Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সময়ের সাথে বাড়ছে গ্রেফতার

ফারুক হোসাইন | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকী মাত্র ১৬ দিন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তাপ, উত্তেজনা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষের মতো ঘটনা। একইসাথে বাড়ছে ধরপাকড়। যার প্রায় সবই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী দল বিএনপির নেতাকর্মী। যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সংলাপে নির্বাচনের সময় গ্রেফতার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্তও করেছিলেন বলে ফ্রন্টের নেতারা জানান। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনও একই আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই সেটি মানা হয়নি। প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের দিনও সারা দেশে অন্তত দুই শতাধিক বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরের দুইদিনও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। বিএনপির দেয়া তথ্য অনুযায়ি তফশিল ঘোষণার পর থেকে গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজার ১৭১ জন নেতাকর্মী এবং প্রতীক বরাদ্দের পর (১০ ডিসেম্বর) থেকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮১ জন নেতাকর্মী।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, বিএনপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনায় নেতৃত্ব দেয়ার কথা তাদেরই বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত এক মাসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপিসহ অঙ্গদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অন্তত এক হাজার গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি, হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আহত করা ও গ্রেফতারসহ নানামূখী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এসব নিপীড়ণ-নির্যাতন ও অত্যাচারে সারাদেশে নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বলতে কিছু নেই। তবে গ্রেপ্তার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা সবাই ফৌজদারি মামলার আসামি। গোয়েন্দা তথ্যে নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্য যারা নাশকতা চালাতে পারে এবং অতীতেও যাদের বিপক্ষে এ ধরনের কর্মকান্ডের অভিযোগ ছিল তাদের নজরদারি ও পুরাতন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিএনপির দেয়া তথ্য অনুযায়ি, ভাটারা থানার ৪০নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিনের বাসায় মঙ্গলবার রাত ৩টার সময় ডিবি পুলিশ হানা দিলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কফিল উদ্দিন বাসার ছাদে আত্মগোপন করে, এসময় ডিবি পুলিশ তার ছেলেকে পেয়ে চরম নির্যাতন করে। ডিবি পুলিশ কফিল উদ্দিনকে খুঁজতে থাকলে একপর্যায়ে বাসার ছাদে পেয়ে যায় এবং মারতে মারতে ছাদ থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। গতকাল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে আটক করা হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয়। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুলুকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম। আদালতে একটা মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঢাকা-১০ আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানের বাসার সামনে থেকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান গাজী মানিককে আটক করে পুলিশ। তাকে ধানমন্ডি থানায় ৬ নভেম্বরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে এমএ মান্নানের বাসায় নির্বাচনী মিটিং শেষে বের হলে দুটি গাড়ি ও ৮/১০ টি মোটরসাইকেলসহ পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে আটক করে ধামনন্ডি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুরাতন একটি মামলায় আটক দেখিয়ে নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় মানিককে।
মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি ওসমান গনি শাহজাহানকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হাতিরঝিল থানাধীন ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড সোনালীবাগ এলাকা থেকে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে লিফলেট বিতরণে গেলে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে লিফলেট ছিনিয়ে নিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা। সন্ত্রাসীরা। এলাকা থেকে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের বের করে দেয়া হয়। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন ২৫ নং ওয়ার্ড ও তেজগাঁও থানাধীন নাখালপাড়া মোড় থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মহিলা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে একইভাবে লিফলেট কেড়ে নেয়া হয় এবং তাদেরকে আটকিয়ে রাখে। পল্লবী ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু’র নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থেকে রুপনগর থানা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরদারকে তার মোটরসাইকেলসহ আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ।
ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবলু, ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন ১০নং ঘোপাল ইউনিয়ন ছাত্রদল সহ-সভাপতি ইব্রাহিম মিয়াজী নয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলাধীন চালাকচর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মশিকুর রহমান, কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাল, ফারুক, মনোহরদী পৌরসভা যুবদল নেতা কাজল, মনোহরদী উপজেলা যুবদল নেতা রাহাত, মাঈনুদ্দিন, বেলাবো উপজেলা যুবদল নেতা রাহাতকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ। ফরিদপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা মো: সেলিম মিয়াকে দলীয় প্রার্থীর বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহ উত্তর জেলার বিএনপি নেতা শেখ এমদাদুল হক মিলনসহ ৪ জন নেতাকর্মীকে ধানের শীষের প্রার্থী শাহ শহীদ সারোয়ারের বাসার সামনে থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। সাতক্ষীরার আশাশুনী থানা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুসকে সাতক্ষীরা জেলা জজ কোর্ট থেকে আজ সকাল ১১টায় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাকে আটকের বিষয়টি শিকার করছে না গোয়েন্দা পুলিশ।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরীর বাড়িতে নির্বাচনী সভা চলাকালে বাড়ির ১০০ গজ দূরে র‌্যাব-পুলিশের ১০-১২টি গাড়ি অবস্থান নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এ সময় আসলাম চৌধুরীর ভাই নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সভা শেষে ফেরার পথে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল আলম জহির, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপিসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, পাহাড়তলী বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, আব্বাস রশিদ, সীতাকুন্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজী সেলিমসহ ২৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জামালপুরের মেলান্দহে দলীয় প্রার্থীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের সঙ্গে একটি মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে দুর্মূট ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ রাশেদুজ্জামান অপুর বাসা ঘেরাও করে বিএনপি নেতা সাহেব আলী মেম্বার, আলমগীর মেম্বার, জিয়াউল, যুবদল নেতা মোতালেব, হযরত আলী ও হেলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলা বিএনপি নেতা ও ইউপি মেম্বার ফারুক, ঝিনাইগাতি উপজেলার মালিঝিকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর ও ছাত্রদল নেতা নূর মোহাম্মদকে একটি উঠান বৈঠকে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এলডিপি’র সহ-সভাপতি ফজলুল কাদেরকে পুলিশ মধ্যরাতে দরজা ভেঙ্গে আটক এবং চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ধানের শীষের প্রার্থী নুরুল আলমের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে গ্রেফতার করেছে। নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী মিছিল চলাকালে মিছিল থেকে বিএনপি নেতা নজরুল ও যুবদল নেতা আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিএনপি আরও জানায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সহ-সভাপতি, কদমতলী থানার বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক কমিশনার হাজী মীর হোসেন মিরু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নিউমার্কেট থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আহম্মেদ, শ্যামপুর থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক কমিশনার মোঃ আব্দুর রশীদ বাদশা, বংশাল থানা বিএনপি’র নেতা মোঃ শাহজাহান, খোকন, নিউমার্কেট থানা বিএনপি সহ-সভাপতি শাহ আলম নান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু তাহের দাইয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ জসিম, মোঃ মনা, মোঃ আমির হোসেন ও মোঃ মাহবুবসহ ১৫/১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক অভি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইফুল, খালেক, কাউনিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকির, উজ্জল, দারুস সালাম থানা বিএনপি নেতা হাজী আব্দুর রহমান, ১২নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা অনিক, ইমরান, যুবদল নেতা শিপু, কানাই ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মোখলেস, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন ও কাশেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একইভাবে হাজারীবাগ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: ইয়াসিন আলী, শাহবাগ থানা যুবদল সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ ফরাজী, সূত্রাপুর থানা যুবদল সহ-সভাপতি মানিক দত্ত, কোতোয়ালী থানা যুবদল সহ-সভাপতি আবু তাহের, হাজারীবাগ থানা যুবদল সদস্য মোক্তার হোসেন এবং কোতোয়ালী থানাধীন ৩২নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মো: জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সধারণ সম্পাদক ও নিউমার্কেট থানা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে।
রাজধানীর বাইরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ থেকে মনোনীয় প্রার্থী ইমদাদুল হক মিলন, ফুলপুর থানা বওলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ সেলিম, আবদুল্লাহ আল মামুন কবির, বিএনপি নেতা মোশারফ, ছাত্রদল নেতা মোঃ খলিল ও মাহফুজকে ফুলপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। নেত্রকোনা-২ নির্বাচনী এলাকা কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মাসকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া স্বপনসহ ৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। মেহেরপুর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল বারী ফারুক, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মুকুলকে পুলিশ গ্রেফতার কেরেছে।
নেয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলা যুবদল সভাপতি ওমর ফারুক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলকে গণসংযোগ করার সময় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কবিরহাট উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য একরামুল হককে গতকাল ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সারাদেশে বিএনপির প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা এবং গ্রেফতারের তথ্য নির্বাচন কমিশনেও দিয়েছে বিএনপি। ইসিকে দেয়া তথ্যে আরও বলা হয়, গত দুই দিনে ঢাকার মিরপুর থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়াইজ উদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুকুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সীতাকুন্ডে ২৫জন, গাজীপুরে কালিয়াকৈর থেকে ৫ জন, হবিগঞ্জে একশন, ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাসের বাসার সামনে থেকে ২০-২৫জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। #



 

Show all comments
  • Abdur Rouf Rony ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৩ এএম says : 0
    এসব অত্যাচার নিযার্তন গ্রেফতার সহিংসতা দেখে আজ আমি সত্যি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি স্যালুট জানাই তাদের কে যারা নির্বাচনের মাঠে এসব সহ্য করে টিকে আছে জনগনের ভোটের অধিকার আর গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Hasan ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ এএম says : 0
    এইরকম একটি হাস্যকর পাতানো নির্বাচনে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট কেন অংশ নিল?এই সব তামাশার নির্বাচন ছাডা কি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্য কোন উপায় ছিল না?
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Pasha ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৭ এএম says : 0
    শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করা এখন আমার কাছে আর অনৈতিক নয়। দেশ জনগণ মুক্তি পাক আওয়ামীলীগ থেকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Hasibul Alam Nitol ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৭ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগ দেয় প্রচারে বাধা , পুলিশ করে গ্রেফতার । নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ। এই হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ।
    Total Reply(0) Reply
  • Humayun Kabir ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৮ এএম says : 0
    হতাস হওয়ার কিছু নাই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কার্যক্রম চলছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া আর বলদের কাছে দুধ চাওয়া সমান কথা।
    Total Reply(0) Reply
  • Zinnia Ferdowsi ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৮ এএম says : 0
    তারাই মার খায় তাদের নামে মামলা হয়।এদের কাছ থেকে কিভাবে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন আশা করা যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • M Pi ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৮ এএম says : 0
    জহির রায়হানের ভাষায় বলতে হয় আসছে ফাল্গুণে আমরা দ্বিগুণ হবো। যত অন্যায়, অত্যাচার করবে ততো একতাবদ্ধ হবো। এবং জনগণ অন্যায়কারীদের বিচার করার জন্য প্রহর গুনছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmun Nahar ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৯ এএম says : 0
    এইটা কি নিবাচন নাকি প্রহশন?আদৌ কি জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে?এসব উওর কে দেবে?আছে জানা কারো?
    Total Reply(0) Reply
  • Mamunur Rashid ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৯ এএম says : 0
    Jono protirodh gore tulte hobe . b.n.p nirbachone asese dheke awamiliger ghume haram hoye gese.
    Total Reply(0) Reply
  • আমজনতা শক্তি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    যতই মামলা হামলা হোক আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব ও জিতব । 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ'
    Total Reply(0) Reply
  • Hassan Mahmud ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    কোনো দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ট নির্বাচন সম্ভব না এটা তার উদাহরণ।
    Total Reply(0) Reply
  • হিমালয় হিমু ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২১ এএম says : 0
    নির্বাচনের আগেই দেখবেন মাঠ ফাকা!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ