি চাকরির ব্যবস্থা করেছি। বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিভিন্ন বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ব্যাংক-বীমা, টিভি রেডিও করে দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে তথ্য কেন্দ্র ও ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে উন্নয়ন করে যাচ্ছি। রফতানি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। শিক্ষার হার ৭১ ভাগের উপরে আনতে সক্ষম হয়েছি। বিনা মূল্যে বই বিতরণ করেছি। সর্বোপরী বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।
দশম অধিবেশন সমাপ্ত
দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন শেষ হয়েছে। সংসদের কার্যোপদেষ্টা কমিটির নির্ধারিত সময়েই মাত্র ৯ কার্যদিবস চলার পর দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন শেষ হলো। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ঐক্যমতের সরকারের তৃতীয় বছরের দ্বিতীয় অধিবেশনও এটি। অধিবেশনের সমাপনী দিনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বের পর জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বেশ কয়েকটি নোটিশ উত্থাপনের পর স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ্ও এমপিদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল পাস হয়। এরপর সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের বক্তব্যের পর অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্টের ঘোষণা পাঠ করে অধিবেশনটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এদিকে আগামী জুনে বাজেট অধিবেশন বসবে। মোট ৯ কার্যদিবসে শেষ হওয়া দশম অধিবেশন গত ২৪ এপ্রিল শুরু হয়। এই অধিবেশনে ১৪টি বিল পাস হয়েছে। এরমধ্যে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিল পাস হয়। এই অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ২৩৫টি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ১২টি নোটিশ সংসদ গ্রহণ করে। এরমধ্যে একটি নোটিশ নিয়ে সংসদে আলোচিত হয়।
দশম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ১২৫টি প্রশ্নের নোটিশ পাওয়া যায়। তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৪টি প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য পাওয়া এক হাজার ৮৫২টি প্রশ্নের মধ্যে মন্ত্রীরা এক হাজার ২৯২টির জবাব দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।