পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাদের কলসি ফাঁকা তারা সন্ত্রাস করবে। আমাদের কলসি ভরা, আমরা সন্ত্রাস করবো না। তিনি বলেন, ভায়োলেন্সের জবাব নন ভায়োলেন্স দিয়েই দিতে হবে। এতে যারা ভোটার তারা ঠিকই বুঝতে পারবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম অব মাস্টার ট্রেইনারস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবের হোসেন চৌধুরী ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান মিস ক্রেইটি ক্রোক। ইউএস এইড ও ইউকে এইডের সহযোগিতায় এ ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি বিজয় আসবে। আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার মতো দল নেই। তিনি বলেন, দেশে এখন দুটি পক্ষ। একটি হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অন্যটি খালেদা জিয়া, তারেক আর ড. কামাল হোসেনদের নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। জনগণ সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করে না। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির গণভাটা চলছে। তাদের ভাঙা হাট আর জমবে না। এখন পর্যন্ত বিএনপির অনেক প্রার্থী প্রচারণা শুরু করেননি। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বিএনপির অনেক প্রার্থী বাইরে বের হচ্ছেন না।
মাস্টার ট্রেইনারদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, যারা ট্রেনিং নিলেন জেলা উপজেলা পর্যায়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। শুধু তাই না, আপনারা এলাকায় গিয়ে যাদের ট্রেনিং করাবেন তাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে। ভোট শেষ এবং কাউন্ট না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে। পোলিং এজেন্টদের হিমালয়ের মতো অটল এবং অবিচল থাকতে হবে। তবেই জয় নিশ্চিত হবে।
এর আগে গতকাল সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আল রবার্ট মিলার দেখা করার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসন ভাগাভাগির পরও বিভিন্ন আসনে শরিকেরা নিজেদের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কৌশল। তিনি বলেন, আমাদের একটা কৌশল আছে। কৌশলটা তো বলব না। আমাদের সুস্পষ্ট কৌশল আছে। এমনিই ছেড়ে দিয়েছি আমরা? আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অ্যালায়েন্স দাঁড়িয়ে গেছে, আমরা না বুঝে কি দিয়েছি এটা। তিনি বলেন, বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচন থেকে সরে যায়? তারপর? আবার বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতার ফাঁদ তৈরি করতে দেব না।
বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তাদের সরিয়ে দিতে যাব কেন। না না, তারা যদি সরে যায়, সে জন্যই আমরা জোটকে নিয়ে কৌশল করেছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভালো পরিবেশ প্রয়োজন। সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে ইসিকে সহযোগিতা করবে সরকার। নির্বাচনী সহিংসতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে এই পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের সংযত ও সহনশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছি আমরা।
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, যা আমি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও বলেছি। নির্বাচনী সহিংতার বিষয়ে কথা হয়েছে এবং বলা হয়েছে সবার এটা পরিহার করা উচিত। কারণ গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এটি অংশ হতে পারে না। সহিংতা এড়িয়ে যেতে হবে, কারণ সহিংসতা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করে। আমি বলেছি এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ অনেক ভালো, তাই প্রত্যাশা করছি শান্তিপূর্ণ হবে। দেশের জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে। সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, শুধু নির্বাচন কমিশনেকে সহযোগিতা করবে যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারে, আমরা এই কথা আবারও বলেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।