পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় থেকেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। নৌকা মার্কা মানেই স্বাধীনতা, নৌকা মার্কা মানেই উন্নয়ন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আমরা সম্মান পেয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সারাদেশে নৌকাকে বিজয়ী করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নিসন্ত্রাসীদের ভোটযুদ্ধে হারিয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে। গতকাল সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা, রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট ও বাসস্ট্যান্ড, ঢাকার ধামরাই ও সাভারে পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেয়ার মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে, আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ বঞ্চিত হয় না। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নৌকায় ভোট দিন। নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নযনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখুন। মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। তরুণদের রক্ষা করতে হবে। এজন্য বিশেষ করে মা ও বাবাকে সন্তানের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হবে, বেশি খেয়াল রাখতে হবে যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদে না জড়িয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম, অন্যান্য ধর্মগুরুকে জনসচেতনায় ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ১২ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। গতকাল ঢাকায় ফেরার পথে ৫টি জেলায় ৭টি নির্বাচনী পথসভায় শেখ হাসিনা বলেন, যদি দেশের উন্নয়নের গতি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাহলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আরেকটিবার দেশ সেবার সুযোগ দিন। একমাত্র নৌকায় দেবে উন্নয়ন, গতিশীলতা আর মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। নৌকা না থাকলে এসব থাকবে না, সবকিছু ধ্বংস করে দেবে।
এর আগে সকাল ৮টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে ৯টায় রওনা হয়ে বেলা এগারোটায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ফরিদপুর-৪ আসনের নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন শেখ হাসিনা। এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিমন্ডলীর কাজী জাফর উল্যাহকে নৌকার প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে তার জন্য ভোট চান এবং ভোটারদের ভোট দানের ওয়াদা নেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, যুগ্ম সম্পাদক আ. রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি,এম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম.বাহাউদ্দিন নাসিম, আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী -১ আসনের চার চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুজ্জামান সোহাগ, চিত্র নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌসসহ প্রমুখ।
নাজিম বকাউল ও ওবায়দুল আল সম্রাট, ফরিদপুর থেকে জানান, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের অগ্রযাত্রা, উন্নয়ন, জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরকে বিভাগ করা হবে। আপনাদের দাবি করতে হবে না, আমি আগেই আপনাদের এলাকায় এসে কথা দিয়েছিলাম, ফরিদপুরকে বিভাগ করে দেবো। এর জন্য তো একটি প্রক্রিয়া আছে। একটা জেলা নিয়ে তো বিভাগ হয় না। সেজন্য অন্যান্য জেলার সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা ক্ষমতায় এলে সেই প্রক্রিয়া শেষ করে ফরিদপুরকে বিভাগ করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, উন্নয়নের অংশ হিসেবে সড়কের পাশাপাশি স্বপ্নের পদ্মাসেতুর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই সেতুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে, অন্যথায় পদ্মাসেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এখন বাকী স্বপ্ন পুরণের কাজ আপনাদের হাতে।
রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে আবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ২য় পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন পদ্মাসেতু নির্মাণ নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশ^ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু কোনো দুর্নীতি পায়নি তারা। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। আমরা আবার ক্ষতায় এলে যদি প্রয়োজন হয় দৌলতদিয়ায় ২য় পদ্মাসেতু নির্মাণ করবো। তবে কাজ চলমান রয়েছে এরই মধ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আগে ওইটা (১ম পদ্মাসেতু) নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। এরপর দ্বিতীয়টা নির্মাণ করা হবে। এ জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজবাড়ী-১ আসনে কাজী কেরামত আলী ও রাজবাড়ী-২ আসনে জিল্লুল হাকিমকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, আপনাদের মানিকগঞ্জে অনেক মানিক আছে। সেখান থেকে আমরা কয়েকটা মানিক কুড়িয়ে নিয়েছি। আজকে আমাদের এই অঞ্চলের প্রার্থী ক্রিকেটার নাইমুর রহমান দুর্জয় একটা মানিক। সেইসঙ্গে সঙ্গীত জগতের মমতাজ সেও আরেকটা মানিক। আমি কয়েকটা মানিক কুড়িয়ে নিয়েছি। এখন আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করার জন্য এভাবে মানিকগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন ওয়াদা করেন। নৌকায় ভোট দিলেই দেশের উন্নয়ন পাবেন। আজকে উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু করেছি উন্নয়নের এ গতি যেন থেমে না যায়। ওই লুটেরা দুর্নীতিবাজ। যারা অর্থ আত্মসাৎ করে, যারা এদেশের সম্মান নষ্ট করে তারা কেউ যেন ভোট না পায়। নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে গতিশীলতা। নৌকা করবে এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন।
আওয়ামী লীগ তরুণ প্রজন্মকে আগামী নির্বাচন উৎসর্গ করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ সমাজের জন্য আমরা আমাদের এবারের নির্বাচন উৎসর্গ করেছি। তরুণদের মেধা শক্তি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ।
ধামরাই(ঢাকা) থেকে মো আনিস উর রহমান স্বপন জানান, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ধামরাই পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী ধামরাই সরকারি হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনী এলাকার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় যোগ দেয়ার আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনী এলাকার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচনী এলাকায় আসার সুযোগ পাইনা। তাই আপনাদেরই গ্রাম-গঞ্জে আমার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। মানুষের পাশে থেকে আমার পক্ষ নিয়ে আপনারা কাজ করবেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।