পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ পাওনা পরিশোধ না করায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লিলিপুট কিডসওয়্যারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ভারটেক্স অ্যাপারেল লিমিটেড। গত রবিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আদালতে ভারটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহির হোসেন এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালে চট্টগ্রামের পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স অ্যাপারেল লিমিটেডের কাছ থেকে এক কোটি ১৫ লাখ টাকার পোশাক কিনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লিলিপুট। এ সময় তারা ভারটেক্সসহ আরো ২২টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০ লাখ ডলারের পোশাক কিনে। কিন্তু আমদানিকারকের ব্যাংককে না জানিয়ে ভারটেক্সসহ বাংলাদেশের ২২টি পোশাক কারখানার পণ্য খালাস করে ইআরটি নামের ভারতের এক জাহাজ কোম্পানি। ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিলিপুট কিডসওয়্যার লিমিটেডের অনুকূলে এসব পণ্য খালাস করা হয়েছে। এতে করে ভারটেক্সের এক কোটি ১৫ লাখ টাকাসহ পোশাক রফতানির প্রায় ৪০ কোটি টাকা (৫০ লাখ ডলার) আটকে রেখেছে ভারতীয় ওই প্রতিষ্ঠান।
ঘটনার পর পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ হাইকমিশন (ভারত), ভারতীয় হাইকমিশনার (ঢাকা), রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পোশাক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান (ক্রেতা) লিলিপুট কিডসওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান সঞ্জীব নারুলাকে পাওনা পরিশোধের জন্য বারবার তাগাদা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১০ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে পোশাক রফতানিকারকদের পাওনা আদায়ে চুক্তি হয়। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও পাওনা আদায়ে ব্যর্থ হয় পোশাক রফতানিকারকরা।
সূত্র জানায়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লিলিপুট কিডসওয়্যার লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানির জন্য বিভিন্ন সময়ে ভারতের এলাহাবাদ ব্যাংক, ইয়েস ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫টি ঋণপত্র খোলে। এসব ঋণপত্রের বিপরীতে এ দেশের ২২টি প্রতিষ্ঠান ৫০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য রফতানি করে। ভারতীয় আমদানিকারকের ইচ্ছামাফিক সে দেশের জাহাজ কোম্পানি ইআরটির মাধ্যমে সেই পণ্য পাঠানো হয়। ওই জাহাজ কোম্পানি কোনো ধরনের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে সরাসরি আমদানিকারকের কাছে পণ্য হস্তান্তর করে।
লিলিপুটের কাছে ভারটেক্স অ্যাপারেল ছাড়াও অন্য যেসব পোশাক রফতানিকারকের পাওনা রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান হলো অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার, হলমার্ক ডিজাইনওয়্যার, জেমিনি গার্মেন্ট, এনডি অ্যাপারেল, আলিফ গার্মেন্ট, পানশি নিট, অ্যাপারেল কনসেপ্ট, এ পাস সোয়েটার, মাজকান জিনস, হাইপোয়িড লেংগারিজ, ডেফোয়িন ডিজাইন, আনিশা স্টাইল, নেট ফ্যাশন, সিনহা ফেব্রিকস, ডিএনএস সোয়েটার, উত্তরা ওভেন অ্যান্ড নিট, আয়েশা এন্টারপ্রাইজ, আইপি জ্যাক নিটিং, বারাত সোয়েটার, টি মার্ট কম্পিউটারাইজ সোয়েটার ও নিউ জেনারেশন ফ্যাশন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।