পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতীক বরাদ্দের পর ১০ ডিসেম্বর থেকেই সারাদেশে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে নির্বাচনী প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী প্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রচারণা শুরু করেছেন গোপালগঞ্জে নিজ আসনে জনসভার মাধ্যমে। অন্যদিকে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বুধবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ:) ও শাহপরান (রহ:) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে। সারাদেশে প্রচারণা, নির্বাচনী উত্তাপ-উত্তেজনা তুঙ্গে থাকলেও রাজনীতিতে এখনো নামেননি দুই জোটের শীর্ষ নেতারা। আজ থেকে রাজধানীতে নির্বাচনী প্রচারণা নামতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। রাজধানীতে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রচারণা চালাবে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা এতে অংশ নেবেন। ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ধানের শীষ মার্কায় ভোটারদের কাছে ভোট চাইবেন নেতৃবৃন্দ। ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর থেকে আজ শুক্রবার দুপুরে প্রচারণা শুরু হবে। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাদের অভিযোগ- নির্বাচন বানচাল করা এবং বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরানোর লক্ষ্যে সারাদেশে বিএনপির প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকেদর বাসা-বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে তারা হামলা-মামলা, গ্রেফতার-কারাগারকে ভয় পাননা। এসব কিছুকে মোকাবিলা করে নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। মামলার ভয়ে আত্মগোপনে থাকবেননা, পালিয়ে বেড়াবেননা। বরং আদালত থেকে মামলার জামিন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকবেন বলে জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা যায়, আজ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। তারপর দুপুর দুইটায় তারা ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। সেখান থেকে ধানমন্ডি, লালবাগ, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়িসহ আশেপাশের নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষ মার্কায় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইবেন। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টায় টঙ্গী থেকে ধানের শীষ মার্কার প্রচারণা শুরু করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। সেখান থেকে তারা ময়মনসিংহ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ঢাকায় ফিরবেন। ১৬ ডিসেম্বর (রোববার) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিএনপির উদ্যোগে ওইদিন বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের করা হবে। এরআগে ভোরে বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ১১ টায় রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ১৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় লেকশোর হোটেলে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এরপর ১৯ ডিসেম্বর (বুধবার) নির্বাচনী প্রচারণার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। কাঁচপুর ব্রিজ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারণায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অংশ নিবেন।
বিএনপির নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গ্রেফতার ও নির্যাতনের আশঙ্কায় রাজধানীতে ব্যানার-পোস্টারের প্রচারণা আরো কয়েকদিন পর শুরু করতে চাইছেন তারা। এরআগে প্রত্যেক আসনে মনোনয়নবঞ্চিত ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে কোন্দল ও গ্রুপিং সমাধান করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রার্থীরা। কেননা মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত নেতাকর্মীদেরকে অন্য দলের প্রার্থীদের পক্ষে সক্রিয় করতে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে বিএনপির হাইকমান্ড। দফায় দফায় বৈঠক করে ধানের শীষের প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। তবে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন বলে অনেক প্রার্থী জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা-মামলা অব্যাহত রেখেছে। এসবের উদ্দেশ্য হলো- সাধারণ ভোটারদের মনে ভীতি সঞ্চার করা। যাতে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে যায় এবং সরকার ভোট চুরি করতে পারে। মান্না বলেন, গতকাল ঢাকা-১৮ আসনে আমরা নির্বাচনী গণসংযোগ করেছি। সেখানেও আমাদেরকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন ঘেরাও করে রাখে। তারা আমাদেরকে কোনো কথা বলতে দেবেনা। কিন্তু আমরা আমাদের কাজ করেছি। প্রচারণা চালিয়েছি। আজ শুক্রবার মোহাম্মদপুর এবং শ্যামপুরে নির্বাচনী জনসভা হবে। এভাবে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। নেতাকর্মীদেরকে আহত করা ও গ্রেফতারসহ নানামুখী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এসব নিপীড়ণ-নির্যাতন ও অত্যাচারে সারাদেশে নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বলতে কিছু নেই। তিনি বলেন, দলীয় সন্ত্রাসী আর পেটোয়া বাহিনী দিয়ে সাধারণ জনগণকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। সময় এখন জনগণের। অব্যাহত মামলা-হামলা, গুম-খুন, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে জনগণের রায় এখন প্রতিফলিত হবে। আমরা নিশ্চিত, এবার সকল বাধা অতিক্রম করে সারাদেশে সাহসী জনতা ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবেই।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।