পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমেই ভোটের সার্বিক পরিবেশ উত্তপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে যশোর সদরে কয়েকটি ঘটনা রিতীমতো ‘এলার্মিং’। গতকাল বিএনপির সমাবেশস্থলে ককটেল হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হয়েছেন। শুরুর দিনে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরানো হয়েছে। প্রচার মাইক ভাংচুর হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থী প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে এসব ঘটনায় অভিযোগ করছেন। যদিও নৌকা প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার হালসা বাজারে যশোর-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সমাবেশস্থলে ককটেল হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির ৭/৮জন কর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি জানায়, তারা তাদের প্রার্থীকে নিয়ে হালসা বাজারে নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শুরুর মুহূর্তে প্রতিপক্ষের লোকজন আকস্মিকভাবে ককটেল হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাংচুর ও নেতা-কর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে। এতে নির্বাচনী সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। ধানের শীষের প্রার্থী অমিত অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাফরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধানের শীষের সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়েছে। সমাবেশস্থলে অন্তত দুটি ককটেল ছোঁড়া হয়। এর একটি বিস্ফোরিত হয়েছে। আর সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ৭/৮জন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবাদে হালসা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে ঐক্যফ্রন্ট। একইদিন দুপুরে মুড়লীতে ধানের শীষের নির্বাচনী সভার রিপোর্ট করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সব সংগঠনের এক যৌথ জরুরি সভা হয়েছে।
এদিকে, যশোর রিটার্নিং অফিসারের কাছে যশোর-৩ সদর আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নির্বাচনী কাজে বিঘ্ন ঘটানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দাখিল করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা ৮৭ যশোর-৩ (সদর)-এর বিভিন্ন ইউনিয়নে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য বিএনপি জোটের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছেন। নির্বাচনী মাঠে না থাকতে হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।