পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সংসদ নির্বাচনের আগে গুজব ছড়িয়ে পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিল্প মালিকরা। শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে তৎপর থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশজুড়ে ভোটের হাওয়ার মধ্যে আশুলিয়া ও গাজীপুরের কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা আন্দোলনে রয়েছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান গত বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আশুলিয়ার ২০/২৫টি কারখানায় এবং গাজীপুরের ১৫/১৬টি কারখানায় শ্রমিকরা কর্ম বিরতি পালন করছে। তারা বলছে, নতুন বেতন কাঠামোতে তাদের বেতন কমে যেতে পারে। তাই তারা কাজ করবেন না। কিছু কারখানায় শ্রমিকরা ঢিল ছুড়ে জানালার কাচ ভেঙেছে। আজ (বুধবার) সকালে রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে হা-মীম গ্রুপের কারখানায় মার্কিন কয়েকজন ক্রেতা প্রতিনিধি আটকা পড়েন। পরে হেলিকপ্টার দিয়ে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মালিক, শ্রমিক এবং সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বিনষ্ট করা এবং সুপরিকল্পিতভাবে সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
নতুন মজুরি কাঠামো ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে জানিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, সে হিসাবে জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে তারা যে বেতনটি পাবেন, সেটি নতুন কাঠামোর পাবেন। নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্ত কে বা কারা এই শ্রমিকদের বেতন কমে যেতে পারে বলে ভুল বুঝিয়ে তাদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
বিজিএমই সভাপতি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, শ্রমিকদের কাজ করতে বললে তারা বলছেন, ‘আমাদের মারবে’। অর্থাৎ কেউ কেউ তাদের ভুল বুঝিয়ে আমাদের এ শিল্পকে অস্থিতিশীল করা চেষ্টা করছে। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমি চাই, আমাদের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
শ্রমিকদের উদ্দেশে সিদ্দিকুর বলেন, কোনো কারখানা যদি নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন না দিয়ে থাকে, তাহলে আপনারা বিজিএমইএর কাছে আসুন। তাছাড়া কারও বেতন যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আমরা তাও সমন্বয় করব।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, মোহাম্মদ নাছির, বিটিএমএর সাবেক সভাপতি আবুল মতিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।