Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সশস্ত্র প্রতিপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় এরই মধ্যে দু’জন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে পুলিশ। আহত হয়েছেন অনেকে। গত সোমবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ভিত্তিক সহিংসতায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ওই সময় আগামী ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। পুলিশ বলেছে, মঙ্গলবার বিরোধী পক্ষের সঙ্গে উত্তেজনায় আওয়ামী লীগের দু’জন সমর্থক নিহত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে আরো বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা নোয়াখালিতে ছুরি ও লাঠিসোটা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা।
সেখানে সরকার সমর্থক একজন গুরুতর আহত হন। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসির বলেছেন, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। ওদিকে ফরিদপুর জেলার মধ্যভাগে নিহত হয়েছেন সরকার সমর্থক আরেক কর্মী। পুলিশ বলছে, বিরোধী দল বিএনপির সমর্থকদের প্রহারে নিহত হয়েছেন তিনি। ফরিদপুরের এসপি জাকির হোসেন খান বলেছেন, তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনও রাজনৈতিক সহিংসতায় চিহ্নিত হয়ে আছে। নির্বাচনে ভোট কারচুরি করা হয়েছে এই অভিযোগে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। ফলে কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই বিজয়ী হন শেখ হাসিনা। তবে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু তারা অভিযোগ করছে, ক্ষমতাসীন দলের দুর্বৃত্তরা তাদের প্রচারণা র‌্যালিতে হামলা করছে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগেই তাদের শত শত নেতাকর্মীকে পুলিশ জেলে দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করতে পারবেন না আদালতের এমন এক রায়ের পর বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদারকে। দলটি ঢাকায় প্রচারণাকালে তাদের একজন কর্মীর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে পুলিশকে। ওই কর্মী ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। বিএনপির করা ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকাল মানবাধিকার লঙ্ঘন ও কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার অভিযোগে অভিযুক্ত। তিনি এবার রেকর্ড চতুর্থবার ক্ষমতায় যেতে চাইছেন। তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে রয়েছেন। এ মাসের শেষের দিকে যে নির্বাচন তাতে প্রায় ১০ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।



 

Show all comments
  • Jamal Hossain ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৯ এএম says : 0
    আক্রমন করলে পালটা আক্রমন করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md-sohan Sorkar ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    বিএনপির সৈনিকরা ভয় দেখিয়ে ভোট চায়না ।ভালবেসে ভোট চায়।তারায় ভয় দেখায় যাদের হেরে যাওয়ার ভয় থাক
    Total Reply(0) Reply
  • Borhan Uddin Borhan ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    right
    Total Reply(0) Reply
  • Md Uzzal ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    হাছিনাকে যে কোন উপায়ে সরাতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jalal Uddin Ahmed ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২১ এএম says : 0
    Fair Democratic Elections are not possible under Rulings party...
    Total Reply(0) Reply
  • Mohd Salim ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২২ এএম says : 0
    ১০০% রাইট এর দায়ী কে নিবে কতজনে মা বাবা বুক খালি হবে এই নির্বাচন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Ful Mieha ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২২ এএম says : 0
    রাজনৈতিক দলের কিছু খারাপ নেতাকর্মীদের কারণে
    Total Reply(0) Reply
  • Shahriar Rijvi Khan ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৪ এএম says : 0
    Allah amderke rokkha koro amin
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:১৮ এএম says : 0
    Under this administratave party imposible expacting fair election.Their own party members terrorising & attacking the Bnp & the united fronts candidate & suppoters...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ