পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কলকাতা সংবাদদাতা : জীবনে প্রথম ভোট দিলেন ছিটমহলবাসী। ভোট দিলেন ১০৩ বছরের আজগর আলীও। গত বছরের ১৩ জুলাই মিলেছে তাদের স্বীকৃতি, মিলেছে ভোটাধিকার।
অবসান হয়েছে ৬৯ বছরের অপেক্ষার। ভোট দিলেন সেখানকার প্রায় হাজার দশেক মানুষ। তিন পুরুষের হাত ধরে ভোট দিলেন অশীতিপর বৃদ্ধ আজগর আলী। তাই ছিটমহল এলাকায় বৃহস্পতিবার ছিল উৎসবের আবহ। এদিন ছিটমহল এলাকাগুলোতে বাসিন্দাদের ভোট দেয়ার আগ্রহ ও দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। অসুস্থ ও প্রবীণ মানুষ ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের ভিড়ও ছিল যথেষ্ট। এদিন সকাল সকাল তারা বুথে এসে ভোটের লাইনে দাঁড়ান তাদের জীবনের প্রথম ভোটটি দেয়ার জন্য। ভোটও হয়েছে শান্তিতেই।
স্বাধীনতা মিলেছে, ভারতবাসী বলে স্বীকৃতিও মিলেছে, মিলেছে ভোটাধিকারও। কিন্তু তাদের মৌলিক অধিকার এখনো রয়েছে অনেকটাই অপূর্ণ। অভাব রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহের। সমস্যা আছে রুজি-রোজগারেরও। তবে বুকে আশা, এবারে তাদের বেছে নেয়া নয়া জনপ্রতিনিধি সমস্যাগুলোর সমাধানে তৎপর হবেন।
অন্য দিকে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর ও কুচবিহারের মোট ২৫টি আসনের ভোটপর্ব শেষ হলো মোটামুটি শান্তিতেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা ছিল এদিন দেখার মতো। এদিন দু’টি জেলার পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি এবং কুচবিহারের ৯টি, মোট ২৫টি আসনে ১৭০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন প্রায় ৫৮ লাখ ভোটার। যাদের মধ্যে ২ জন মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, নির্বেদ রায়, উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারী, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অখিল গিরি, সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার, তাপস সিনহার মতো বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী।
বিকেলে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল গুপ্তা সাংবাদিকদের জানান, শেষ পর্বের ভোট শান্তিতেই মিটেছে। রাজ্যে ৬ দফায় শান্তিতে ভোট করা ছিল আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জস্বরূপ। সেটা আমরা পেরেছি। এদিন ২ জেলায় ৫৮ লাখ ভোটার ১৭০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন।
বিকেল পর্যন্ত কুচবিহারে ভোট পড়েছে ৭২.৩১ শতাংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট পড়েছে ৭৫.১৯ শতাংশ।
এবারে অপেক্ষার পালা। কারা আসছে বাংলার মসনদে তা জানার জন্য রাজ্যবাসী অধীর অপেক্ষায় চেয়ে রয়েছেন ১৯ মে’র দিকে। এদিনই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।