পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো: শামসুল আলম খান : সড়কপথে দীর্ঘ হচ্ছে সড়কপথে লাশের মিছিল। বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কের মুদারপুর নামক স্থানে ট্রাক চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ সিএনজি যাত্রী। এর মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের মা-শিশুসহ ৫ জন। ভয়াবহ এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তাদের আর্তনাদ-আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে আকাশ। এ মৃত্যুশোক স্পর্শ করেছে কাছের মানুষ থেকে দূরের মানুষকেও। জানা যায়, ময়মনসিংহগামী একটি সিএনজিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ওই সিএনজি চালিত অটো রিকশা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অটোরিকশা চালক সাদেকুল ওরফে সাবিরুল (২৮), অটোরিকশার মালিক আশরাফুল (২৯), কাজল মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী শিরিনা (২৫), তাদের দু’সন্তান তাহসিন (৭) ও মোফাজ্জল ওরফে তৌহিদ (৪), শিরিনার ভাই উজ্জ্বল (১৮) ও আব্দুল হালিম (২৪)। তাদের সবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, পূর্বধলা উপজেলার শিরিনা চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ আসছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ফুটফুটে দু’সন্তান, স্বামী আর ছোট ভাই। কিন্তু তাদের আর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া হয়নি। দুর্ঘটনায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে গোটা পরিবার।
সিএনজি চালিত অটো রিকশার মালিক আশরাফুল ইসলামও যাত্রা করেছিলেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। সড়ক দুর্ঘটনায় বড় ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ছোট ভাই আমিনুল (২২)। তাদের বাড়ি ওই উপজেলার হুগলা গ্রামে। রক্তের বাঁধনকে হারিয়ে বার বার বিলাপ করছিলেন আমিনুল। শুধু বলছিলেন, ‘আমার ভাইরে আইন্না দাও।’
স্থানীয় বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম আকন্দ শাহীন নামে ২৯ বছর বয়সী এক যুবক বিকট শব্দ শুনে বাড়ি থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। শরীফুল বলেন, ‘ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারাইয়া রং সাইড দিয়া ঢুইক্যা সিএনজিরে চাপা দিছে।’
শরীফুলের ভাষ্যে, আহত সিএনজি যাত্রীরা বার বার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু সিএনজি ট্রাকের নিচে ঢুকে যাওয়ায় তাদের উদ্ধার করতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লেগে যায়। আর এ সময়েই সব শেষ।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিরিনা বেগমের মামা রইছ উদ্দিন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, শিরিনা ডাক্তার দেখাইবার লেইগ্যা সবাইরে লইয়া আইছিল। ওর ছোট ভাই এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী। ও আইবার চাইছিলো না। আমরা সবাই জোর কইরা পাঠাইছি। তহনও তো জানতাম না ওরা আর ফিরবো না।’
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হয়ে উঠেছে এ মহাসড়কের মুদারপুর এলাকা। গত ৩ মাসে এখানে তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ মহাসড়ক প্রশস্ত নয়। স্পিড ব্রেকারসহ সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থাও নেই। আমরা সবাই যেন ভাগ্যহত।
জৈন্তাপুর ট্রাক উল্টে নিহত ১
সিলেট অফিস: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কদমখাল নামক স্থানে ট্রাক উল্টে একজন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জহির উদ্দিন (৩২) জৈন্তাপুর উপজেলার ভিত্রিখেল তেতইরতল গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে। আহতরা হচ্ছেন- একই গ্রামের হাসান আহমদ (২১), হোসেন আহমদ (২০), মুমিন উদ্দিন (২৫), খলিলুর রহমান (২২) এবং সেলিম আহমদ (২০)। তাদেরকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পাথর লোডিংয়ে জন্য শ্রমিক নিয়ে ট্রাকটি জাফলং যাচ্ছিল। ট্রাকটি চালাচ্ছিল হেলপার। এজন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক উল্টে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রামগঞ্জে নিহত ১
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : লাক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-ঢাকা সড়কে সোনাপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইটবাহী একটি ট্রলি অপরদিক থেকে আসা গরু বহনকারী নচিমনকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এসময় নচিমনটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে পড়লে নচিবনের চালক পানাপাড়া বেপারী বাড়ির রুস্তম আলীর ছেলে বাকের হোসেন রাফি (৩৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হেলপার ইউনুচের ছেলে ইদ্রিস (৫০) মারাত্মক আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।