পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ায় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্ত জনতার ঢল নামছে। অপরদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। ধানের শীষ কর্মীদের বাড়িঘর ও নির্বাচনী প্রচার মিছিলে হামলা ও ভাঙচুর করছে। পাশাপাশি জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাগণ অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জাতীয় বক্তব্য দিয়ে পালন করে চলেছেন নীরব দর্শকের ভূমিকা।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার প্রশাসন সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া, হামলা, ভাঙচুর দেখেও না দেখার ভান করে চলেছে। যা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগের। ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় যেভাবে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে যা সরকারি দলের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, গতকাল গতকাল বুধবার বেলা ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বগুড়া জেলা বিএনপি ও এর সকল অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীদের নিয়ে চলা সভায় বক্তাদের সকলেই বগুড়া ৭টি সংসদীয় আসনের সবকটিতেই ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অপশক্তিকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলার কথা উল্লেখ করেন। সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুলকে আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মীর শাহে আলম বলেন, তার নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্বাচন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, মান্না সাহেব যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই ঢল নামছে মানুষের। তারা ধারণা করছেন, যদি ৫০ ভাগ সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ওই আসনে ধানের শীষ প্রার্থীর বিজয় হবে ।
বগুড়ায় এবার দুটি আসনে আওয়ামী লীগের এবং বাকি ৫টিতে শরিক জাপা ও জাসদের প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনী তৎপরতা শুরুর পর থেকে বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে ৬টিতেই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকলেও বগুড়া-৫ (শেরপুর/ ধুনট) আসনে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। ৫-আসনের অন্তর্ভুক্ত ধুনট উপজেলায় এলাঙ্গী ইউপির রাঙামাটি গ্রামে যুবদল নেতা মুরাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ধুনট বাজারে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জিএম সিরাজের গাড়ী বহরে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হয়। বুধবার দুপরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ন্যূনতম আগ্রহ দেখায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা তৌহিদুল আলম মামুন।
এ ব্যাপারে ধুনটের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা, ধুনটের ওসি ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলে প্রত্যেকবারই অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। ভুক্তভোগী বিএনপির নেতারা বলছেন, ওনারা (প্রশাসনিক কর্মর্তাগন) যে দয়া করে আমাদের কথা শুনছেন এটাই যেন যথেষ্ট বলে তাদের অভিব্যক্তিতে মনে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।