পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার পৃথক রিট শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ ঠিক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল বুধবার এ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেয়া হয় বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান। আজ শুনানি হতে পারে বলে জানা যায়। এই বেঞ্চই খালেদা জিয়ার নির্বাচনের অংশ নিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা রিটের বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করে আবেদন খারিজ করে দেন। নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদেশের পর বলেছিলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি, তৃতীয় বেঞ্চে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সঠিক সিদ্ধান্ত পাব।
সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশসহ নথিপত্র প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পৌঁছে। গতকাল ওই নির্দেশ দিয়ে নথিপত্র হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ফেরত পাঠানো হয়। বিস্তারিত আদেশ লিখতে নির্দেশ দিয়ে মামলার নথিপত্র সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়। বিস্তারিত লিখে আদেশ জমা দেয়ার পর প্রধান বিচারপতি নতুন করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করে দেন। ফলে খালেদা জিয়া ভোটে ফিরতে পারবেন কি না, তা আপাতত অমীমাংসিতই রয়ে যায়। নিয়ম অনুসারে, বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে শুনানির জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দিলেন। সেই বেঞ্চই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত আদেশ দেবেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসি আপিল আবেদন করেন। গত শনিবার শুনানির সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তাঁরা তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন। এর পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে শেষ আশ্রয়স্থল হাইকোর্টে আসেন। গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গত ৯ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সারা দেশে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়েছে। আর ভোট গ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।