পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃহত্তর খুলনাঞ্চলের প্রার্থীরা এখন মাঠে ময়দানে ছুটে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা। বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবে পরিণত হয়েছে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের মেঠো পথ। তবে কোথাও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আতঙ্ক। শুধুমাত্র খুলনা-১ আসনে জাপার প্রার্থী সুনীল শুভ রায় মাঠে নামেননি। তবে তার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চলছে।
বৃহত্তর খুলনার ১৪টি আসনের ৭৮ প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থী নিজেই। প্রবীণদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একঝাঁক নবীন প্রার্থী মাঠে স্বক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। আর ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে কষছেন নানা হিসাব। তবে মাঠে ময়দানে বিএনপি জামায়াত ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা শোডাউনে অনেক পিছিয়ে আছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা সবসময় সাজ সাজ রব অবস্থায় ভোট রাজনীতির মাঠে অবস্থান করছে। ভোট উৎসবে সর্বত্রই যেন একটি চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। নিরীহ এক শ্রেণির ভোটার যেন মুখে কুলুপ এটেছে।
খুলনা বাগেরহাটা ও সাতক্ষীরা শহর এলাকায় নৌকা মার্কার পোস্টার চোখে পড়ার মত। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, উৎসব মুখোর পরিবেশে ভোটের প্রচার প্রচারণা চলছে। উন্নয়নের প্রতীক আওয়ামী লীগ ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হবে। আর বিএনপি নেতারা বলছেন, মানুষকে প্রতিনিয়ত শাসানো হচ্ছে, ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। নিরপেক্ষ ভোট হলে জালেম আওয়াম ীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আমজনতার ভোট বিপ্লব হবে।
এদিকে, দুপুর ২টার পর থেকে নির্বাচনী এলাকার পাড়া-মহল্লায় চলে মাইকিং। প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচারণায় মুখর অলিগলি। সব জায়গাতেই বইছে নির্বাচনী আমেজ।
সর্বত্র নির্বাচনী আলোচনা। নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরতে প্রার্থীদের প্রাণান্তকর চেষ্টা ভোটারদের মাঝেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে প্রবীণ প্রার্থীদের তুলনায় নবীন প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ভোটারের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি, চাচ্ছেন সবার দোয়া। বিভিন্ন আলোচনা সভা, মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকে করছেন অংশগ্রহণ।
অপরদিকে, স্বামী প্রার্থী হওয়ায় কয়েকজন স্ত্রীও নেমেছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। বিশেষ করে খুলনা-২ আসনে মহাজোট সমর্থিত ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের স্ত্রী শাহানা ইয়াসমিন শম্পা এবং খুলনা-৪ আসনে মহাজোট সমর্থিত ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদীর স্ত্রী সারমিন সালাম তাদের স্বামীদের জন্য ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
খুলনার নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তবে দুঃখজনকভাবে কিছু কিছু জায়গায় হামলার ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবুও জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। প্রার্থী ও সমর্থকরা যাতে সুন্দরভাবে প্রচারণা চালাতে পারেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারেন সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দুই কোটি তরুণ ভোটার আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর জয় পরাজয় নির্ধারণ করবে। এসব তরুণরা গত এক যুগ ধরে তাদের শৈশব ও কৈশর কাটিয়েছে আওয়ামী দুঃসময়ের নানা অরাজতা-অপকর্ম-লুটপাট-দখলবাজি দেখতে দেখতে। এই দুঃশাসনের জবাব তারা ব্যালটের মাধ্যমে প্রদান করবে।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল বলেন, নৌকার বিজয় হলে খুলনার উন্নয়নের চাকা সচল হবে। তিনি খুলনাঞ্চলের উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
খুলনা-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী এলাকার শ্রমিক ভাইদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি মেনে নিয়ে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করা হবে। সেই সাথে এই এলাকার বন্ধ মিল কলকারখানাগুলো পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে শ্রমিকদের বাসস্থান ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে উন্নতমান সম্পন্ন শ্রমিক কলোনী ও হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, প্রখ্যাত শ্রমিক নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে, বিএনপি জামায়েত সরকারের আমলে খালিশপুরের বন্ধ করে দেওয়া মিল কলকারখানাগুলো পুনরায় চালু করে শ্রমিকদের মুখে আবার হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা ৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা: আ ফ ম রুহুল হক প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে তার ধারা বজায় রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান ভোটারদের।
বাগেরহাট সদরের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ তন্ময় বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরা মাঠে নেমেছি। জনগনই আমাদের শক্তি। আগামী নির্বাচনে তার জবাব দেবে এদেশের মানুষ। বাগেরহাট সদরে বিএনপি প্রার্থী এম এ সালাম বলেন, আওয়ামী দু:শাসনের দাত ভাঙ্গা জবাব দেবে জনগন ভোটের মাধ্যমে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।